জিঙ্ক ও আয়রন গ্রহণ
জিঙ্ক আর আয়রন আমাদের মাথার ত্বকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রাখে। আর মাথার চুল পড়ে যাওয়ার জন্য দায়ী কারণ গুলোর একটি হলম মাথার ত্বকে অক্সিজেনের সল্পতা। তাই চুল পড়া বন্ধ করতে জিঙ্ক আর আয়রন বেশী বেশী গ্রহণ করুন। যেমন মটরশুঁটি, বাদাম, কলিজা, মাংস, দুধে আপনার প্রয়োজনীয় জিংক আর আয়রন বিদ্যমান। আপনি আপনার খাবার তালিকায় এই খাবারগুলো রাখতে ভুলবেন না।
মাথায় নতুন চুল গজাতে কালোজিরার তুলনা হয়না। এখন বাজারে হরহামেশাই কালোজিরার তেল কিনতে পাওয়া যায়। আপনি চাইলে মাথায় কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন আবার ইচ্ছে করলে কালোজিরা খেতে পারেন।
চুল শ্যাম্পু দিয়ে পরিস্কার রাখবেন, সপ্তাহে
দিন দিন।
চুলের যত্নে অনেক উপাদান ব্যবহার করলেও পেয়ারা পাতার ব্যবহার আপনার কাছে নতুন ও বিস্ময়কর মনে হতে পারে। কিন্তু রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশি এই ফল শরীর ও চুলের জন্য যেমন উপকারী তেমনি তার পাতাও উপকারী। পেয়ারা ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘বি’ যা চুলের বৃদ্ধি ও পুষ্টিতে সাহায্য করে। আর তাই এই গাছের পাতা নিয়মিত চুলের যত্নে ব্যবহার করলে চুলপড়া রোধ করা সম্ভব। সাধারণত চুলপড়া রোধে বাজারের রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারের চেয়ে প্রাকৃতিক এই উপাদান ব্যবহার করে অনেক উপকার পাবেন। তাই চুলের যত্নে কীভাবে পেয়ারা পাতা ব্যবহার করবেন এই বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে অনলাইন বিউটি সাইট ‘স্টাইল ক্রেজ ডটকম’-এ। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সহজ উপায়টি। যা যা লাগবে পেয়ারা পাতা ১০-১৫টি ও পানি এক লিটার। যেভাবে ব্যবহার করবেন একটি পাত্রে পেয়ারা পাতা ধুয়ে নিন। এরপর এক লিটার পানিতে ১৫-২০ মিনিট সেদ্ধ করুন। সাধারণ তাপমাত্রায় ঠান্ডা করে পাতা থেকে পানি আলাদা করে নিন। এবার হাতের আঙুল দিয়ে এই পানি চুলের গোড়ায় লাগান। কিছু সময় ধরে ম্যাসাজ করুন। শেষে ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই রস ব্যবহারে চুলের গোড়া শক্ত হওয়ার পাশাপাশি চুলপড়া রোধ হয়।