একটা মেয়ের সাথে আমার ফেইসবুকে পরিচয় প্রায় পাচ বছরের চেয়েও বেশি। শুরুতেই সে আমার সাথে রিলেশন এ যায়, কিন্তু সেটি টিকে না। সে অন্য অনেকের সাথে রিলেশনে জড়াতে থাকে। ঐ সময় টাতে খুুব কষ্ট পাই মনে। কিন্তু আমার প্রথম অনুভূতির জন্য তাকে আর মন থেকে মুছতে পারি নি। লেগে থাকি তার পিছু। পাচ বছর পর অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে এসে সে আবার আমার সাথে রিলেশনে যায়। এতদিন সে জানত আমি ঢাকায় ফ্যামিলির সাথে থাকি। জিনিস টা সে নিজের মত করেই বুঝে নিয়েছিল আর আমিও বাধা দেই নি পাছে আমাকে ছেড়ে যদি চলে যায়। কিন্তু এ পর্যায়ে যখন সিরিয়াস সম্পর্কে গেলাম তখন আর আমি না বলে থাকতে পারি নি যে আমার ফ্যামিলি ঢাকার পাশের মফস্বলে থাকে। এমতাবস্থায় সে আমাকে সব জায়গা থেকে ব্লক দিয়ে ছেড়ে চলে যায়।বলে রাখি তার বাবা অনেক বড় জব করে, মান্থলি ৭ লাখের মত ইনকাম। ফ্যামিলি স্ট্যাটাস এর এত বিশাল গ্যাপ আমি  অর সাথে সম্পর্কে জড়ানোর আগে জানতাম না।  অন্যের টাকার প্রতি   আমার বিন্দু মাত্র লোভ নেই। বরং আমি সবচেয়ে খুশি হতাম সে যদিি আমার মত মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির হত ।  আমার ফ্যামিলিতে আব্বু আম্মু দুজনেই ৩য় শ্রেনীর সরকারী চাকুরীজীবী। আমার বয়স ২২। মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ইন্টার্ণশিপের অপেক্ষায় আছি। আমি কিছুতেই তাকে জীবন থেকে মুছে ফেলতে পারতেছি না। চলে যাওয়ার পর নিজেকে ফেইল্ড মনে হয়, ভিতর টা খালি খালি লাগে। লাইফ ব্যার্থ মনে হয়, আমি জানি এরকম ভাবা ঠিক না। এখন আমার কাছে ওকে জীবনের অত্যাবশ্যকীয় একটা উপাদান মনে হয়।ব্যাপার টা এরকম না যে ও আহামরি সুন্দর।কিন্তু তবু সে আমার কাছে সৌন্দর্যের একক। প্রেম করা জায়েজ না ইসলামে। তাই আমি প্রেমের ব্যাপারে কোন সাজেশন চাচ্ছি না। চাচ্ছি ওকে নিয়া ইসলামি জীবন যাপন করতে।বর্তমানে আমি বিয়ের খুব প্রয়োজনবোধ করছি, দৃষ্টি নত এবং শারিরীক চাহিদার জন্য।  কি আমল করলে আল্লাহ খুশি হয়ে আমার জীবনে তাকে দান করবেন, প্লিজ সাজেস্ট মি। আমি ইসলামের বাইরে গিয়ে কিছু করতে ইচ্ছুক নই। 


থ্যাংক্স ইন এডভান্স। 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

প্রথমে আপনাকে অভিনন্দন জানাই থ্যাংকস এর আগের বাক্যটির জন্য।

দ্বিতীয়ত বলব, আপনার বর্ণনা অনুযায়ী মেয়েটির স্বভাব আপনাকে ও আপনার পরিবারকে ধ্বংস করে দিবে। অবাক হবেন না। সে ধনীর দুলালী তাই বলছি না, তার ব্যক্তিগত স্বভাবের কথার জেরে বলছি। বিয়ে করলেই সব কিছু নয়। বরং শুরু। বাকী জীবন দুর্বিসহও হতে পারে এমন স্বভাবের নারী দ্বারা। তবে আপনার মন-মানষিকতা যেমন সে টিকতে পারবে না। তবে আপনাকে সাধুবাদ জানাই। মানুষকে এমন হওয়া উচিত তবে সেটি প্রেমের ক্ষেত্রে নয়, বৈবাহিক জীবনের জন্য বেশি প্রয়োজন। কেননা, বিবাহিত বহু নারী পুরুষ আছে যারা বহু গামী। অন্তত আপনি সে রকম নন।

শেষ কথা, ইসলামে কখনো কাউকে কোন ভাবে বাধ্যগত করার আমল নাই। তবে অবাধ্য সন্তানের ক্ষেত্রে পিতামাতার জন্য দোআ আছে বা স্বামী-স্ত্রী বিষয়ক আমল আছে, তাও আবার ভালবাসা বা ঝগড়া বিষয়ক। অন্য কোন বিষয়ে বাধ্য করা নয়। কেননা, ইসলামে এমন আমল দিলে বিষয় টা কেমন হতো একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝাচ্ছি। 

ধরুন, এলাকার সবচেয়ে লুচ্চা, চোর, বদমাইশ আমার বোনকে পছন্দ করে। বোন তাকে পছন্দ করেই না। সে তাকে পাবার জন্য ইসলাম থেকে কোন আমল খুঁজে পেল। আমাদের সবার অনিচ্ছা সত্বেও সে আমলের জোরে বোনকে সে বিবাহ করলো। 

ইসলাম কি এমন ধর্ম?

ইসলামে এ ধরনের আমলের কোন বৈধতা নাই। যে বা যাহারা, এ ধরনের ধান্ধা করে নিজের পকেট ভরছে তাদের থেকে 100 হাত দুরে থাকুন। কোন লকেট, কোন পাথর, কোন দোআ, আমল, কোন তাবিজ কখনো এই ক্ষেত্রে জায়েজ হতে পারে না।

আপনাকেও ধন্যবাদ, বিষয়টি শেয়ার করার জন্য

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ