শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

পা ফাটা দুই রকম - শুস্কতা জনিত পা ফাটা এবং এলার্জি জনিত কারনে পা ফাটা। এলার্জি জনিত কারন হলে ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে। শুস্ক জনিত কারন হলে, পা পানিতে ভিজিয়ে ফাটাগুলি ঘসুনি দিয়ে ঘষে ঘষে উঠাতে চেষ্টা করুন। যে পর্যন্ত ফাটা দাগগুলি না উঠে সেই পর্যন্ত প্রতিদিনই পা ঘষবেন। আর প্রতিদিন সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে ভেজলিন মাখবেন । স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রতি বছরের শুস্ক কালের শুরু থেকেই সকালে ও রাতে পায়ে ভেজলিন মাখবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

গ্লিসারিন ব্যাবহার করতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
manik

Call

পা ফাটা নিরাময়ের সহজ ৩টি উপায় শীতকালে অন্যান্য অনেক সমস্যার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে পায়ের গোড়ালি ফাটা সমস্যা। নারী-পুরুষ উভয়েই এই সমস্যায় পড়তে পারেন। পায়ের পাতার গোড়ালির দিকের নিচের অংশ ফেটে চৌচির হয়ে যায় অনেকেরই। শুষ্ক আবহাওয়া এবং পায়ের পাতার যে অংশে চাপ বেশী পড়ে সেই অংশ ফেটে যায়। এই পা ফাটার ব্যাথা যে কি পরিমাণ ভয়াবহ হতে পারে, সেটা যার পা ফাটে সে ছাড়া কারো বোঝার উপায় নেই। অনেকেই অনেক ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন এই পা ফাটা নিরাময় করতে। কিন্তু কেমিকেল সমৃদ্ধ ক্রিমে প্রাথমিক ভাবে কিছুটা ঠিক হলেও পরবর্তীতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সহ সমস্যা শুরু হয় আবার। তাই আজকে আপনাদের জন্য রইল ঘরোয়া পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে পা ফাটা রোধের কিছু উপায়। গ্লিসারিন ও গোলাপ জলের ফুট মাস্কঃ পায়ের গোড়ালি ফাটা যদি প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে তাহলে আপনি অনায়েসে এটি ফুট মাস্ক ব্যবহার করে দূর করতে পারেন। পদ্ধতিঃ ফুট মাস্কের জন্য আপনার লাগবে লবন, লেবুর রস, গ্লিসারিন, গোলাপ জল ও কুসুম গরম পানি। একটি বড় পাত্রে ২ লিটার কুসুম গরম পানি নিয়ে তাতে ১ চা চামচ লবন, ১ টি গোটা লেবুর রস, ১ কাপ গোলাপ জল দিয়ে এতে পা ভিজিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। এরপর একটি মাজুনি কিংবা পেডিকিউরের পিউমিস স্টোন বা ঝামা ইট দিয়ে পায়ের গোড়ালি ভালো করে ঘষে শক্ত, মোটা ও মরা চামড়া তুলে পা ধুয়ে ফেলুন। এরপর ১ চা চামচ লেবুর রস, ১ চা চামচ গ্লিসারিন ও ১ চা চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে পায়ে লাগান। এভাবে রেখে দিন পুরো রাত। একটু চিটচিটে লাগতে পারে। কিন্তু আপনাকে সহ্য করে নিতে হবে। সকালে উঠে কুসুম গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যাবহারে ১০-১৫ দিনের মধ্যেই পা ফাটা গায়েব হয়ে যাবে। নারকেল ও কলার ফুট মাস্কঃ যদি পা ফাটা একটু বেশী খারাপ পর্যায়ে চলে যায় তবে এই ফুট মাস্কটি আজকে থেকেই প্রতিদিন ব্যাবহার করার চেষ্টা করুন। খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। পদ্ধতিঃ একটি কলা টুকরো করে নিন। এরপর তাজা ৩/৪ খণ্ড নারকেল নিন। দুটিতে একসাথে ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি পায়ে লাগিয়ে নিন। বিশেষ করে ফাটা স্থানে ভালো করে লাগাবেন। শুকিয়ে উঠলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি হাতের কাছে তাজা নারকেল না পান তবে একটি কলা পিষে নিয়ে এতে ২/৩ চা চামচ নারকেল তেল দিয়ে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে লাগাতে পারেন। প্রাকৃতিক স্ক্রাব ও তেলঃ পা ফাটা রোধের সব থেকে ভালো উপায় হচ্ছে প্রাকৃতিক স্ক্রাবের ব্যাবহার। ঘরোয়া ভাবে তৈরি এই স্ক্রাবটি প্রতিদিন ব্যাবহার করে খুব দ্রুত পা ফাটা রোধ করতে পারবেন। পদ্ধতিঃ স্ক্রাবটি তৈরি করতে আপনার লাগবে ২/৩ চা চামচ চাল, সাদা ভিনেগার ও মধু। প্রথমে চাল একটু ভিজিয়ে রেখে পিষে নিন। ব্লেন্ডারে দিয়ে অথবা শিল পাটায় বেটে নিতে পারেন। একটু দানা দানা করে চাল পিষে নেবেন। এরপর এতে পরিমাণ মত ভিনেগার ও মধু দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। একটি বড় পাত্রে কুসুম গরম পানিতে ১০-১৫ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভেজা পায়ে ঘন পেস্টটি ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজ করে পা সেভাবেই রেখে দিন ১০ মিনিট। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ভালো করে মুছে নিন। তারপর খানিকটা অলিভ অয়েল গরম করে নিয়ে পায়ে ম্যাসাজ করুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ