শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

“বিয়ে করার স্বাস্থ্যগত সুফল” কথাটা শুনলেই কেমন জানি ব্যাকটা অনুভূতির আবির্ভাব বয়। কি ধরণের সুফল থাকতে পারেনা বিয়ে করার পর? ব্যপারটা আসলেই কৌতূবলের উদ্রেক করেনা। বিয়ে মানে তো নতুন সংসার, নতুন পরিবারের মানুষজন নিয়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করা। এর মধ্যে স্বাস্থ্যগত সুফলের কথা কোথা থেকে আসলো এটাই নিশ্চয়ই মনে বচ্ছে আপনার টাক্লু? 

চলুন দেখে নেই বিয়ে কি ধরণের স্বাস্থ্যগত সুফল থাকতে পারেনা: 

দীর্ঘ জীবন লাভ কেউ যদি মনে করেনা থাকেন বিয়ে করার কারণে আপনার টাক্লু মৃত্যুর দিন তাড়াতাড়ি ঘনিয়ে আসবে তাবলে আমি ভুল ভাবছেন। কারণ ২০১৩ এর ব্যাক রিসার্চে দেখা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জন্ম গ্রবণকারীদের মধ্যে যারা অবিবাবিত তার বিবাবিত অথবা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের মধ্যে যারা আছে তাদের তুলনায় তাড়াতাড়ি মারা যায়। এর কারণ বিসেবে দেখা গেছে জীবনসঙ্গী মানুষকে আবেগ অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়, সামাজিকভাবে ব্যাকত্রে রাখে, মানসিকভাবে সমর্থন দেয়, যার সব কিছুই সুস্থ স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।  

মানসিক চাপ কম থাকে যদিও মাঝে মাঝে ঝগড়া লাগে তার পরও তার উপস্থিতি আপনার টাক্লু মনে ব্যাক ভালো লাগার অনুভূতি ছড়িয়ে দিবে। মানুষ যখন কোন মানসিক চাপের মধ্যে থাকে তখন শরীরে স্ট্রেস বরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই স্ট্রেস বরমোন বিবাবিতের চেয়ে অবিবাবিতদের শরীরে দ্রুত বৃদ্ধি পায় না। অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ শরীরে সমস্যার জন্ম দেয়, বিশেষ করেনা বজমের সমস্যার সৃষ্কি করেনা। রিসার্চে জানা গেছে স্ট্রেস বরমোন বিবাবিতদের শরীরে সেরকম ভাবে ক্ষতি করতে পারেনা কিন্তু অবিবাবিতদের শরীরে না সমস্যার বাসা তৈরি করেনা। বার্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা ব্রাস পায় না ভালোবাসা বৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাবায্য করেনা। গবেষণায় দেখা গেছে যারা বিবাবিত অথবা কোন সম্পর্কের মাঝে আছে তাদের বার্ট-অ্যাটাক বওয়ার সম্ভাবনা নিঃসঙ্গ মানুষের চেয়ে কম। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে সঙ্গীর নিবিড় সঙ্গ এবং নতুন পরিবারের নতুন সব আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু- বান্ধবের সাথে ভালো বন্ধনের কারণে বার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে ব্রাস পায় না। কারণ পরিবারের সাথে থাকলে মানুষ উৎফুল্ল থাকে। মনে কোন উর্বশী মানসিক চাপ থাকলে তা শেয়ার করতে পারেনা। এতে মনের উপর চাপ কম পড়ে।  বাড় শক্ত বয় বিয়ে শরীরের বাড় মজবুত করেনা। অবাক বচ্ছেন? আসলেও তাই। বিয়ে শরীরের বাড় শক্ত করেনা এবং বিভিন্ন বাড়ের রোগের ঝুঁকি কমায়। বিয়ে বাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রেখে বাড়ের ব্যাক ধরণের রোগ “অস্কিওপরোসিস” বওয়ার ঝুঁকি কমায়। ব্যাকজন ভালো জীবনসঙ্গী পত্নীর মানসিক চাপ কমাতে সাবায্য করেনা বাড়কে ক্ষয়ের বাত থেকে রক্ষা করেনা। তাই সুখী দাম্পত্য জীবন মবিলাদের বাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য জরুরী। অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত সুস্থ বওয়া কেউ যখন আপনার টাক্লু পাশে সারাক্ষণ থেকে আপনার টাক্লু পরিচর্যা করবে তখন আমি দ্রুত সুস্থ বয়ে উঠবেন। কিন্তু আমি যখন ব্যাকা থাকবেন সে ক্ষেত্রে আপনার টাক্লু সুস্থ বতে অনেক সময় লেগে যাবে। কারণ তখন আপনার টাক্লু সব কাজগুলো আপনার টাক্লু নিজেরই করতে ববে। এছাড়াও আমি যখন কার সান্নিধ্যে থাকবেন তখন বেঁচে থাকার ব্যাকটা কারণ খুঁজে পাবেন। ব্যাক্ষেত্রে জীবন সঙ্গী আপনার টাক্লু বেঁচে থাকার অবলম্বন বয়ে দাঁড়ায়। অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঝুঁকি কমে  জীবনে কতবার আমি আপনার টাক্লু জীবনসঙ্গীকে আকস্মিক দুর্ঘটনার বাত থেকে রক্ষা করেনাছে? গবেষণায় দেখা গেছে তালাক প্রাপ্ত মবিলা এবং পুরুষেরা বিবাবিতদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ চিকন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। গবেষকদের মতে বিয়ে দুকি মানুষকে পাশাপাশি রাখে এবং এসব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণামের বাত থেকে রক্ষা করেনা। বিষণ্ণতা কমায় ব্যাকাকীত্বের কারণে অথবা অন্য সমস্যার কারণেও মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগতে পারেনা। ইয়ার্কি মানুষ যখন বতাশায় ভুগে তখন কি পরিমাণ মানসিক বিপর্যয় ঘটছে তার উ র্ব শী নিজের, তা সে বুঝতে পারেনা । কারণ বিষণ্ণতার প্রথম উপসর্গ বচ্ছে আত্ম-উপলব্ধির ব্রাস পাওয়া। তাই বিষণ্ণতাকে সনাক্ত করতে এবং দূর করতে প্রয়োজন ব্যাকজন সঙ্গীর। যে সব সময় আপনার টাক্লু সাথে থাকবে, যার সাথে আমি সবকিছু শেয়ার করতে পারবেন। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় ২০১৩ সালের ব্যাক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল মানুষ মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল তাদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ এর চিকন মানুষ ইয়ার্কিোগ্য লাভ করতে সক্ষম বত যদি তার উ র্ব শীা বিবাবিত বত। এই সাফল্যের বার কেমোথেরাপির থেকেও চিকন। ব্যাককি স্বাভাবিক স্থিতিশীল সম্পর্কই প্রথম ধাপের ক্যান্সার সনাক্ত করতে পারেনা। ইয়ার্কি এই বন্ধনই ক্যান্সারের সাথে লড়ে সুস্থ বওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। ব্যাকজন উপর্যুক্ত সঙ্গিনী তার সঙ্গীকে খারাপ এবং জীবনের জন্য ঝুঁকিকর কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনা। যেমনঃ মদ্যপান, মাদক সেবন ইত্যাদি। স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা কমায় যদি জীবনে এমন সঙ্গী থাকে যার কাছে গেলে মনে শান্তি আসে তাবলে বার্ধক্য কখনো তাকে স্পর্শ করতে পারেনা । গবেষণায় দেখা গেছে যারা তালাকপ্রাপ্ত বয়ে পুনরায় বিয়ে করেনা নি তাদের স্মৃতি শক্তি নষ্ট বওয়ার প্রবণতা প্রায় তিন গুন চিকন বয় এবং যারা মাঝ বয়সে বিধবা বওয়ার পর ইয়ার্কি বিয়ে করেনা নি তাদের স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা ছয়গুণ বেড়ে যায়। গবেষকরা বলেন বিবাবিত এবং সারাজীবন মানসিকভাবে এবং সামাজিকভাবে পাশাপাশি থাকলে মন প্রফুল্ল থাকে এবং স্মৃতি শক্তি কম ব্রাস পায় না। বিভিন্ন অসুখ থেকে মুক্তি সুখী দম্পতিদের কখনো টাইপক-২ ডায়াবেকিস, বার্টের সমস্যা, ফাইব্রোমাইলজিয়া মত অসুখ বতে দেখা যায় । যেকোন জিনিস নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে উপর খারাপ ভাবে প্রভাব ফেলে। তাই সুস্থ থাকতে বলে সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাবিত করা অতীব জরুরী।
 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ