শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

এএমইর পুরো অর্থ এয়ার ক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার। এ ধরনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তি উড়োজাহাজের সব ধরনের মান নিশ্চিত করে। বিশেষ করে অ্যারোপ্লেন উড্ডয়নের আগে এর সব সিস্টেম ঠিক আছে কি-না সে সম্পর্কে পাইলটরা সব ধরনের তথ্য নিয়ে থাকেন তার কাছ থেকে। এই ডিগ্রির আরও কিছু নাম আছে যেমন_ অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার, উড়োজাহাজ প্রকৌশলী ইত্যাদি। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এভিয়েশন শিল্পের বিকাশ ঘটেছে। আর বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সংখ্যক ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন পড়ছে প্রতিনিয়ত। 
অ্যারোনেটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এমন একটি বিষয়, যার চাহিদা এবং কারিকুলাম বিশ্বজুড়ে একই। চাকরি ছাড়াও এ বিষয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফার করা যায় বিশ্বের যে কোনো দেশে। আর কর্মক্ষেত্রে সম্মানীও আকাশ ছোঁয়া। যেমন এএমই লাইসেন্স প্রাপ্তির পর নতুন অবস্থায় বেতন হয় ২০০০ ইউরো যা ক্রমে বাড়তে থাকে এবং অন্যান্য সুযোগ তো আছেই। এয়ারলাইন্স শিল্পে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা এতই বেশি যে, অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার আগেই শিক্ষার্থীদের চাকরি হয়ে যায়। 
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের এয়ারলাইন্সগুলো খুবই ভালো অবস্থানে রয়েছে। যেমন কুয়েত এয়ারওয়েজ, কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস এয়ারলাইন্স এবং আরও অনেক। এসব এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিগুলো প্রতিনিয়ত ভারত, বাংলাদেশ, ফিলিপাইন ও চীন থেকে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে যাচ্ছে তাদের নিজস্ব এক্সপার্টের অভাবে। এমিরেটস এভিয়েশন কলেজ তাই যাত্রা শুরু করে যুক্তরাজ্যের শিক্ষা বোর্ডে বিটেক এডেক্সেলের আন্ডারে। কিন্তু তারপরও তারা এয়ারলাইন্সের চাহিদা মেটাতে পারছে না। বাংলাদেশকে একধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য সেই যুক্তরাজ্যের শিক্ষা বোর্ড বিটেক এডেক্সলের আন্ডারে কলেজ অব এভিয়েশন টেকনোলজি যাত্রা শুরু করে। 
কলেজ অব এভিয়েশন টেকনোলজি (ক্যাটেক) এএমই লাইসেন্স পেতে ন্যাশনাল ডিপ্লোমা এবং হায়ার ন্যাশনাল ডিপ্লোমা ইন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স পরিচালনা করছে। কলেজটির প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাচের বেশকিছু শিক্ষার্থী ইংল্যান্ড, আমেরিকা, কানাডা, আয়ারল্যান্ডসহ উন্নত বিশ্বে চাকরি বা ইন্টার্নি করতে চলে গেছে। 
এসএসসি বা এইচএসসি, এ-লেভেল বা ও-লেভেল সম্পন্নকারীরা এই কোর্সটি করতে পারবেন। চার বছরে বাংলাদেশের সমাদৃত ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষা বোর্ড বিটেক এডেক্সেলের অধীনে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অনার্স ডিগ্রি অর্জন করতে পারে। এক্ষেত্রে ১৮ মাস পর পায় আন্তর্জাতিক ধারার সার্টিফিকেট লেভেল থ্রি বা এনডি। এরপর ১৮ মাসের লেভেল ফাইভ বা এইচএনডি। এরপর ফাইনাল ইয়ার বা চতুর্থ বছর পায় টপআপ বিবিএ বা বিএসসি। এরপর শুধু বাংলাদেশেই নয়, পুরো বিশ্বের এভিয়েশন খাতে ক্যারিয়ার গড়তে তার ভাগ্যের দুয়ার খুলে যায়। এএমই ডিগ্রির সমতুল্য আরেকটি কোর্স এভিয়েশন ম্যানেজমেন্ট। এর শিক্ষা কারিকুলাম এবং চাহিদা একই। 
এই কোর্স শেষ করে শিক্ষার্থীরা চাইলেই ইংল্যান্ডের কভেন্টি, কিংসস্টোন, স্যালফোর্ড, ক্রেইনফিল্ড প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের যে কোনো দেশের এডেক্সেল অনুমোদিত ইউনিভার্সিটিতে সহজে চূড়ান্ত বর্ষে ভর্তি হতে পারেন। এর শিক্ষা পদ্ধতি অনেক সহজ। এ ছাড়া এই কোর্সে বিশ্বের ১৭৩টি দেশে ক্রেডিট ট্রান্সফার করার সুযোগ রয়েছে। ১৮ মাস লেভেল-৩ বা এ লেভেল করতে সর্বমোট খরচ পড়বে ৩ লাখ টাকা, ১৮ মাস লেভেল-৫ করতে খরচ ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ১ বছর ক্যাটেকে লেভেল-৬ অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (অনার্স) করতে খরচ পড়বে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

সমকাল

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ