ভেতরটা শীতল রাখতে ফ্রিজার সাধারণ বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে। অবিরাম এ চক্রে রেফ্রিজারেন্টকে তাপ শােষণ করিয়ে অবস্থার পরিবর্তন ঘটানাে হয় ।রেফ্রিজারেন্ট যখন বাষ্পীয় অবস্থায় থাকে, তখন এ চক্র শুরু হয়। এটাকে তখন অভ্যন্তরীণ কম্প্রেসরে নিয়ে চাপ প্রয়ােগ করা হয়। ফলে এ সময় ফ্রিজের বাইরে কনডেনসারে যাওয়ার আগেইরেফ্রিজারেন্টের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। কনডেনসারে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে রেফ্রিজারেন্ট উচ্চচাপের তরল অবস্থায় পরিণত হয়।
এই তরলকে এখন এক্সপানশন ভালভের মধ্য দিয়ে নিয়ে নিম্নচাপের ফ্রিজিং কম্পার্টমেন্টে প্রবেশ করানাে। হয়, যাতে রেফ্রিজারেন্ট ফুটতে শুরু করে। ফলে কম্পার্টমেন্টের তাপমাত্রা কমে যায়। নিম্নচাপের রেফ্রিজারেন্ট বাম্প কম্প্রেসরে প্রবেশ করলে পুরাে চক্র আবার শুরু হয়।
কনডেনসার হয়ে ঘনীভূত তরল রেফ্রিজারেন্ট এক্সপানশন ভালভে প্রবেশ করে বাষ্প হয়ে প্রসারিত হওয়ার জন্য জায়গা পেয়ে যায়। প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা আরও কমে যায়। এখান থেকে নিম্নচাপের ফ্রিজিং প্রকোষ্ঠে (কম্পার্টমেন্ট) প্রবেশ করে। এ সময় তরল ফুটতে শুরু করে।
শীতলীকরণ চক্রের প্রথমেরেফ্রিজারেন্ট বাষ্পীয় অবস্থায় থাকে।
একটি অভ্যন্তরীণ কম্প্রেসর বাষ্পের ওপর চাপ প্রয়ােগ করে। এই কাজ করতে গিয়ে কম্প্রেসর অনেক উত্তপ্ত হয়ে যায়।
গরম এবং উচ্চচাপের গ্যাস কনডেনসারে প্রবেশ করে ঠান্ডা ও উচ্চচাপের তরলে পরিণত হয়। বর্জিত তাপ কনডেনসারের মাধ্যমে পরিবেশে চলে যায় বলে ফ্রিজারের পেছন ভাগ সবসময় গরম থাকে।
একধরনের রাসায়নিক পদার্থ, যা এই সম্পূর্ণ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। আগে এই রাসায়নিক পদার্থ হিসেবে ব্যবহৃত হতাে ক্লোরােফ্লুরাে কার্বন। কিন্তু সেটা ওজোন স্তরের জন্য ক্ষতিকর বলে বর্তমানে ব্যবহার করা হয় না। এখন R-134a (টেট্রাছুরােইথেন), হাইড্রোক্লোরােফ্লুরাে কার্বন (HCFCs) অথবা হাইড্রোফ্লুরাে কার্বন (HFCs) ইত্যাদি রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়।