আমার নাম সাজ্জাদ।  বয়স মাত্র ২১ বছর। কিন্তু এই ২১ বছরেই মাথার চুল পরে প্রায় টাক হয়ে গেছে। এইভাবে চললে হয়তো ১ বা দেড় বছরেই সম্পুরনভাবে  মাথায় টাক পরে যাবে। এখন বুঝতে পারতেছিনা কি করব। প্লিজ এর কোন সমাধান দিন। আরেকটি কথা আমাদের বংশের প্রায় সবার মাথায় টাক আছে।  তাই  হরমন জনিত কোনো কারনে এমন হহচ্ছে নাকি? প্লিজ জানাবেন। image


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

সাধারণত কোন রোগের কারণে অথবা ঔষধ খাওয়াতে ইফেক্ট হয়ে চুল পড়লে এর বিভিন্ন চিকিৎসা দেওয়া হয়। এবং চুল পড়া বন্ধ হয়, নতুন চুলও গজায়। কিন্তু বংশগত কারণে চুল পড়লে এতে কোন ঔষধ কাজ করবেনা। এর একমাত্র সমাধান হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টটেশন, অর্থাৎ পিছনের চুল এনে সামনে টাক জায়গাতে প্রতিস্থাপন করা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

দুটি পদ্ধতির কথা বলবো আমি যা উপকারী---- চুলের গোঁড়ায় হেয়ার ফলিকল থাকে। ভাইব্রেশনের মাধ্যমে যদি ফলিকল উদ্দীপিত করা যায় তবে নতুন চুল গজানো সম্ভব। বাজারে ভাইব্রেটিং ম্যাসেজার কিনতে পাওয়া যায়। এর সাহায্যে আপনি স্ক্যাল্পে চক্রাকারে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাথায় ভাইব্রেটিং ম্যাসাজ নিতে পারেন। যে জায়গায় বেশি চুল পড়ে যাচ্ছে, তাতে বেশি মনোযোগ দিন। এভাবে ৫ থেকে ১০ মিনিট আপনার স্ক্যাল্প ভাইব্রেট করুন। ভালো ফল পেতে এটাও আপনাকে দিনে ৩ বার করতে হবে। আরেকটি পদ্ধতি হল মেডিকেশন । চুলের জন্য ওষুধ। অনেক গবেষণার পর ফেনাস্টেরাইড আর মিনোক্সিডিল নামের দুটো ওষুধ চুল গজানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। দুটি ওষুধের-ই সাইড ইফেক্ট আছে। মিনোক্সিডিল এর দুইটা কনসেনট্রেশন পাওয়া যায়। ২% আর ৫%। ২% মিনোক্সিডিল মেয়েদের জন্য আর ৫% মিনোক্সিডিল ছেলেদের জন্য। এটা বাজারে জেনোগ্রো নামে পাওয়া যায়। স্প্রে করে মাথার স্ক্যাল্পে দিতে হয়।খাদ্যাভ্যাসঃ ০১. প্রোটিনঃ পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন – আমাদের চুল মূলত কেরাটিন দিয়ে গঠিত। এটি অ্যামিনো এসিড দিয়ে তৈরি এক ধরণের প্রোটিন। তাই নতুন চুল গজানোর জন্যে অবশ্যই আপনার শরীরকে পর্যাপ্ত অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করতে হবে। মাছ, মাংস, পনির, দুধ, ডিম – আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনই এগুলোর অন্তত একটি রাখার চেষ্টা করুন। সয়াবিন, মটরশুঁটি, কলা, বাদাম ইত্যাদি থেকেও পেতে পারেন। তবে নন-ভেজিটেরিয়ান খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। ০২. আয়রন আর জিঙ্কঃ আয়রন আর জিঙ্ক আপনার মাথার কোষে অক্সিজেন পরিবহন করে নিতে সহায়তা করবে আর নতুন টিস্যু তৈরিতে এবং ক্ষয়রোধে সহায়তা করবে। পরিমিত পরিমাণে আয়রন আর জিঙ্ক নতুন এবং দ্রুত চুল গজানোর জন্যে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মটরশুঁটি, বাদাম, কলিজা, মাংস, দুধে আপনার প্রয়োজনীয় জিংক আর আয়রন বিদ্যমান। ০৩. ভিটামিন সিঃ পেয়ারা, লেবু, কমলা, আনারস, কামরাঙা, কাঁচা মরিচে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আপনার চুলের বৃদ্ধি এবং গজানোর জন্য সহায়ক। ০৪. কালোজিরাঃ কালোজিরা নতুন চুল গজানোর জন্যে সহায়ক। মাথায় কালোজিরার তেল ব্যবহার করা আর খাবারে কালোজিরা ব্যবহার খুব ভালো ফল দেয়।এই পদ্ধতি ছাড়াও আপনাকে খাদ্যাভ্যাস আর কিছু সাধারণ যত্ন নিতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ