লেবিয়া মেনোরা ও লেবিয়া মেজোরা এ দুটি অংশ হচ্ছে নারীর যোনি পথ তথা যোনিমুখের বাইরের দিকের দুটি ছোট ও বড় দরজা বিশেষ। লেবিয়া মেজোরা বা বৃহৎ ভগৌষ্ঠ হচ্ছে যোনি মুখের বড় দরজা। এগুলো দেখতে অনেকটা ঠোঁটের মত। এটি উপরের দিকে অবস্থিত মন্স পিউবিস অর্থাৎ কামাদ্রিরনিচের দিক হতে আরম্ভ হয়ে মাঝখানে দুভাগ হয়ে যোনি মুখের দু’পাশ দিয়ে এসে নিচের দিকে পেরিনিয়াম পর্যন্ত চলে এসেছে এবং সেখানকার দু’পাশের চর্মের সঙ্গে মিশে গেছে। লেবিয়া মেজোরার ভেতরের সমৃণ অংশ বহু মেদস্রাবীগ্রন্থি বা গ্ল্যান্ড আছে। লেবিয়া মেজোরার ভেতরের দিকেও যোনি মুখের উভয় পাশে থাকেছোট দুটি ঠোঁটের মত দেখতেক্ষুদ্র ভগৌষ্ঠ বা লেবিয়া মেনোরা। ভগাঙ্কুরের দু’পাশ দিয়ে নেমে এসে এটি যোনি পথ তথাযোনি মুখের দুটি দরজা বানিয়েছে। এই অংশ দুটি বেশ সূক্ষ্ম বা পাতলা এবংশ্লৈস্মিক ঝিল্লি দিয়ে গঠিত হওয়ায় খুব কোমল ও নরম। যোনি যখন প্রসারিত হয় অর্থাৎ যোনিতে যখন পুরুষ তার লিঙ্গ প্রবেশ করায় তখন এই ঠোঁট দুটি দু’পাশে সরে যায়। কুমারী মেয়েদের সন্তান হবার আগে যোনি মুখের এই দরজা ব অবস্থায় থাকে। তবে সন্তান হয়ে যাবার পর তা কিছুটা খোলা অবস্থাতেই থেকে যায়। এই আবরণ দুটি দরজার দু’খানা কপাট বা পাল্লার মত। প্রয়োজনে তা ব হয়ে গিয়ে যোনিমুখ ঢেকে রাখে এবং ঠিক সময়ে খুলে গিয়ে কিংবা সরে গিয়ে যোনিমুখকে আলগা করে দেয়। এই দুটি চামড়ার পুরু পর্দাটি অত্যন্ত অনুভূতিপ্রবণ এবং এখানে সপর্শ লাগা মাত্রই নারী কামোত্তেজনায় উত্তেজিত হয়ে পড়ে। নারী তখন সেক্স কামনা করতে শুরু করে। মন্স পিউবিস বা কামাদ্রি এই জায়গাটি থাকে যৌন কেশেআবৃত। বিশেষ করে এই যৌন কেশগুলো মলদার বা পায়ু পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকে। স্ত্রী দেহের উরুদ্বয় যেখানে এসে উদরের নিম্নভাগে মিশেছে সেই দুই অংশের মধ্যবর্তী স্থানে মন্স পিউবিস বা কামদ্রি অবস্থিত। অর্থাৎপিউবিসের উপরে চর্বি ও মাংসযুক্ত যে উঁচু গোলাকার ঢিবির মত অংশ আছেতাকেই বলে কামাদ্রি। এটি যোনি প্রদেশের খুব উঁচু ওচওড়া মাংসপিন্ড এবং এটি যৌন অনুভূতিশীল যৌন সঙ্গমের সময় ঘর্ষণের ফলে এখানে এক প্রকার সুখের অনুভূতি সৃষ্টি হয়। আর এইসুখানুভূতি কমোত্তেজনার পক্ষে দারুণ সহায়ক ও চমৎকার উপভোগ্যময়। ক্লাইটোরিস বা ভগাঙ্কুর এটি মন্স পিউবিসের নিচে অবস্থিত এবং লেবিয়া মেজোরার ঠিক উপরে এর অবস্থান। এটি একটি ছোট অঙ্গ। এক খন্ড ছোট উঁচু মাংসপিন্ড। এটি লম্বায় প্রায় ১/৪-১/৫ ইঞ্চি বা ১/২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে। বৃহৎ ভগৌষ্ঠদ্বয় বা লেবিয়া মেজোরা ফাঁক করলেই উপরের দিকে অবস্থিত এই ক্লাইটোরিস বা ভগাঙ্কুরটি দেখা যায়। ভগাঙ্কুরের আকার নিয়ে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করে থাকেন। কিন্তু এর আকারের খুব একটা পার্থক্য বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে দৃষ্টিগোচর হয় না বললেই চলে। এই ক্লাইটোরিসের দু’পাশ দিয়ে লেবিয়া মেনোরার দুটি দরজা অর্থাৎ ক্ষুদ্র ভগৌষ্ঠদ্বয় নিচের দিকে নেমে গেছে। ক্ষুদ্র ভগৌষ্ঠদ্বয়ের উপরের অংশ দ্বারা ক্লাইটোরিসটি ঘোমটার মত ঢাকা থাকে। ক্লাইটোরিসের উপরে যে চর্মের আবরণ থাকে তাকে বলে প্রিপিউস অফ ক্লাইটোরিস। পুরুষাঙ্গের অগ্রচ্ছাদার মত এটিও হচ্ছে ক্লাইটোরিসের অগ্রচ্ছাদ। আর ক্লাইটোরিসের অগ্রভাগে একটি ক্ষুদ্র মত মাংসের পিন্ড আছে একে বলে গ্ল্যান্স অফ ক্লাইটোরিস। এটি ছেলেদেরগ্ল্যান্স পেনিস বা লিঙ্গ মুন্ডের অনুরূপ এবং ক্লাইটোরিসের এই অংশটি হচ্ছে অত্যন্ত যৌন অনুভূতিশীল। ক্লাইটোরিস হচ্ছে নারী দেহের সবচেয়ে উত্তেজক ও সপর্শকাতর ক্ষুদ্র যৌন অঙ্গ বিশেষ (সেনসিটিভ পার্ট)। এটি সপর্শ করলে নারীরা সহজেই এবং শীঘ্রই যৌনকামনায় উত্তেজিত ও শিহরিত হয়ে যৌন অনুভূতি ও সেক্সের তীব্রতা পায় এবং নারী যৌনমিলনে চমৎকার মনমাতানো তীব্র তৃপ্তি ও স্বাদ পেয়ে থাকে এবং পেয়েথাকে অবর্ণনীয় চমৎকার যৌন সুখ। ক্লাইটোরিস বা ভগাঙ্কুর আকার ও আকৃতিতে এতটা ছোট অথচ এর সপর্শকাতরতা এবং সেক্স উত্তেজনা গ্রহণের মাত্রাখুব বেশি ও গভীর। মজার কথা হল এর সাথে ছেলেদের লিঙ্গের অনেক দিক থেকেই মিল আছে। তাই একে পুরুষাঙ্গের সমতুল্য যন্ত্রও মনে করা হয়। উত্থানশীল টিস্যু দিয়ে গঠিত হওয়ায় উত্তেজিত হলে এটি ছেলেদের লিঙ্গের মতোই শক্ত ও খাড়া হয়ে থাকে। অতএব এসব দিক থেকে বিবেচনা করে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, সেক্সের ‘চরম সুখের’ ক্ষেত্রে ক্লাইটোরিস বা ভগাঙ্কুরের গুরুত্ব সর্বাধিক।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ