বর্তমানে কিছু কিছু ছবি আছে যা অনেক ফেইক আইডিতেই প্রোফাইল পিকচার হিসেবে ব্যবহার করছে ফেইক আইডি ব্যবহারকারীরা। এই ছবিগুলো দেখলেই চেনা যায়। এসব ছবি যদি ব্যবহার হয় তাহলে বুঝবেন ওই আইডি ফেইক হবার সম্ভাবনাই বেশি। আইডিতে শুধুমাত্র একটি ছবিও ফেইক আইডির লক্ষণ। এছাড়া ফেইক আইডিতে আসল সাইজের ছবি থাকেনা, থাকে ছোট সাইজের বা কেটে নেয়া ছবি। বন্ধু তালিকা: আইডির বন্ধু তালিকা যদি পাবলিক করা থাকে তাহলে দেখে নিতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন উপায়ে গোপন করা বন্ধু তালিকাও দেখা যায়। মেয়েদের ক্ষেত্রে বন্ধু তালিকায় যদি ৩/৪ হাজার বন্ধু থাকে তাহলে সেই আইডি ফেইক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ছেলেদের আইডির ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়। পোষ্ট: আইডিতে যদি নোংরা বা খারাপ পোস্ট থাকে তাহলে বুঝতে হবে সেটা ফেইক আইডি। কেননা কেউই তার নিজ ফেইসবুক আইডিতে নোংরা পোষ্ট দিয়ে নিজেকে সবার সামনে খারাপ বানাতে চায়না। এটা হলে বুঝবেন ওই আইডি ১০০ভাগ ফেইক। পেজ লাইক: আপনার সন্দেহের আইডিটি কি ধরনের পেজে লাইক দিয়েছে সেটা তার রিসেন্ট এক্টিভিটিতেই প্রদর্শন করে, আর টাইমলাইনে তো বটেই। যদি ফেইক আইডি হয়, ১০-১২ টা ১৮+ পেজ যে আপনার নজরে পড়তে পারে। এছাড়া খেয়াল করুন কেমন গ্রুপে সে যুক্ত। সাধারণত লোকে এমন গ্রুপে জয়েন করে যা তার স্কুল/কলেজ/ইউনিভারসিটি, কর্মক্ষেত্র, কোন সেবামূলক কাজ ইত্যাদির সাথে যুক্ত। ফেইক আইডি এসবের তোয়াক্কা করে না। ইউজার নেম আর আইডি নেম একই কিনা দেখুন: এই জায়গাটায় অনেকেই ভুল করে ফেলে। এই ইউজার নেমটি একবারে বেশি বদলানো যায় না। তাই এটা হতে পারে আপনার জন্য ফেইক বা রিয়েল আইডি বুঝার অন্যতম উপায়। পেজ লাইক ইনবাইট: কেউ যদি মেয়ের আইডি থেকে বারবার তার ফেইসবুক পেজগুলো লাইক দেয়ার জন্য ইনভাইট পাঠায় তাহলে বুঝতে হবে ওই আইডি ফেইক। নাম্বার দেয়া: আইডি মেয়েদের নামে কিন্তু যদি দেখেন ওই আইডিতে এক বা একাধিক নাম্বার দেয়া আছে তাহলে বুঝতে হবে ওই আইডিটা ফেইক।