শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

1)প্রথমে সিদ্ধান্ত নিন কেন ধূমপান ছাড়া আপনার জন্য জরুরী। অর্থাৎ কি কারণে ধূমপান ছাড়তে চান। যেমন ক্যান্সার ও হার্ট এ্যাটাকের ঝুকি কামাতে। 

2)কোন ধরনের থেরাপি বা মেডিকেশন ছাড়া ধূমপান ছাড়া ঠিকনয়। কারণ সিগারেটের নিকোটিনের ওপর ব্রেইন অনেক ক্ষেত্রে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ছেড়ে দিলেই নানা উপসর্গ শুরু হয়। তাই সিগারেটের বিকল্প থেরাপির কথা চিন্তা করতে হবে। 

3)নিকোটিনের বিকল্প গাম, লজেন্স ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।

4)নিকোটিনের বিকল্প ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। 

5)একা একা ধূমপান না ছেড়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্য (যদি ধূমপায়ী থাকেন), বন্ধু-বান্ধব ও সহকর্মীদের উৎসাহিত করে একসঙ্গে ধূমপান ত্যাগের ঘোষণা দিন। 

6)মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে হালকা ম্যাসাজ নিন। 

7)অ্যালকোহল পরিহার করুন। 

8)মনোযোগ অন্যদিকে নিতে ঘর পরিষ্ক্ষার করতে চেষ্টা করুন।

9)ধূমপান ত্যাগের জন্য বার বার চেষ্টা করুন। একবার ছেড়ে দিলে দ্বিতীয় বার আর ধূমপান করবেন না। 

10)নিয়মিত ব্যায়াম করুন। 

11)প্রচুর পরিমাণ সবুজ শাক-সবজি ও রঙিন ফলমুল খান। 

12)ধূমপান বন্ধ করে যে আর্থিক সাশ্রয় আপনার হবে তার একটা অংশ হালকা বিনোদনে ব্যয় করুন। 

13)আর ধূমপান ছাড়-ন বন্ধু-বান্ধব বা প্রেমিককে খুশী করার জন্য নয়, বরং আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্যই এটা করেছেন। এমন জোরালো অবস্থান নিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
ধুমপান মারাত্নক অভ্যাস। এই নেশা একবার পেয়ে বসলে তাকে ছাড়ানো প্রায় অসম্ভব। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৮৭ শতাংশ ধুমপায়ী তাদের এ নেশা কাটিয়ে উঠতে পারে না। একে একেবারে ছাড়ানো সম্ভব নয়। আস্তে আস্তে তাকে ছাড়নোর চেষ্টা করতে হবে। দৈনিক আপনার ১০টি সিগারেট লাগলে একটি বা দুইটি কমিয়ে ফেলুন। এভাবে কমাতে থাকলে আপনার একসময় নেশার ঘোর কমতে থাকবে। বলা যতটা সহজ করা ততটা সহজ হবে না। আপনার দৃঢ় মনোবলের উপর নির্ভর করছে আপনি কতটা সফল হবেন। ধন্যাবাদ।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ