আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ৪র্থ বর্ষের ছাত্র।

একটা মেয়ের সাথে আমার রিলেশন প্রায় সারে ৪ বছর।

মেয়ের ফ্যামিলি থেকে আগে না মানলেও এখন মেনে নিয়েছে।

সমস্যাটা হচ্ছে ওর সাথে মিসতে আমার পাপবোধ হচ্ছে,

আবার বিয়ে ও করতে পারছি না, কারন আমি এখনো ছাত্র।

এমতবস্তায় আমারা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা কাজি অফিসে গিয়ে লুকিয়ে বিয়ে করব।

কিন্তু এ বিষয়ে নেট ঘেটে যতটুকু যেনেছি যে মেয়ের অবিভাবক এর সম্মতি ছাড়া বিয়ে হবে না।

এখন কথা হচ্ছে মেয়ের বাবা আমাদের সম্পর্কটা মেনে নিয়েছেন,

এবং ভবিষ্যতে তিনি আমার সাথেই তার মেয়ের বিয়ে দিবেন,

এমতবস্তায় আমাদের লুকিয়ে বিয়ে করা কি যায়েজ হবে?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ভাই ! আপনার প্রশ্নের ধরন দেখে মনে হচ্ছে, আপনার নৈতিকতাবোধ বেশ শক্ত। এটা বেশ প্রশংসনীয় দিক। তবে আমাদের জানা থাকা প্রয়োজন, ইসলামী আইনে বিবাহপূর্ব প্রচলিত প্রেম ভালবাসা অনুমোদিত নয়। প্রতিটি মুসলিমেরই এ ব্যাপারটিতে সচেতন হওয়া কর্তব্য। কারণ বিবাহ শুধু সামাজিব বা পারিবারিক কোনো বন্ধনই নয়; এটা অন্যতম একটি ইবাদত বটে। ইবাদাতকে ইবাদাতের বিধি মেনেই পালন করতে হয়। নতুবা তা নামসর্বস্ব ইবাদাতের রূপ ধারণ করে। বিবাহ যেহেতু একটি ইবাদাত। সুতরাং এতে যেন কোনো প্রকার পাপাচার বা অনাচারের সংমিশ্রণ না ঘটে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। মা বাবাকে অসন্তুষ্ট করা মহা অন্যায় এবং মহাপাপ। বাবা মাকে না জানিয়ে যদি বিবাহ করা হয় তাহলে বাবা মা যে ভীষণ অসন্তুষ্ট হবেন তা বলাই বাহুল্য। সুতরাং বাবা মাকে না জানিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া আদৌ বিধিত হবে না। এতদ সত্ত্বেও যদি আপনাদের মাঝে বৈবাহিক সমতা বিদ্যমান থাকে তাহলে বিবাহের অন্যান্য শর্তাবলী পালন সাপেক্ষে মেয়ের অভিভাবকের সম্মতি ব্যতিরেকেও বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে। আর যদি বৈবাহিক সমতা না থাকে তাহলে মেয়ের অভিভাবকের সম্মতি ব্যতিরেকে বিবাহ শুদ্ধ হবে না। যেহেতু মেয়ে পক্ষ সম্মতি প্রকাশ করেছে তাই আপনাদের জন্য লুকিয়ে বিবাহ না করে ধৈর্যের সাথে অপেক্ষা করাই হবে সর্বোত্তম কাজ। ধর্ম পালনে মনোযোগী হলে আপনাদের জন্য অপেক্ষা করা সহজতর হবে বলে আশা করি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ