আমার বয়স 17।আমার স্কিন খুব ড্রাই।বিশেশ করে মুখ,হাত এবং পা। গ্লিসারিন ব্যবহার করি।তবে আরো ভাল ফল পেতে কি করব?  
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

শুষ্ক ত্বকের সমস্যা যে কোনও বয়সে হতে পারে। আর একবার এই ত্বকের রোগে আক্রান্ত হলে সৌন্দর্য কমে একেবারে চোখে পরার মতো। তাই তো এই প্রবন্ধে এমন একটি ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করা হল যা এক্ষেত্রে দারুন কাজে আসে। যে কোনও মরসুমে এই ত্বকের রোগ হতে পারে। তাই তো সব সময় প্রস্তুত থাকাটা একান্ত প্রয়োজন। আর এই প্রবন্ধে যে চিকিৎসাগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলি সবকটাই পকেট বান্ধব, তাই খরচ নিয়েও ভাবতে হবে না। ওই যে একটা কথা আছে না, "সস্তায় পুষ্টিকর"। এই চিকিৎসা পদ্ধতিগুলি একেবারে ওরকম। খরচ নেই, তবে কাজে দেয় একেবারে ১০০ শতাংশ।

১. পেঁপে: এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন- এ, যা ত্বকের আদ্রতা ফেরানোর পাশাপাশি একাধিক ত্বকের রোগ সারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পরিমাণ মতো পেঁপে নিয়ে সারা মুখে ভাল করে লাগান। ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এমনটা করলে দেখবেন অল্প দিনেই ত্বক তার অদ্রতা ফিরে পেয়েছে। ২. অলিভ অয়েল: ত্বকের আদ্রতা ফেরাতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্য়াটি অ্যাসিড দারুন কাজে আসে। আর এই দুটি উপাদানই প্রচুর মাত্রায় রয়েছে অলিভ অয়েলে। তাই তো নিয়মিত এটি মুখে লাগালে ত্বকের শুষ্কতা দূর হওয়ার পাশাপাশি স্কিন নরম হতে শুরু করে। রাতে শুতে যাওয়ার আগে অল্প করে অলিভ অয়েল নিয়ে গরম করুন। তারপর তা ভাল করে মুখে লাগিয়ে মাসাজ করে নিয়ে শুয়ে পরুন। সকালে উঠে হালকা গরম জল দিয়ে ভাল করে মুখটা ধুয়ে নিন। প্রসঙ্গত, দিনে দুবার অলিভ অয়েল মুখে লাগালে ভাল কাজ দেয়।  দই: পরিমাণ মতো দই নিয়ে তাতে এক চামচ মধু এবং এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে মাসাজ করুন কিছুক্ষণ। তারপর ঠান্ড জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। প্রসঙ্গত, ত্বকের ক্ষতি করে এমন ব্য়াকটেরিয়াদের মেরে ফেলে দই। ফলে অনেক রকমের ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। ৪. নারকেল তেল: এতে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্য়াকটেরিয়াল প্রপাটিজ রয়েছে, যা ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। প্রসঙ্গত, নারকেল তেলে প্রচুর মাত্রায় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এটি ত্বককে নরম এবং উজ্জ্বল করে। অল্প করে নারকেল তেল নিয়ে গরম করে নিন। তারপর সেই তেল দিয়ে সারা মুখে ভাল করে মাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পরে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এমনটা করলে আর কখনও শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভুগতে হবে না। ৫. ওটমিল: এতে প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন রয়েছে, যা নানা ভাবে ত্বককে সুন্দর করে তোলে। আসলে ওটমিল ত্বকের আদ্রতা হারাতে দেয় না। ফলে স্কিন শুষ্ক হওয়ার কোনও সুযোগই পায় না। এক কাপ ওটসের সঙ্গে পরিমাণ মতো দই, মধু, লেবুর রস এবং হাফ কাপ কলা মিশিয়ে সবকটি উপকরণ ভাল করে মেখে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। পেস্টটা তৈরি হয়ে গেলে সারা মুখে লাগিয়ে ফেলুন। কিছুক্ষণ রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। ৬. চন্দন বাটা: ত্বকের আদ্রতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সৌন্দর্য বাড়াতে চন্দনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। ২-৩ চামচ চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে কয়েক ড্রপ গোলাপ জল এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তারপর ভাল করে সবকটি উপকরণ মিশিয়ে নিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে ফেলুন। যখন দেখবেন প্যাকটা শুকিয়ে গেছে, তখন জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে নিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ