ফাযায়েলে আমাল একটি হাদিসের
কিতাব। ফাযায়েলে আমাল মানার
অর্থ হল হাদিস মানা। আর এটা অস্বীকার
করা হল হাদিস অস্বীকার করা।
তাই ফাযায়েলে আমালকে মানতে
হবে; প্রত্যাখ্যান করা যাবে না।
তবে ফাযায়েলে আমালে কিছু দুর্বল
ও কয়েকটি জাল বর্ণনা রয়েছে। ওগুলো
মানা যাবে না।
.
মূলত ফাযায়েলে আমাল মানা যাবে
কি না বলে প্রশ্নটা একারণেই আসে যে,
এতে কিছু জাল বর্ণনা
রয়েছে। কিন্তু "সিহাহ সিত্তাহ"র অন্তর্ভুক্ত
সুনানে ইবনে মাজাতেও কিন্তু অনেক
জাল বর্ণনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে কেউ
বলে না যে, ইবনে মাজা মানা যাবে না!
কিন্তু ফাযায়েলে আমালের ক্ষেত্রে এটা বলে।
কারা বলে জানেন? মুসলমানদের মধ্যে
ফিতনা সৃষ্টিকারী ভ্রান্ত সম্প্রদায় "আহলে
হাদিস।" তারা এটা বলে, কারণ, এটা
লিখেছেন দেওবন্দী একজন আলেম।
আর দেওবন্দীরা ইংরেজের শত্রু
হিসেবে তাদেরও শত্রু। যদি শুধু জাল
ও দুর্বল বর্ণনার কারণে ফাযায়েলে
আমাল মানা যাবে না বলা হত, তাহলে
কয়েকশো বছর আগেই ইবনে মাজা
মানা যাবে বলে ফতোয়া আসত!!
.
মোটকথা, ফাযায়েলে আমাল হাদিসের
কিতাব, এটা মানতে হবে। তবে এতে
কিছু দুর্বল ও জাল বর্ণনা রয়েছে। ওগুলো
এড়িয়ে চললেই হল। ...
.
নামাজে নাভীর নিচে হাত বাঁধতে হবে।
বিস্তারিত দেখুন এই উত্তরে:
http://www.ans.bissoy.com/173168/