আমি পড়ালেখায় তেমন ভাল না। 
কিভাবে পড়ালেখা করলে আমি একজন ভাল
 ছাত্র হতে পারব।

শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Junait

Call

নিম্নোক্তো  কৌশল অবলম্বন করে ভাল ছাত্র হতে পারবেন


১) টিচার ব্লাকবোর্ডে যা লিখে এবং মুখে যা বলে তা হুবুহু মুখস্থ করতে হবে। এজন্য খাতা আর টেপ রেকর্ডার ইউজ করতে পারেন। অনেক কাজে দেবে।

২) অতিরিক্ত স্মার্ট হবার চেষ্টা না করা। টিচার ইজ অলওয়েজ রাইট। এই নীতি অবলম্বন করতে হবে। কিপ্টেমি করে টিচারকে বা ডিপার্টমেন্টকে তোষামোদি করতে পারেন। যদিও এসবের দরকার নেই।

৩) ব্যবহারিক ক্লাসের ক্ষেত্রে আপনাক ইন্সট্রাক্টরকে বোঝাতে হবে আমি অনেক পরিশ্রম করছেন। আর ব্যবহারিক ক্লাসে কোন থিউরিটিকাল কিছু থাকলে সেখানে ইন্সট্রাক্টরের মুখের কথা বা বোর্ডের লেখা হুবুহু লিখতে হবে।

৪) পরিচিত হবার জন্য টিচার বা ইন্সট্রাক্টরকে এমন সব কোশ্চেন করতে হবে যার উত্তর সে জানে এবং খুব ভালভাবে দিতে পারবে। আটকানোর চেষ্টা করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

৫) সর্বদা গ্রুপ স্টাডি করা উচিৎ। যারা কখনও এটা করেননি তারা বিশাল একটা জিনিষ মিস করছেন। দ্রুত শুরু করুন। এতে আপনার সময় অনেক বাঁচবে। ১০ ঘন্টার পড়া ২ ঘন্টায় হবে। এবং বাকী ৮ ঘন্টা আড্ডা মারতে পারবেন। একবার ভাবুন, সারা বছরের পড়া আপনি পরীক্ষার আগে যেখানে ১ মাসে শেষ করতেন, সেখানে গ্রুপ স্টাডি করলে কত কম সময় লাগত।

৬) একটু স্বার্থপর হতে হবে। সবাইকে সবকিছু দেবেন। তারপরও কিছু কিছু নিজের কাছে রেখে দেবেন।  এগুলোই আপনার সাথে অন্যদের পার্থক্য তৈরী করবে।

৭) সবসময় সিনিয়ারদের থেকে হেল্প নিন। নতুন করে বার বার চাকা (নোট) আবিস্কার করার কোন মানে নেই।

৮) ব্যবহারিকে ফাইনাল প্রেজেন্টেশনের সময় সৌন্দর্যকে প্রাধান্য দিন। ভিতরের কাজকে নয়। সোজা কথায়, যেটা চোখে দেখা যায় সেটা যেন অবশ্যই দৃষ্টিনন্দন হয়।

৯) ক্লাসের তথাকথিত ভাল ছাত্র/ছাত্রীর সাথে সর্বদা ভাল সম্পর্ক রাখবেন। 

১০) মুখস্থবিদ্যা বড় বিদ্যা যদি না পড়ে ধরা। কোন কিছু যদি কোনরকম কুলকিনারা না করতে পারেন তাহলে হাফেজের মত মুখস্থ করবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Manik Raj

Call

ভাল ছাত্র হওয়ার কিছু টিপস

১. লক্ষ্য ঠিক করুন :
ভালো স্টুডেন্টদের মূল্যায়ন সব
জায়গাতেই হয় এবং এরা অনেক
সুযোগ
পেয়ে থাকেন জীবনের সফলতা
অর্জনে। আপনি যদি একজর ভালো
স্টুডেন্ট হতে চান তাহলে আবশ্যই
আপনার জীবনের একটি লক্ষ্য তৈরি
করুন।
কোন পথে ঠিক কিভাবে এগোবেন
সেই বিষয়ে ভাবুন। একটা গতিপথ
তৈরি
করুন।
২. অধ্যবসায় করুন :
ভালো স্টুডেন্ট হতে হলে আপনাকে
অধ্যবসায় করতে হবে। জীবনের
লক্ষ্য
অনুযায়ী এগুতে গিয়ে অধ্যবসায়ের
প্রয়োজন রয়েছে। ছাত্রজীবনের
অধ্যবসায় আপনাকে জীবনে সফলতা
এনে দেবে। কঠিন অধ্যবসায়ই
আপনাকে
একজন ভালো স্টুডেন্ট তৈরি হতে
সহায়তা করবে।
৩. রুটিন করুন :
আপনি ছাত্রজীবনে যে ধরনের কাজ
করছেন তার একটি সুনির্দিষ্ট
রুটিন
তৈরি করুন। রুটিনে পড়াশুনা এবং
অন্যান্য কাজের সময়গুলো হিসেব
করে
ভাগ করে নিন। রুটিনটিতে পড়ার
সময়টুকু
অবশ্যই বেশি রাখবেন এবং সেই
অনুযায়ী কাজ করে যান। এতে করে
দেখবেন ফলাফল ইতিবাচক আসবে।
৪. লাইব্রেরী ওয়ার্ক
করুন :
ভালো স্টুডেন্টরা লাইব্রেরী
ওয়ার্ক
করতে পছন্দ করেন বেশি।
লাইব্রেরী
ওয়ার্ক করলে খুব সহজেই কঠিন
বস্তুকে
আয়ত্ব করা যায়। এ কারণে দিনের
একটি
নির্দিষ্ট সময় বাছাই করে আপনি ঐ
সময়টাতে লাইব্রেরী ওয়ার্ক করুন।
দেখবেন ভালো স্টুডেন্ট হয়ে ওঠা
খুবই
সহজ হয়ে যাবে।
৫. খারাপ বন্ধু ত্যাগ
করুন :
ভালো স্টুডেন্ট হতে গেলে সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সেটি হল
খারাপ
বন্ধুগুলোকে ত্যাগ করতে হবে।
খারাপ
বন্ধু থাকলে আপনার সময়গুলো খুবই
বাজেভাবে নষ্ট হয়ে যাবে।
পড়াশুনা
করতে পারবেন না,এমনকি
মাদকাসক্ত
হয়ে পড়তে পারেন। এ কারণে
ভালোভাবে পড়াশুনায় মনোযোগ
আনতে আপনি আপনার বন্ধুচক্র থেকে
খারাপ বন্ধুদের বাদ দিয়ে দিন
প্রয়োজনে কিছু ভালো বন্ধু যোগ
করুন।>
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
ডেইলি রুটীনঃ সময়ের সাথে সবচাইতে বেশি সঙ্গতিপুর্ন হল প্রতিদিনের রুটিন। এই রুটিনের মধ্যে খেয়াল রাখতে হবে সপ্তাহের সব দিনে টোটাল বিষয় সমুহ এসেছে কি না। যদি না আসে তবে সে অনুযায়ী সাজাতে হবে। প্রত্যেক সপ্তাহের কাজ সপ্তাহেই শেষ করতে হবে। পাঠ্যসুচীতে যা কিছু আছে তার সবটাই ঢেলে সাজানো হচ্ছে প্রথম কাজ। যে ছাত্র একটি সুন্দর রুটিন মেনে চলে সে ভাল না হয়ে পারেনা। দিনের প্রত্যেক ক্ষুদ্রাংশকেও ভেঙ্গে সাজাতে হয়। প্রতি দশ মিনিটের জন্য একটি কাজ করা যেতে পারে আর তার রেজাল্ট মাসের শেষে মিলিয়ে দেখলে এমনিতেই ডেইলি রুটিনের গুরুত্ব বুঝা যাবে। সময় পরিকল্পনাঃ একটি দৈনিক রুটীনের মাঝে এমন ভাবে সময় প্ল্যান করতে হবে যেন বোরিং না আসে। পড়ার সময় খুব বেশি যেন না হয়। দিনে ৬ ঘন্টার বেশি পড়া উচিত না। বেশি পড়লেই ভাল হয় না। ভাল করে পড়লে কম পড়াই যথেষ্ট। তবে মেধানুসারে ৬ঘন্টা থেকে আরো বাড়ানো যেতে পারে। কিন্তু মনে রাখা উচিত সেই বাড়তি সময় যেন মনের উপর প্রভাব না ফেলে। ডেইলি নোটঃ যদি নোট করার অভ্যেস না থাকে তবে আজি তা আয়ত্ব করুন। নোট এমন একটি ব্যাপার যা না করলে কখনোই তেমন কিছু মনে রাখা সম্ভব নয়। যে কোন কঠিন বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করলেও একটি নোটের মাধ্যমে তা সহজ করে ফেলা যায়। জটীল বিষয়ের জটিল পয়েন্টসগুলো লিখে রাখাই উত্তম। নিয়মিত ক্লাসঃ ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিত থাকাটা আবশ্যক। প্রতিদিনের মত যদি ক্লাসে উপস্থিত না থাকা যায় তবে সেই অনুপস্থিত ক্লাসের পড়াটাও সংগ্রহ করা উচিত। শিক্ষকের সাথে একই সময়ে যে পাঠ চর্চা করা হয় তা সাথে সাথেই বোধগম্য হয়ে যায়। নিয়মিত ক্লাস করার সুবিধা অনেক। পড়া পড়া এবং লেখাঃ পড়ার কোন বিলল্প নেই। তবে তা কেবল না বুঝে পড়াই নয়, বুঝে শুনে পড়া। কোন কিছু মগজে না ঢুকতে চাইলে তা লিখে ফেলা উচিত। লিখতে গেলে বিষয়টা খুব ভাল ভাবে মনে থাকে। তাই প্রথম চেষ্টা হচ্ছে পড়া, তার পরের চেষ্টাও পড়া এবং সবশেষে লিখে চেষ্টা করা। এছাড়াও যদি বিষয়টি পড়া শেষ হয়ে যায় তারপর আবার নতুন কতে লিখে দেখা যেতে পারে যে অই বিষয়টি আসলেই আয়ত্ব হয়েছে কি না। সহায়ক গ্রন্থের পাঠ বাড়ানোঃ যে কোন পাঠের বিস্তারিত পাঠ্যবইয়ে না থাকাটা স্বাভাবিক। এর বিস্তারিত জানার জন্যে সহায়ক বইয়ের সাহায্য নেয়া উচিত। যেমন বিজ্ঞান বিষয়ে অন্য অনেক সহায়ক গ্রন্থ আছে যা থেকে সেই বিষয়ে আরো অনেক জ্ঞান অর্জন করা।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ