তৈলাক্ত ত্বকে খুব সহজেই ধুলোময়লা
আটকে যায়। ফলাফল ব্রণ, ফুসকুড়িসহ
ত্বকের নানা সমস্যা। ত্বকের এসব সমস্যা
থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে খুবই
সাধারণ একটা ঘরোয়া জিনিস।
সেই অতি সাধারণ জিনিসটা হলো ময়দা।
একটু অবাক হলেন নিশ্চয়ই? ময়দা ত্বকের
গভীর থেকে ময়লা বের করে এনে ত্বককে
করে তোলে পরিষ্কার। তাই বাইরে থেকে
ফেরার পর ময়দার প্যাক বানিয়ে ত্বকে
লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। তারপর ধুয়ে
ফেলুন। ফলাফলে নিজেই চমকে যাবেন!
√√ অথবা নিয়মিত ফেসওয়াস ব্যবহার
করুন।
দিনের শুরুতে করুন ২ মিনিটের ছোট্ট কাজ। আর সারাদিনে একটুও তেলতেলে হবে না আপনার ত্বক, ব্রনও থাকবে দূরে।
যা যা লাগবে:
উষ্ণ পানি ,ফেসওয়াশ, লবণ, লেবু
যা করবেন:
– দিনের শুরুতেই মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। রাতে যদি ডিপ ক্লিন করে থাকেন ত্বক, তাহলে সকালে পরিষ্কার করুন সাধারণ ফেসওয়াশ দিয়ে।
– মুখে উষ্ণ পানির ঝাপটা দিন। তারপর ফেসওয়াশ লাগান। ম্যাসাজ করে ধুয়ে তারপর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। মুখে যেন সাবান লেগে না থাকে।
– এবার ১ মগ হালকা উষ্ণ পানির সাথে ১ চামচ লবণ ও লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
– এই পানি দিয়ে মুখে ধুয়ে ফেলুন ভালো করে পানির ঝাপটা দিয়ে।
– চোখ বন্ধ রাখবেন, নাহলে চোখ জ্বলতে পারে।
– লবণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে মুখ ভালো করে মুছে নিন। যদি চিটচিটে ভাব বেশী মনে হয়, বা অস্বস্তি লাগে, তাহলে মিনিট দশেক পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে মুছে নিন।
মনে রাখবেন-
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সাধারণ পানির বদলে ফিল্টার করা পানি বা ফুটানো পানি ব্যবহার করাই ভালো।
ফ্রি কিছু টিপস:
– তৈলাক্ত ত্বকে খুব বেশী প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভালো, এতে ব্রণের সমস্যা বাড়ে।
– ওয়েট টিস্যু ব্যবহার করবেন না তৈলাক্ত ত্বকে, এতে ত্বকের ক্ষতি হয়।
– তৈলাক্ত ত্বকে স্ক্রাবার ব্যবহার করবেন না।
– দিনের যে কোন সময় ত্বক তৈলাক্ত মনে হয়ে টিস্যু বা রুমাল পানিতে ভিজিয়ে সেটা দিয়ে মুখে মুছে নিন। সুযোগ পেলে বরং ঘষে নিন। ত্বকের বাড়তি তেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
:::::তৈলাক্ততা ছাড়ান::::: তৈলাক্ত ত্বকে বলিরেখা পড়ে দেরিতে। সাততাড়াতাড়ি আসে না তাই বয়সের ছাপ। অনেক দিন পর্যন্ত এ ত্বক থাকে সজীব ও সুন্দর। তবে এর যন্ত্রণাও কম নয়। তৈলাক্ত ত্বকে খুব সহজেই ধুলাবালি আটকে যায়। ছত্রাকের আক্রমণ হয় বেশি। ব্রণ হওয়ার প্রবণতাও অনেক বেশি থাকে। মুখে থাকে তেলতেলে ভাব। মেকআপ করলেও স্থায়ী হয় না বেশিক্ষণ। তাই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য নিতে হবে বিশেষ এবং বাড়তি যত্ন। ত্বক কি তৈলাক্ত? ত্বকের যত্ন নেয়ার আগে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে ত্বকের ধরন। আপনার ত্বক তৈলাক্ত কিনা তা বুঝতে হলে রাতে ঘুমানোর আগে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে নিন। কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না। সকালে ঘুম ভাঙার পর প্রথমেই সারা মুখে টিস্যু পেপার দিয়ে চাপ দিন। যদি নাক, কপাল ও ঠোঁটের নিচের দিকের টিস্যুতে তেল লেগে থাকে তবে বুঝবেন আপনার ত্বক তৈলাক্ত। ত্বক তৈলাক্ত হওয়ার কারণ আমাদের ত্বকের নিচে থাকে সেবাম গ্রন্থি। এটি ত্বককে তৈলাক্ত করে। কিছু নির্দিষ্ট পরিমাণতেল আমাদের ত্বকের জন্য প্রয়োজন। তবে ত্বকে তার মাত্রা বেশি হয়ে গেলে সেই ত্বককে তৈলাক্ত ত্বক বলা হয়। এ ছাড়াও হরমোন ও বংশগত কারণে ত্বক তৈলাক্ত হতে পারে। অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবারও ত্বকে তেলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। প্রসাধনী কেমন হবে? তৈলাক্ত ত্বকের প্রসাধনী অবশ্যই হবে অয়েল ফ্রি। যাই কিনুন না কেন তা অয়েল ফ্রি কিনা দেখে কিনুন। দিনে দুই থেকে তিনবার অয়েল ফ্রি ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। টোনার ত্বকের কোষকে সঙ্কুচিত করে। তাই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই টোনার ব্যবহার করা উচিত। বেছে নিন অ্যালকোহলযুক্ত টোনার। যে কোনো ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ভালো। ত্বক যদি বেশি তৈলাক্ত হয় তবে ময়েশ্চারাইজার পরিহার করুন। তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা ত্বক তৈলাক্ত হলে তার যতেœ মনোযোগী হোন। বাসার কাছে যে কোনো বিউটি পার্লার থেকে করে নিতে পারেন অয়েল ফ্রি ফ্রুট ফেসিয়াল। অন্য যে কোনো সেবা নেয়ার আগে তাদের জানিয়ে দিন আপনার ত্বক তৈলাক্ত। এ ছাড়া ঘরে বসেই সহজ পদ্ধতিতে করুন আপনার ত্বকের পরিচর্য। আপেল ও লেবুর রস মিশিয়ে লাগিয়ে রাখুন দশ মিনিট। চা পাতা ফুটিয়ে সেই পানির ভাপ নিতে পারেন। মেকআপের আগে অ্যাস্ট্রিনজেন লোশন ব্যবহার করুন। শসা ও গাজরের রস, চালের গুঁড়া, দুধ ও মধু মিশিয়ে হাতে ও পায়ে লাগান। ১৫ মিনিট পর তুলে ফেলুন। সপ্তাহে তিনদিন মাথায় শ্যাম্পু করুন। ভিটামিন বি২, বি৫ যুক্ত খাবার, শাক, বাদাম বেশি খান। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।