আমরা সবাই জানি যে, ইসলামের সকল কর্মের ভিত্তি নিয়তের ওপর রাখা হয়েছে। নিয়ত অনুযায়ী প্রত্যেককে তার কর্মফল প্রদান করা হয়। যেহেতু আল্লাহ তাআলা প্রত্যেকের অন্তরের খবর জানেন তাই কে কোন নিয়তে পুণ্যকর্ম করেন তাকে তার নিয়ত অনুযায়ী পুরস্কার দেয়া হয়।
মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মানুষের কর্মের ফল নিয়ত এবং ইচ্ছার ওপর হয়ে থাকে।
এজন্য কোনো ইবাদত-বন্দেগি শুরু করার আগেও ইসলামে সঠিক নিয়ত ও নেক ইচ্ছার শর্ত রয়েছে। যখন কোনো মুসলমান কোনো বিশেষ-ইবাদতের নিয়ত করে আর তা আদায় করে, তখন তার সেই ইবাদত প্রকৃত অর্থে আদায় হবে। রোজা সর্ম্পকেও বলা হয়েছে যে, এর জন্য নিয়ত করা জরুরি। সবচেয়ে উত্তম হলো, রোজার জন্য মানুষ রাতে ঘুমানোর সময় ইচ্ছা ও নিয়ত করে ঘুমানো।
তবে রোজার নিয়তের জন্য কোনো অর্থ বোধক বাক্য পাঠ করা জরুরি নয়। নিয়ত সেই ইচ্ছারই নাম, যার জন্য সে কোনো খাদ্য ও পানীয় ছেড়ে দিচ্ছে। রোজার নিয়তের জন্য আলাদা কোনো দোয়া হাদিস থেকে পাওয়া যায় না।
তাই শুধু অন্তরে এতটুকু ইচ্ছা পোষন করা যে, হে আল্লাহ! আপনার সন্তুষ্টির জন্য আগামীকাল একটি নফল রোজা রাখার নিয়ত করছি। আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাত।
অর্থাৎ আপনি কেন রোজা রাখছেন সেটাই আপনার নিয়ত বা উদ্দেশ্য। মনের মধ্যে যেকোন ইবাদতের জন্য এই ইচ্ছা রাখাটা ফরজ যে, আমার সব ইবাদত হচ্ছে একান্তই আল্লাহর জন্য।
আর মনে মনে এই সিদ্ধান্ত বা ইচ্ছা পোষণ করার জন্যও কোন আরবি বাক্য শেখার দরকার নেই। আপনি আপনার সব চিন্তা যেমন বাংলা ভাষায় করেন মনের ভেতর, ঠিক একইভাবে নফল রোজা রাখার চিন্তা ও বাংলা ভাষায় করবেন।