আমরা জানি লাইটিং লোডের জন্য পাওয়ার ফ্যাক্টর 95% থেকে 100% হয়ে থাকে । কিন্তু মোটরের ক্ষেত্রে নিম্ন মানের পাওয়ার ফ্যাক্টর যেমন ঃ 50% থেকে 90% হওয় থাকে । সিঙ্গেল ফেজ মোটরের পাওয়ার ফ্যাক্টর 40% হয়ে থাকে এবং ওয়েল্ডিং মেশিনের পাওয়ার ফ্যাক্টর 20% থেকে 30% পর্যন্ত হয়ে থাকে । KVA সরাসরি কারেন্টের সাথে সমানুপাতিক হওয়ায় প্রধান অসু্বিধা হল, পাওয়ার ফ্যাক্টর নিম্ন মানের হলে লাইনের কারেন্ট অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পায় । ফলে ইলেকট্রিক মেশিনারীজ যেমনঃ অল্টারনেটর, ট্রান্সফরমার, সুইট গিয়ার এবং ক্যাবল ইত্যাদি নির্দিষ্ট মানের কারেন্ট বহনের ক্ষমতা থাকে । কিন্তু যদি পাওয়ার ফ্যাক্টর নিম্ন মানের হয়, তাহলে কারেন্টের মান এর বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে মেশিনারীর কার্য দক্ষতা সঠিকভাবে রাখতে হলে পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নতি করা একান্ত প্রয়োজন । আর তাই পাওয়ার ফ্যা্ক্টর প্লান্ট বা PFI ব্যাবহার করে পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নতি করা হয় ।
নিম্ন প্রক্রিয়ার মা্ধ্যমে পাওয়া ফ্যাক্টর উন্নতি করা যায় ঃ
1. স্ট্যাটিক ক্যাপাসিটর
2. সিনক্রোনাস মোটর বা কন্ডেন্সার
3. ফেজ এডভ্যান্স ইত্যাদি ।
পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নতি করার নিমিত্তে যন্ত্রপাতি বসানোর নিয়মঃ
পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নত করার সরঞ্জামাদি যতদূর সম্ভব মেশিনের কাছাকাছি বসানো উচিত । যদি ট্রান্সমিশন লাইনের পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নত করার জন্য সিনক্রোনাস কন্ডেন্সার ব্যবহার করা হয় যা লাইনের শেষে বসানো হয় । কারণ জেনারেটর ট্রান্সফরমার লাইন উভয়ই অতিরিক্ত কারেন্ট বহনের হাত থেকে রেহাই পায় এবং ভোল্টেজ ঘাটতি ও লাইনে বৈদ্যুতিক শক্তির লস কম হয় ।