শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

হিজড়ারা মূলত যে কাজটি করে আয় উপার্জন করে থাকে তা হচ্ছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদেরকে নাচায়, ঢোল, ঘোঙ্গার, বাঁশি, খঞ্জনি তাদের বাদ্য যন্ত্র হিসাবে ব্যবহৃত হয় একটি নবজাতিকে নাচাতে ৩-৫ জন হিজড়া কাজ করে। একজন ঢোল বাজায়, একজন খঞ্জনি, একজন ঘোঙ্গর পাঁয়ে দিয়ে নবজাতককে কোলে নিয়ে নাচে। এই নাচার কাজটি ২ জনও করতে পারে। নবজাতককে নাচানোর জন্য ঐ পরিবার থেকে এক হাজার টাকা দাবি করে। যদি কম দেয়া হয় তারা তা নিতে রাজি হয় না। তারা নাছোড়বান্দা। যা দাবি করবে তা দিতে হবেই। বিশেষভাবে উল্লে¬খ করা যায় যে নবজাতককে নাচানোর এই রিতীটি গ্রামেই বেশি পরিচালিত হয়। তবে বর্তমানে হিজড়ারা নবজাতককে নাচানোর রিতীটা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। তারা অন্য অনেক ব্যতিক্রম ধর্মী কিছু কর্ম কান্ডের মাধ্যমে নিজেদের উপার্জন এর পথ বেছে নিয়েছে। বর্তমানে তারা দোকানে দোকানে দলবেধে যায় এবং প্রতি দোকান থেকে দশ টাকা চাঁদা নেয়। চাঁদার পরিমান অনেক সময় বেশিও হতে পারে। দোকানে গিয়ে দোকানীর সাথে হাসি, ঠাট্টা করে এবং চাঁদা বেশি নেওয়ার চেষ্টা করে। বর্তমানে গ্রামে আরও একটি আয়ের মাধ্যমে প্রচলিত আছে তা হচ্ছে হিজড়ারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা, চাউল, ডাউল, ইত্যাদি বিন্যাস পত্র চাঁদা নেয়। হিজড়াদের আরও একটি ব্যতিক্রমধর্মী আয় এর সন্ধান পাওয়া যায়। তা হচ্ছে যৌন ব্যবসা। তাদের যৌন ক্ষমতা না থাকলেও সাধারণ স্বাভাবিক মানুষের জন্য এরা মেয়েদের ভূমিকা পালন করে। এই পথেও তারা আয় করে থাকে। এদের যৌনাঙ্গ না থাকলেও তারা পায়ুপথে যৌনমকর্ম করে যৌনকর্মী হিসাবে কাজ করে অর্থ আয় করে থাকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ