শীত শেষ। বসন্তের আগমন হতে না হতেই কেমন যেন গরম পড়ে গেছে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময়টাতে হাঁচি, গলা খুসখুস, নাক বন্ধ, মাথাব্যথা, সর্দিগর্মি প্রায়ই লেগে থাকে। এই ভাইরাল ইনফেকশনের প্রকোপে শিশু থেকে বয়স্ক সবাইকেই কমবেশি কাবু হতে হয়। সমস্যা হলো এসবের জন্য যে ভাইরাসগুলো দায়ী সেগুলো সংক্রামক। তাই একজনের থেকে যাতে আরেকজনে তা সহজে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য থাকতে হবে সতর্ক। জেনে নিন কী করবেন।
সংক্রমণ রুখতে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো হাত ধোয়া। বিশেষ করে বাজার, জিম বা যেকোনো পাবলিক প্লেস, যেখানে অনেক লোকের সমাগম, সেসব জায়গা থেকে এসে অবশ্যই অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান বা হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
বারবার মুখে হাত না দেয়াই ভালো। অযথা চোখ কচলানো, নাকে হাত দেয়া থেকে ইনফেকশন ছড়ায়।
বাড়িতে কেউ সর্দিগর্মিতে আক্রান্ত হলে ডিজপোজেবল জিনিসপত্র ব্যবহার করাই ভালো। কাপড়ের রুমাল ব্যবহার না করে টিস্যু ব্যবহার করুন। যিনি অসুস্থ তার কাপ, গ্লাস, প্লেট আলাদা রাখুন।
দরজার হাতল, সুইচবোর্ড, কি-বোর্ড, টেলিফোন, রিমোট কন্ট্রোল ইত্যাদি হলো ইনফেকশন ছড়ানোর মাধ্যম। কারণ আক্রান্ত ব্যক্তি এ সব জায়গায় হাত দিলে সেখানে ভাইরাস অনেকক্ষণ পর্যন্ত থাকে। তাই সাবানপানি বা ডিসইনফেকট্যান্ট সলিউশন দিয়ে দু তিনবার পরিষ্কার করুন।
বাথরুম এবং রান্নাঘরে কাপড়ের তোয়ালের পরিবর্তে পেপার টাওয়েল ব্যবহার করুন। কাপড়ে জীবাণু বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়।
নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া, যথেষ্ট পরিমাণে ঘুম এবং নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সহজেই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- যতটা পারেন বিশ্রাম নিন।
- প্রচুর পানি পান করুন।
- গরম পানি, হারবাল চা, চিকেন স্যুপ, টমেটো স্যুপ খেলে আরাম পাবেন। শরীর দ্রুত সেরে উঠবে ও শক্তি পাবেন।
- নাকবন্ধ এবং মাথা ভার কমাতে হালকা গরম পানিতে গোসল করুন।
- শোয়ার সময় নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হলে দুটো বালিশ দিয়ে উঁচু করে শুতে পারেন।
- ধুলো, ধোঁয়া এড়িয়ে চলুন।
- চিকিত্সকের পরামর্শ না নিয়ে কখনোই কোনো কাশির ওষুধ খাবেন না।
- সর্দিগর্মিতে জ্বর ১০২ ডিগ্রি বা তার বেশি হলে এবং তিনদিনের ভেতর না কমলে।
- শ্বাসকষ্ট হলে।
- কালচে কফ বের হলে।
- সাতদিনে কাশি না কমলে।
তথ্যসূত্র: স্ট্রংলিভিং ডটকম