ডাক্তারকে দেখানো পর ঠিক হচ্ছেনা কি ওষুধ খেতে হবে?? আর কি কি খাবার খেতে হবে??
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Yakub Ali

Call

প্রকৃত কারণ নিশ্চিত না করে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ দেয়া সম্ভব হয় না। রক্ত পরীক্ষার ফলে নির্দিষ্ট রোগীর জন্য নির্দিষ্ট ওষুধ বাছাই করা সম্ভব হয়। তাই রোগীর শরীরের উচ্চ রক্তচাপের কারন গুলো ধরা না পড়া পর্যন্ত টেস্টগুলো নিয়মমাফিক করতে হবে। এটা সাময়িক ভাবে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ডাক্তার রোগীর জন্য সঠিক মেডিসিন ও উপযুক্ত থেরাপি বাছাইয়ের সময় পান। উচ্চ রক্তচাপ সাধারনত ব্যক্তির খাদ্যাভাস,বাড়তি ওজন, এবং জীবন যাপন পদ্ধতির উপর নির্ভর করে। তাই এসব বিষয়ের যথাযথ ও নিয়মিত সঠিক পরিচর্যা আর অভ্যাস গড়ে তুলে উচ্চ রক্তচাপকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অনেক সময় রোগীর ওষুধ সেবনেরও দরকার পড়ে না।

উদাহরণ হিসাবে, প্রতিদিনের খাবার থেকে সোডিয়াম লবনকে বাদ দিন। সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপের জন্য ভীষণ বিপজ্জনক। বেশীরভাগ ফাস্টফুডে বা যে সব খাবারে প্রিজারভেটিভ দেয়া থাকে তাতে সোডিয়ামের মাত্রা অনেক বেশি থাকে। তাই সবার প্রথমে এসব খাবারকে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন। বেছে নিন প্রাকৃতিক, দেহের জন্য উপকারি খাবারগুলোকে। শুধু মাত্র এই একটি স্মার্ট কৌশলই দেখবেন আপনাকে কতটা সফল করে তোলে।

হাল্কা ব্যায়াম হতে পারে আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনের আরেকটি চমত্কার কৌশল। সঠিক খাদ্যাভাস আর নিয়মিত ব্যায়াম একসঙ্গে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করবে,যা আপনাতেই উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা কমিয়ে আনে।

উচ্চ রক্তচাপ আপনার অজান্তেই হৃৎপিণ্ড’র রক্ত চলাচলের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকেও বাধাগ্রস্ত করতে পারে। ফলে স্ট্রোকের সম্ভাবনাও অনেক গুন বেড়ে যায় । তাই ডাক্তারের পাশাপাশি আপনি ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতিও চেষ্টা করে দেখুন। প্রতিদিনের কিছু বাজে অভ্যাস যেমন ধূমপান ছেড়ে দিন। ওজন নিয়ন্ত্রনে নিয়মিত ব্যায়াম

    ১. উত্তেজনাময় মন স্থির করা


    যেসব চিন্তা, দুঃখের মতো আবেগপূর্ণ অথবা হঠাত্ উত্তেজনাময় উদ্দীপিত সেইসব চিন্তা মানুষের ক্লান্ত শরীরের স্নায়ুগুলোকে উত্তেজিত করে এবং শরীরের রক্তনালীর সঙ্কোচন ত্বরান্বিত করবে, ফলে মানুষ সহজভাবেই উচ্চ রক্ত চাপ বেড়ে যাবে । তাছাড়া, যদি উচ্চ স্বরে কথা বলেন, রক্তের চাপ স্বাভাবিক কথা বলা সময়ের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি হবে । এ জন্য আপনারা সবসময় স্বাভাবিকভাবে কথা বলুন এবং মন শান্ত রাখার চেষ্টা করুন ।


    ২. বেশি রসুন খাওয়া


    বিদেশের এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, উচ্চ রক্ত চাপের রোগীরা পরপর ১২ সপ্তাহ প্রতিদিন সামান্য রসুন খেলে , রক্তের চাপ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।


    ৩. দূধ খাওয়া


    গবেষণা থেকে জানা গেছে, শরীরের মধ্যে কম ক্যালসিয়াম থাকলে সহজভাবে উচ্চ রক্ত চাপ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে । দূধের মধ্যে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে, প্রতিদিন দুই কাপ দূধ খান, মানুষের শরীরে তা ৭০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দেবে । মনে রাখুন, দূধ খাওয়ার আগে , একটু খাবার খান । যা শরীরের ক্যালসিয়া গ্রহণ ত্বরান্বিত করবে ।


    ৪. কলা খাওয়া


    কলার মধ্যে প্রচুর পটাশিয়াম রয়েছে । পটাশিয়াম মানুষের স্বাভাবিক রক্ত চাপের জন্য সহায়ক । প্রতিদিন একটি কলা খেলে, রক্ত চাপের স্বাভাবিকায়ন ত্বরান্বিত হবে ।


    ৫. শরীরের ওজন কমাতে যুক্তিযুক্ত ব্যয়াম করা


    মোটা হচ্ছে বহু ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ । উচ্চ রক্ত চাপের রোগীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ হলেন বেশি মোটা লোক । এ জন্য নিজেদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা রক্ত চাপের স্থিতিশীলতার জন্য সহায়ক । তা ছাড়া, প্রত্যেক সপ্তাহে তিন বার ব্যায়ম করে, প্রত্যেকবার ২০ বা ৩০ মিনিট চর্চা করে রক্ত চাপ কমানো ত্বরান্বিত করা যায় । যেমন হাঁটা, জিম্যাস্টিক ইত্যাদি ।


    ৬. যথেষ্ট ভিটামিন সি খাওয়া


    বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যেসব মানুষ বেশি ভিটামিন সি খায় , সেসব লোকের উচ্চ রক্ত চাপে আক্রান্ত হওয়ার হার কম । এ জন্য সাধারণ জীবনে আপনারা বেশি ভিটামিন সি যুক্ত ফল ও সবজি খাওয়া ভালো ।যেমন কমলা, বাতাবী লেবু ও টমেটো।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ