শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Nafisaniti

Call

১৭ মার্চ সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি জানি। এই দিনেই আমাদের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস পাশাপাশি এই দিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও পালন করা হয়ে থাকে। একই দিনে শিশু দিবস এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস কেন হয়েছে তা নির্দিষ্টভাবে বলা মুশকিল তবে ধারণা করা হয় যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের অনেক বেশি ভালোবাসতেন এবং শিশুদের জন্য অনেক কিছু করার চেষ্টা করেছেন বলেই তার জন্মদিনটিতে শিশু দিবস পালনের জন্য জাতীয়ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস ও শিশুদিবস ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে শেখ লুৎফর রহমান ও শেখ সাহেরা খাতুনের ঘরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেছিলেন। চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পিতা শেখ লুৎফর রহমান ও মাতা শেখ সাহেরা খাতুনের তৃতীয় সন্তান। শিশুদের প্রিয় মানুষ বঙ্গবন্ধু শিশুদের কল্যাণে ১৯৭৪ সালের ২২ জুন জাতীয় শিশু আইন (চিলড্রেন অ্যাক্ট) জারি করেন। এই আইনের মাধ্যমে শিশুদের নাম ও জাতীয়তার অধিকারের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে; সব ধরনের অবহেলা, শোষণ, নিষ্ঠুরতা, নির্যাতন, খারাপ কাজে লাগানো ইত্যাদি থেকে নিরাপত্তার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ষড়যন্ত্রকারী ঘাতকদের হাতে বঙ্গবন্ধু নিহত না হলে শিশুদের জন্য নিশ্চয়ই তিনি অনেক বড় কিছু করতেন। কারণ তার স্বপ্নই ছিল একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়া; আর শিশুদেরকে তিনি মনে করতেন সেই স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার যোগ্য কারিগর। বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসনিা ১৯৯৬ সালে প্রথম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশুদিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। ১৯৯৭ সালের ১৭ মার্চ দিবসটি পালন শুরু হয়। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতায় এসে জাতীয় শিশুদবিস পালনের রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ করে দেয়। তবে দলীয় এবং বেসরকারি পর্যায়ে দিনটি পালন অব্যাহত ছিল। ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায়। এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে আবার পালতি হচ্ছে জাতীয় শিশুদবিস।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ