Memory card এর class দেখে বোঝা যায় মেমোরি কার্ড কত ভাল। প্রত্যেক মেমরি কার্ড এর উপরে C এর ভেতরে 2/4/6/8/10/u¹ লেখা থাকে ।
এই সংখ্যা গুলো কার্ডের data write speed নির্দেশ করে। তাই class 10 বা u¹ বা u² সবচেয়ে ভাল। এর নিচের (2/4/6/8) তুলনামূলকভাবে বেশি ভাল না।
আমাদের দেশে Transcend, Apacer, sandisk, ADATA, twinmos, toshiba এসব মেমোরি কার্ড বাজারে পাওয়া যায় এবং ভাল। আসল মেমোরি কার্ড কিনতে হলে ভাল gadgets & gear বা কম্পিউটার এক্সেসরিসের দোকান থেকে কিনুন। আর Samsung memory Samsung café থেকে কিনুন।
বি.দ্র: Samsung মেমোরি বাজারে যেগুলো পাওয়া বেশিরভাগ চায়না যা 1/2 বছর পর নষ্ট হয়ে যায়। এসব মেমোরি কার্ড গুলিস্থান আর মোতালিব প্লাজা থেকে supply হন। প্রমান স্বরূপ কার্ডের খাপের পিছনে উক্ত ঠিকানা থাকে।
ভালো কোম্পানি যেমন ট্রানসেন্ড এর নিতে পারেন।
১। লাইফ-টাইমঃ সকল ব্র্যান্ডেড মেমোরী কার্ডের সাথে বলে দেয়া হয় “লাইফ-টাইম
গ্যারান্টী”। কিন্ত এই লাইফটাইম গ্যারান্টীর অর্থ কি আমরা জানি? অনেকেই মনে করছ হয়ত লাইফ-টাইম মানে আজীবন যে কোনও সময়
সমস্যা হলেই গ্যারান্টী পাওয়া যাবে, আর
লাইফ-টাইম কথাটির মানেও তো আসলে তাই। কিন্ত এই জীবন সেই জীবন নয়, তা মেমোরী কার্ডের প্যাকেজিং পড়লেই বোঝা সম্ভব।
মেমোরী কার্ড তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ফ্ল্যাশ মেমোরী সার্কিট। এসব সার্কিট থেকে কত বার
ডাটা পড়া যাবে ও ডাটা লেখা যাবে সেটির
একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে, কমদামীর ক্ষেত্রে হয়ত ১০,০০০ বার আর বেশী দামীর ক্ষেত্রে হয়ত
১০০,০০০ বার বা ১,০০০,০০০ বার ও হতে পারে। এই রিড/রাইট সাইকেলের লিমিটকেই ধরা হয় মেমোরী কার্ডটির লাইফ-টাইম।
অর্থাৎ, গ্যারান্টী ততদিনই পাবেন যতদিন এই লাইফ-টাইম পার না হবে – অথচ মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই লিমিটের পর কার্ডটি এমনিও নষ্ট
হয়ে যাবে, তখন দেখা যাবে কার্ড করাপ্ট আর ফরম্যাট করাও সম্ভব হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে যা দেখে কিনবে:
মেমোরী কার্ডের গ্যারান্টী না দেখে দেখা উচিৎ
সেটার লাইফ-টাইম রিড-রাইট সাইকেল কতবার। যত বেশী হবে সেটি তত ভালো, অন্তত
১০০,০০০ বার না হলে সেটি কেনা উচিৎ নয়
(যদি না আপনি কার্ডটি শুধু ডাটা ব্যাকাপ রাখার
কাজে ব্যবহার না করেন, মানে ফোনে বা ট্যাবে লাগানো অবস্থায় থাকবেনা)।
২। কার্ডটির ক্লাস: মেমোরী কার্ডের ব্যবহারীক
সুবিধা অনেকটাই নির্ভর করে সেটীর রিড/রাইট স্পিডের ওপর। বিশেষ করে ডিএসএলআর
ক্যামেরা বা হাই- ডেফিনেশন ভিডিও করার সিস্টেম সহ ফোনের জন্য এটি একটা বড় ব্যাপার। তবে এই রিড-রাইট স্পিড বোঝার
সবচাইতে সহজ উপায় হচ্ছে কার্ডটির ক্লাস দেখে কেনা। ক্লাসটি মেমোরী কার্ডের গায়ে @ এর মত করে লেখা থাকে।
ক্লাস ২ = ২মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ডে রাইট করা সম্ভব
ক্লাস ৪ = ৪মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ডে রাইট করা সম্ভব
ক্লাস ৬ = ৬মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ডে রাইট করা সম্ভব
ক্লাস ৮ = ৮মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ডে রাইট করা সম্ভব
ক্লাস ১০ = ১০মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ডে রাইট করা সম্ভব
ক্লাস U1 = ১০ মেগাবাইটের ওপর স্পিডে রাইট করা যাবে প্রতি সেকেন্ডে
এইচডি ১০৮০পি ভিডিও রেকর্ড করার জন্য অন্তত ক্লাস ৬ কার্ড কেনা উচিৎ।
তবে ৬ এর চাইতে ক্লাস ১০ বা ক্লাস U1 আরও
বেশী পাওয়া যাচ্ছে বাজারে।
(তবে নকল কার্ডের গায়ে লেখা ক্লাস সম্পূর্ণ ভুয়া। সেগুলো ২ বা ৪ ক্লাসের বেশী নয়)
৩। কার্ডটির সত্যিকারের নির্মাতা কে:
মেমোরী কার্ড কিনতে গেলে ব্র্যান্ডের অভাব
পড়েনা। স্যামসাং, তোশিবা, ট্র্যানসেন্ড, এ-ডাটা, এপ্যাসার, স্যানডিস্ক, এমনকি কালাম নামেও কার্ড পাওয়া যায়। তবে কেনার সময়
এই বিষয় বেশ সতর্কতা প্রয়োজন:
- স্যামসাং এর তৈরি কার্ড বাংলাদেশে খুব কম পাওয়া যায়। ৯০% ক্ষেত্রেই নিম্নমানের কার্ড
স্যামসাং এর নামে বাজারজাত করে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
- তোশীবার কার্ড ও একই, বেশীরভাগই নকল কার্ড।
- স্যান ডিস্কের ক্ষেত্রেও অনেকটাই এমন।
তবে U1 কার্ডগুলো নকল হবার সম্ভাবনা কম।
ভালো নামী দোকান থেকে কিনি।
কার্ড কেনার সময় কার্ডের গায়ে কোনও হলোগ্রাম আছে কিনা দেখে নিই।
হলোগ্রামে যদি KALAM শব্দটি চোখে পড়ে তাহলে বেশী দাম দিয়ে কেনা থেকে বিরত থাকি।
কেননা তা নকল ও নিম্মমানের তবে অল্পকিছুদিন ব্যবহার করার যোগ্য (লাইফ-টাইম কম)।
ট্র্যানসেন্ড, এ-ডাটা বা এপ্যাসারছনিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই,
এদের কার্ড অরিজিনাল প্রচুর পাওয়া যায় ও লাইফ-টাইম ও ১০০,০০০ বার এর বেশী।
প্রথমত, কার্ডে যা দেখায় তার সঙ্গে আসল স্টোরেজ না মিললে বুঝতে হবে কার্ডটি নকল। কিছু ফার্মওয়্যার হ্যাক আছে যা ব্যবহার করে কার্ডের ধারণক্ষমতা বেশি দেখানো সম্ভব, এমনকি পিসিতেও। ধরুন, কার্ডের ধারণক্ষমতা দেখায় ৬৪ জিবি, কিন্তু মাত্র ৮ জিবি পূর্ণ হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। দ্বিতীয়ত, নকল কার্ডগুলোতে ডাটা আদান- প্রদান করতেও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় লাগে। এছাড়া ফোন স্লো করার, এমনকি মাঝে মাঝে ক্র্যাশ করারও সম্ভাবনা থাকে এসব কার্ডের কারণে। তৃতীয়ত, আসল এবং নকল মাইক্রো এসডি কার্ডগুলোর প্যাকেট আপাতদৃষ্টিতে একই রকম মনে হলেও, ভাল করে খেয়াল করলেই লেখা অথবা লোগোর প্রিন্টিং এ পার্থক্য খুঁজে পাবেন। নকল কার্ডগুলোর উপর যে লেখা থাকে তার বানান অনেক সময় ভুল থাকে। তাছাড়া দামে বিশাল পার্থক্য তো রয়েছেই। গুগল প্লে স্টোর থেকে কোন অ্যাপ যেমন, এসডি ইনসাইট, ডাউনলোড করে আপনার মাইক্রো এসডি কার্ডটি আসল কিনা তা নিশ্চিত করতে পারবেন। অ্যাপটি আপনাকে মেমোরি কার্ডের প্রস্তুতকারক, মডেল নাম্বার, ধারণক্ষমতা এবং উৎপাদনের সঠিক তারিখ জানাবে।
sd insight এপসটি দিয়ে চেক করে দেখতে পারেন আপনার মেমোরি কার্ডটি আসল কিনা।ধরুন আপনি ফোনে স্যামসাং মেমোরি কার্ড লাগানো। এপস এ যদি দেখায় যে ম্যানুফেক্টর স্যামসাং ব্যাতিত অন্যকোন ব্র্যান্ডের নাম তাহলে বুঝে নিতে হবে এটি স্যামসাং এর মেমোরি নয়। অন্য একটি কোম্পানির মেমোরি কার্ড।আর যদি স্যামসাং লেখা থাকে তাহলে সেটি স্যামসাং এর অরজিনিয়াল মেমোরি কার্ড।আর যদি অরিজিন ইস unknown দেখায় তাহলে সেটি টোটালি নকল মেমোরি কার্ড।এই এপসটি আপনি প্লে স্টোরে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।কিন্তু,এই এপ্সটি শুধুমাত্র এন্ড্রেয়েড ৬.০ বা তার নিচের ভার্সন এর ডিভাইসগুলিতে সাপোর্ট দিবে।আমাদের এই দেশে আসল মেমোরি পাওয়া খুবই মুশকিল।বর্তমানে বড় বড় দোকানগুলিতেও ফেইক মেমোরি বিক্রয় করা হয়ে থাকে।আলিএক্সপ্রেক্স,আমাজন এর মতো শপগুলিও মাঝে মাঝে ফেইক মেমোরি ডেলিভারি করে থাকে।ভারতে অথোরাইজড স্যামসাং মেমোরি বিক্রয় করলেও আমাদের দেশের স্যামসাং তা বিক্রয় করেনা।পৃথিবীর প্রায় অনেকগুলি দেশেই স্যামসাং অফিসিয়াল মেমোরি বিক্রয় হয়ে থাকে।আপনি গুগলে সার্চ দিয়ে বিভিন্ন দেশের স্যামসাং এর সাইট ভিসিট করে দেখতে পারেন তাদের স্যামসাং মেমোরি কার্ড সেল করছে কিনা।যদি সেল করে থাকে তাহলে ওইসব দেশে অবস্থানরত আত্নীয়সজন বা বন্ধুবান্ধবদের দিয়ে ক্রয় করাতে পারেন।আর স্যামসাং এর সাইটে যদি সেল হয়ে থাকে তাহলে আপনি ওইসব দেশের স্যামসাং এর অফিসিয়াল শো-রুম গুলিতে এটি পাবেন।সকল দেশের স্যামসাং এর ওয়েব সাইটগুলি ইন্টারন্যাশনাল ডেলিভারি করে থাকে না।তবে,আমাদের দেশে একটি ভাল ট্রাস্টেড অনলাইন শপ আছে ব্যাকপ্যাক নামে।সাইট লিংক-backpackbang.com এই শপটি আমেরিকা,ইউনাইটেড কিংডম,ইন্ডিয়ার যেকোন অনলাইন শপিং এর প্রোডাক্টস ডেলিভারি করে থাকে। আপনি ওইসব দেশের অনলাইনের পছন্দের প্রোডাক্টস এর লিংক কপি করে তাদের সাইটে গিয়ে পেস্ট করে দিবেন এবং আইটেম এর জন্য রিকুয়েস্ট পাঠাবেন।তারা আপনাকে সার্ভিস টাইমে জানিয়ে দিবে যে আপনার প্রোডাক্টের মূল্য কত টাকা ইত্যাদি বিস্তারিত।আরো বিস্তারিত জানতে আপনি তাদের হেল্পলাইন নাম্বার +৮৮০৯১৪২০৪০২০ এ কল দিতে পারেন।তারা শুধুমাত্র আমেরিকান শপের প্রোডাক্টসগুলিতেই ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে।এছাড়া ওয়ারেন্টি সম্পর্কে জানতে তাদের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন।আমি একটি ৩২জিবি মেমোরি কার্ড কিনেছিলাম স্যামসাং আমেরিকার ই-স্টোর থেকে অফারে তাদের মাধ্যমে।চেক করে দেখলাম এটি অর্জিনিয়াল মেমোরি কার্ড। ম্যানুফেক্টর ডেইট ছিল মার্চ।আমি ক্রয় করি আগস্টে।এখন,আসা যাক বাংলাদেশের কথায়, আপনি যদি বাংলাদেশ থেকেই ক্রয় করতে চান তাহলে স্যামসাং ক্যাফ থেকে নিতে পারেন।তবে ভাল পরার কিছু সম্ভবনা থাকলেও অর্জিনিয়াল পাওয়া বেশ মুশকিল।এছাড়া অন্য কোম্পানির মেমোরি কার্ড ও বাংলাদেশ থেকে ক্রয় করতে চাইলে ভাল নামকরা ব্রান্ডেড শপ থেকে নিতে পারেন।তবে এইসব মেমোরি অরজিনিয়াল বা ভাল পড়বে কিনা তার গ্যারান্টি দেয়া সম্ভব নয়।