আমি বোঝাতে চাচ্ছি, ইসলামে ব্যভিচার যিনা থেকে বাঁচার জন্য বিয়ের প্রয়োজন দেখা দিলেই বিয়ে করার আদেশ দিচ্ছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বিয়ের প্রয়োজন হলেই বিয়ে করা সম্ভব হচ্ছে না। একটা ছেলেকে তার পরিবারের হাল ধরে বিয়ের উপযুক্ত হতে প্রায় ৩০-৩৫ বছরের বেশি সময় লেগে যায়। একটা ছেলের যখন যৌন তাড়না কষ্ট দেয়, যখন তার বিয়ে করা প্রয়োজন তখন সে বিয়ে করতে পারে না। অথচ এই সময়টাতে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারা মুশকিল, গুনাহ করার প্রবণতা বেশি থাকে। কিন্তু ৩৫/৪০ বছরে যৌন তাড়না থাকলেও তা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। আমি কি বলতে চাচ্ছি নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন?? এখন প্রশ্ন হলো, এই বয়সে বিয়ে করার আর প্রয়োজনই বা কি? যে কঠিন সময় পার করতে পেরেছে যখন গুনাহ করার সম্ভাবনা ছিল সে সময়টা যে পার করতে পেরেছে সে তো অনায়াসেই বাকি সময় পার করতে পারবে। এবয়সে আর বিয়ে না করলে কোন গুনাহ হবে কিনা?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

বিয়ে এজন্যই করতে হবে কারণ প্রথমত বিয়ে করা ফরজ। আপনি যে বলছেন ৩৫-৪০ বছরের কথা এই ধরনের বিয়ে আমাদের দেশে খুব কমই দেখা যায়। সাধারণত গ্রামের স্বল্প শিক্ষিত ছেলেরা ২০-২৫এর মধ্যেই সব বিয়ে করে সন্তানের বাবা হয়ে যায়। আর যারা উচ্চ শিক্ষিত হয়ে চাকুরী করে তারা বিয়ে করতে সামান্য দেরি করে, বলতে পারেন ২৫-৩০ মধ্যে। আপনি যেই বয়সের কথা বলেছেন তা, প্রবাসীরা বিয়ে করে থাকে। পরিশেষে বিয়ে না করলে আপনি অবশ্যই গোনাগার হবেন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Pavelbd

Call

নবী (সা.) যেহেতু বিয়ে করেছেন তাই বিয়ে করা সুন্নত। আর ফরজ হবে, যদি আপনার চাহিদা থাকে, আপনার যদি আশঙ্কা থাকে আপনার নৈতিক যে পবিত্রতা রয়েছে সেটি রক্ষা হবে না, যেকোনো ধরনের অপরাধ, অন্যায়, ব্যাভিচারের মধ্যে লিপ্ত হতে পারেন, তাহলে আপনার জন্য ফরজ। মূলত এখানে বিয়ের বিধানটি নির্ভর করছে ব্যক্তির ওপর। বিষয়টি আপেক্ষিক। কারো জন্য ফরজ, কারো জন্য সুন্নত। এর বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে।

কেউ যদি নিজেকে সংযত করতে পারেন, বিয়ে করতে না চান, সে ক্ষেত্রে তাঁর কোনো গুনাহ হবে না। তিনি যদি মনে করেন, তাঁর কোনো আশঙ্কা নেই, নৈতিক অবক্ষয় হবে না এবং যদি মনে করেন বিয়ে না করলেও চলবে, তাহলে তাঁর জন্য জায়েজ আছে বিয়ে না করা। এটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

সুত্র এনটিভি ইসলামিক প্রশ্ন উত্তর

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

যদি বিয়ে না করলে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয় তবে বিয়ে করা ফরজ।স্বাভাবিক অবস্হা হলে সুন্নাতে মুয়আক্কাদা।

তবে এখানে অনেকেই জানতে চেয়েছেন,বিয়ে করা ফরজ এর দলীল কি? হ্যাঁ শরিয়তের যে হালাল কাজটি না করলে স্পষ্ট হারামে লিপ্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দেয় তা ফরজে পরিণত হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ