ফেরেস্তারা নূরে তৈরী | তারা শুধু মাত্র আল্লাহ ইবাদের জন্য সৃষ্টি যে কোন প্রকার পাপ,হিংসা,লোভ লালসা,ঘুম যাবতীয় কিছু স্পর্শ করতে পারে না | ফেরেস্তারা পুরুষ নয় আবার মহিলা নয় | ফেরেস্তাদের সংখ্যা যে কত তা একমাত্র আল্লাহ ভালো জানেন | ফেরেস্তারা যে কোন রূপ ধারণ করতে পারে | আল্লাহ যখন যা হুকুম দেন ফেরেস্তারা তখন সেই রূপই ধারণ করে | যতদূর জানা যায় হযরত জিবরাইল(আঃ) ৬৫০ পাখা আছে | আবার রাসুল(সাঃ) কে যখন সিনাহ পবিত্র করা হয়েছিল তখন জিবরাইল(আঃ) সাদা কাপড় পড়া মানুষের আকৃতি ধারণ করেছিলেন | যখন রাসুল(সাঃ) ওহী নিয়ে আসতেন তখন বেশি ভাগই দাইয়াতু কাবলী(রাঃ) রূপ ধারণ করে আসতেন | সুতরাং বলা যায় ফেরেস্তাদের নির্দিষ্ট রূপ নেই আল্লাহ যখন যে রূপ ধারণ করতে বলেন তারা তখন সেই রূপই ধারণ করে |
জিবরীল আ. একজন উঁচু মাপের ফেরেশতা। আর ফেরেশতাদের মাঝে লিঙ্গ বৈষম নেই। তারা নারীও নয়; পুরুষও নয়। মক্কার মুশরিকরা ফেরেশতাদেরকে আল্লাহর কন্যা বলে বিশ্বাস করতো। সে প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদের পালনকর্তা কি তোমাদের জন্যে পুত্র সন্তান নির্ধারিত করেছেন এবং নিজের জন্যে ফেরেশতাদেরকে কন্যারূপে গ্রহণ করেছেন ? নিশ্চয় তোমরা গুরুতর গর্হিত কথাবার্তা বলছো। সূরা আলইসরা ৪০। ফেরেশতাদের প্রকৃত গঠনগত রূপ কেমন তা একমাত্র আল্লাহ তাআলাই জানেন। তবে তারা মানুষের আকৃতি ধারণ করতে সক্ষম। সুতরাং জিবরীল আ. ছেলও নন; মেয়েও নন। দৈহিক গঠনগত দিক থেকে তিনি লুকায়িত এবং অজ্ঞাত। এতটুকু জানা যায় যে তিনি নূরের দ্বারা তৈরি। অতএব জিবরীল আ. দেখতে কেমন তা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না।