শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

গরমকাল আসলেই বাচ্চাদের সমস্যার অন্ত থাকে না। ঘন ঘন জ্বর, সর্দি, কাশি লেগেই থাকে। সাধারণ কথায় যাকে বলে সর্দিগর্মি। এটা আসলে এক ধরনের ভাইরাল ইনফেকশন এবং মূলত বায়ুবাহিত। যেসব ভাইরাসের কারণে সর্দি, কাশি হয় সেগুলো গরমে সক্রিয় হয়ে ওঠে আর বাচ্চাদের খুব সহজেই কাবু করে ফেলে।

গ্রীষ্মের গরমে তাপমাত্রা যখন বেড়ে ওঠে তখন ঘাম বসে সর্দিগর্মি হয়। গরম যখন চরমে ওঠে তখন নানা কারণে তাপমাত্রার তারতম্য, গরম থেকে এসেই ঠান্ডা পানি খাওয়া, অন্যের হাঁচিকাশির সংস্পর্শের কারণেও সর্দিগর্মি হয়। কালবৈশাখী ও ঝড়বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রার ওঠানামার কারণেও এ রোগ হয়।

লক্ষণ :

*প্রচণ্ড সর্দি, অনবরত নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ ভাব দেখা দেবে।

*জ্বর আসবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জ্বর ৩-৪ দিন থাকে।

*হাঁচি, কাশি এবং এগুলোর সাথে মাথাব্যথাও করতে পারে।

করণীয় :

*ওষুধ দিয়ে ভাইরাল ইনফেকশন আসলে সারানো সম্ভব নয়। তবে বিভিন্ন উপসর্গ কমাতে কিছু ওষুধ ব্যবহার করা হয়। যেমন - জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধ, গলাব্যথা, হাঁচি, নাক বন্ধ হয়ে থাকা, মাথাব্যথা কমানোর জন্য বিভিন্ন ওষুধ। তবে এসব ব্যাপারে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।

*সর্দিগর্মি হলে বাচ্চার শরীর বেশি ঢেকে রাখলে তাপমাত্রা কমতে বেশি সময় লাগে। এ সময় বাচ্চাকে একগাদা জামাকাপড় পরিয়ে রাখবেন না।

*সর্দিগর্মিতে অনেকেই বাচ্চার গোসল বন্ধ করে দেন, এতে হীতে বিপরীত হয়, শরীরের তাপমাত্রা কমে না। জ্বর খুব না বাড়লে গোসল বন্ধ করবেন না।

*গোসল না করালে অবশ্যই গা মুছে দিন এবং মাথা ধুয়ে দিন।

*গোসল বা গা মুছতে ঠান্ডা পানি নয়, নরমাল পানি ব্যবহার করুন।

*বাচ্চাকে প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খাওয়ান। পানি, স্যুপ, ডাবের পানি, সরবত এ সময় খুব কাজে দেবে।

*বাচ্চাকে মৌসুমি ফল খেতে দিন। যেমন - তরমুজ, সফেদা ইত্যাদি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ