♦কদম / পা স্পর্শ করে সালাম প্রদান প্রসঙ্গ♦
রাসূল সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি ছোটদের স্নেহ করে না এবং বড়দের সম্মান করে না সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয় ( সুনানে আবী দাউদ ও সুনানে তিরমিযী)।
তবে তা এমন পদ্ধতিতে হতে হবে যেন তা কোরআন হাদীসের বিরোধী(সাংঘর্ষিক) না হয়। আমাদের সমাজে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে , অনেকেই কদম / পা স্পর্শ করে বড়দের সালাম করে। বিশেষকরে বিবাহের অনুষ্ঠানে,মাতাপিতাকে বা শিক্ষকগণকে সালাম করার সময়। ফতোয়ার কিতাবে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, ইহা সুন্নাতের বিপরীত, ইসলামের বিপরীত। ইহা বর্জন করা আবশ্যক ( ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া খঃ ১৯ পৃঃ ৭০)
হযরত আনাস রাঃ বলেন, আমি রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসূল্লাহ! আমাদের মধ্যে কেহ যদি তার অপর মুসলিম ভাইয়ের সাথে বা বন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করে তাহলে কি তার জন্য ইনহেনা করবে? জবাবে রাসূল সাঃ বলেন, “না”।( সুনানে তিরমিযী ও সুনানে ইবনে মাযা)
মোল্লা আলী ক্বারী রঃ তাঁর “মিরকাতুল মাফাতীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ” হাদীসের ব্যাক্ষা গ্রন্থে বলেন, ইনহেনা অর্থ মাথা এবং পিঠকে ঝুকানো। রাসূল সাঃ ইনহেনা করতে নিষেধ করেছেন কেননা ইহা রুকু ও সিজদার সাদৃশ্য। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে কদম/পা স্পর্শ করে সালাম প্রদান করা থেকে হেফাযত করুন।
পা ধরে সালাম বা কদমবুসি করা শরী‘আত সম্মত নয়।
আনাস (রাঃ) বলেন, জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি যখন তার কোন ভাই বা বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাত করবে, তখন সে কি মাথা ঝুঁকাবে বা তাকে জড়িয়ে ধরবে বাচুমু খাবে? তিনি বললেন, না।
লোকটি বলল,তাহ’লে কি কেবল হাত ধরবে ও মুছাফাহা করবে? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, হ্যাঁ’
(তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৬৮০ ‘শিষ্টাচার’ অধ্যায়, মুছাফাহা ও মু‘আনাক্বা অনুচ্ছেদ-৩)