ব্যায়াম করুন অবসাদ দূর করার জন্য চমৎকার ওষুধ হলো ব্যায়াম। যখনই আপনি ক্লান্তি অনুভব করবেন, যাবেন খোলা বাতাসে। ব্যায়াম করবেন। দেখবেন কী ঝরঝরে লাগছে আপনার শরীর। নিয়মিত ব্যায়াম আপনার শরীরে কোষ থেকে বর্জ্য দূর করে দেয়, মস্তিষেক সঞ্চালন করে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত, হৃদযন্ত্রকে শক্তিশালী করে তোলে, শরীর থেকে ঝেড়ে ফেলে চর্বি, মাংসপেশিকে করে মজবুত, উদ্বেগ কমায় এবং আপনার মেজাজটাকে করে তোলে প্রফুল্ল। খাবারের দিকে মনোযোগ দিন আপনি লৌহসমৃদ্ধ খাবারের দিকে বেশি মাত্রায় নজর দেবেন। গমের ভুসি, কলিজা, কলা, শুকনো ফল, সার্ডিন মাছ, গরুর গোশত, যব প্রভৃতিতে প্রচুর পরিমাণে লৌহ থাকে। আপনি এসব খাবার খাবেন। তবে একবারে প্রচুর খাবেন না। অল্প পরিমাণ ঘনঘন খাবেন- এতে শক্তি ধরে রাখা সম্ভব হয়। যথাসম্ভব চর্বি বাদ দেবেন। ডাল, বাদাম প্রভৃতি খাবার খেতে পারেন। ঘুম নিশ্চিত করুন একজন মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের পরিমাণ হলো ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। কেউ কেউ ৭ ঘণ্টাও ঘুমায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে এর কম বা বেশি ঘুমানো যাবে না। অপর্যাপ্ত ঘুমে আপনার মাথাব্যথা, মাথা ভার হওয়া, চোখ জ্বালা করা প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দেয়। ফলে আপনি সুস্থতা অনুভব করেন না। আবার অতিরিক্ত ঘুমে শরীরের কোষগুলো বেশি মাত্রায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে, যা ক্ষতিকর। সুতরাং দৈনিক ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা গভীর ঘুমে তলিয়ে যান। তবে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাবেন না। মন স্থির রেখে একটি চমৎকার ঘুম দিন- দেখবেন কেটে গেছে সব অবসাদ। বদ অভ্যাস ত্যাগ করুন অনেকে ক্লান্তি দূর করার জন্য চা এবং কফি পান করে থাকেন। চা ও কফি উত্তেজক পানীয়, সন্দেহ নেই। কিন্তু শরীর থেকে ক্যাফিনের প্রভাব দূর হওয়া মাত্র আপনার কর্মশক্তি কমে যাবে এবং আপনি আগের চেয়ে বেশি মাত্রায় ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। বেশি মাত্রায় চা ও কফি পান করলে তা নিদ্রাহীনতা ঘটায়। সুতরাং চা কিংবা কফি ত্যাগ করাই শ্রেয়। কিংবা খুবই পরিমিত মাত্রায় পান করবেন। ধূমপানের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা চলে। ধূমপানের ফলে আপনার শরীরের কোষসমূহ অক্সিজেন থেকে বঞ্চিত হয়। নিকোটিন ও কার্বন মনোক্সাইডের প্রভাবে নিঃশেষিত হয় আপনার শক্তি। যারা অ্যালকোহল পান করেন-সাময়িকভাবে অ্যাকোহল শরীরকে চাঙ্গা করলেও পরবর্তীতে তা আপনাকে অবসাদগ্রস্ত করে তোলে। সুতরাং এই বদ অভ্যাসগুলো আপনি ত্যাগ করুন। তার চেয়ে ফলের রস খান। নিয়মিত ফলের রস খেলে আপনার চমৎকার অনুভূতি হবে, কেটে যাবে আপনার ক্লান্তি।
আপনি যে সমস্যা তাতে মনে হচ্ছে আপনার শরীরে ভিটামিন এর অভাব রয়েছে, এবং অলস জীবন যাপন করলে, কায়িক পরিশ্রম কম হলে তাদের অস্টিওপোরোসিস রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আপনি ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া ভিটামিন যুক্ত ফলমূল খান, যথেষ্ট পানি খান, ব্যায়াম করুন সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস ওরস্যালাইন খান সারাদিন এর ক্লান্তি দূর্বলতা সব চলে যাবে , মনের বিষন্নতা দূর করতে মনকে প্রফুল্ল রাখতে, দুর্বলতা কমাতে আপনি হামদর্দ এর সাফী সিরাপ টি ২চামুচ করে দিন দুবার খান.. আশা করি উপকার পাবেন ধন্যবাদ।
ক্লান্তি কাটানোর ৫টি সহজ উপায় অতিরিক্ত কাজের চাপ, মানসিক চাপ, টেনশনের ফলে ক্লান্তি যেন পিছু ছাড়তেই চায় না। অফিসের কাজের পর রাত করে ঘুমের জের টের পাওয়া যায় সকালবেলা। বিছানা ছাড়তে এমনকী চোখ খুলতেই কষ্ট হয়। ক্লান্তির সেই রেশ থাকে দিনভর। ফলে সারাদিনের কাজেও মনঃসংযোগে ঘাটতি হয়। আবার এই ক্লান্তির কারণেই দেখা দিতে পারে ডায়বেটিস, থায়রয়েড, আর্থারাইটিস এমনকী হার্টের সমস্যাও। সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চললে রেহাই পাওয়া যায় অবিরাম ক্লান্তির হাত থেকে। এমনই ৫টি উপায় : সচল থাকুন : ক্লান্ত লাগলে সকলেই চায় এক জায়গায় বসে থাকতে। নড়াচড়া করতে ইচ্ছা হয় না তখন। তবে এই সময়ই প্রয়োজন সচল থাকা। অফিসে কাজ করতে করতে ক্লান্ত লাগলে উঠে হেঁটে আসুন কিছুক্ষণ। প্রতিদিনের রুটিনেও কিছুটা সময় রাখুন শরীরচর্চার জন্য। যোগব্যায়াম, সাইক্লিং বা মর্নিং ওয়াকের মতো অভ্যাস শরীরে ও মস্তিষ্কে রক্তচলাচল স্বাভাবিক রাখে। ফলে ক্লান্তি, স্ট্রেস অনেকটাই কেটে যায়। প্রচুর পানি পান করা : শরীর সুস্থ রাখতে জলের কোনো বিকল্প নেই। ডিহাইড্রেশন শরীরকে নিস্তেজ করে দেয়। মনঃসংযোগ নষ্ট নয়। তাই সারাদিন পানি খান, নিজেকে সতেজ রাখুন। সময় মতো ঘুমোতে যান : সারাদিন কাজের পর রাতে স্বস্তির ঘুম প্রয়োজন। বেশি রাত জাগলে ঘুমের ব্যাঘাত হয়। ফলে অবধারিত ভাবে ঘাড়ে, গা, হাত-পায়ে ব্যাথা, ক্লান্তির সমস্যা বাড়তে থাকে। তাই তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যান, পারলে প্রতিদিন একই সময় ঘুমোতে যান। শরীরের ঘড়ি ঠিক থাকলে ক্লান্তি কেটে যাবে। অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলুন : শরীরের ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ ক্লান্তি, অবসাদ, স্ট্রেস। এর থেকেই শরীরে বাসা বাঁধে গুরুতর সমস্যা। তাই ঠিকঠাক খাওয়াদাওয়া ও শরীরচর্চা করে ওজন কমিয়ে ফেলুন। ওজন কমালে আপনা থেকেই শরীরের এনার্জি লেভেল বাড়বে। তবে ক্রাশ ডায়েটে একেবারেই যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত ফল হবে। বারে বারে খান : ক্লান্তির সবথেকে বড় কারণ খাওয়া দাওয়ার দিকে নজর না দেওয়া। ঘুম থেকে দেরি করে ওঠার সমস্যার জন্য অনেককেই ঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছতে ছোটাছুটি করতে হয়। ফলে বাদ পড়ে ব্রেকফাস্ট। ফলে দুপুর, বিকেলের দিকে প্রচণ্ড খিদেয় অনেকটা খেয়ে ফেলেন অনেকেই। অবধারিত ফল, ক্লান্তি। কাজেই ব্রেকফাস্ট বাদ দেওয়া একেবারেই চলবে না। সকালে ঠিকঠাক ব্রেকফাস্ট করলে সারাদিনের খাওয়াও ঠিকঠাক হবে। একেবারে বেশি না খেয়ে সারাদিন অল্প অল্প করে খেতে থাকুন। এর ফলে অতিরিক্ত ভরা পেটের কারণে ক্লান্ত যেমন লাগবে না, তেমনই সারাদিন সচলও রাখবে আপনাকে। কপিরাইট।