আমি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে আমাদের স্কিন বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে যেমন ঃ oily,sensitive, normal,dry . তাই আমার প্রশ্ন আমি কিভাবে বুঝব আমার স্কিন এর ধরণ কোনটি??? 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

স্কিন যদি oily হয় তবে আপনার ফেইস তৈলাক্ত হবে বিশেষ করে ঘুম থেকে উঠে নাকের আশেপাশের স্থানটিতে বেশি তৈল জমে থাকতে দেখা যায়। এধরনের স্কিনের জন্য ডিপক্লিনজিং ফেইস ওয়াশ অনেক উপকারি  স্কিন যদি sensitive হয় তাহলে ওই স্কিনে সব ধরনের প্রোডাক্ট সহজে স্যুট করবে না এধরনের স্কিনে পরামর্শ ছাড়া কোনো ক্রিম বা প্রোডাক্ট ইউজ করলে স্কিনে র‍্যাশ দেখা দেয় ব্রন উঠে যায় চুলকানি হয়। আর dry স্কিনে সাধারণত oily বা sensitivity এর কোনো প্রভাব থাকে না।ফেইস অতিরিক্ত dry হলে ফেকাসে মলিন দেখা যায়           

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

সাধারণত মানুষের চার ধরণের ত্বকের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। যথা: শুষ্ক ত্বক, তৈলাক্ত ত্বক, মিশ্র ত্বক ও সংবেদনশীল বা সেনসেটিভ ত্বক। শু

  • শুষ্ক ত্বক: শুষ্ক ত্বকের প্রধান সমস্যা হচ্ছে ত্বক ফেটে যাওয়া এবং ত্বকে খসখসে ভাব থাকা। এছাড়াও চামড়া ওঠা, জ্বালা পোড়া, চুলকানো, চামড়া ফুলে যাওয়া, হাত-পা-কনুই এবং মাথার স্কাল্প অতিরিক্ত মাত্রায় শুষ্ক থাকা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। অর্থাৎ এ সমস্যাগুলো যাদের আছে তাদের বুঝতে হবে যে এটি শুষ্ক ত্বক। শুষ্ক ত্বক যেহেতু প্রকৃতগতভাবে রুক্ষ তাই সাবান ব্যবহারে সতর্ক হওয়া উচিত। কেননা ক্ষারযুক্ত সাবান আপনার ত্বককে আরোবেশি রুক্ষ করে তুলতে পারে। সেক্ষেত্রে সফট, ময়েশ্চারাজিং সাবান ব্যবহার করা উচিত। 
  • তৈলাক্ত ত্বক: নামকরণ থেকেই বুঝা যায় যে, তৈলাক্ত ত্বকে তেলতেলে ভাব ফুটে ওঠে বিশেষ করে নাক, কপাল, গাল ইত্যাদি অংশে। এই তেল বের হয় সেবাসিয়াস গ্ল্যান্ড থেকে। আমাদের শরীরে শতকরা ৭০ ভাগ সেবাসিয়াস গ্ল্যান্ড থাকে মুখে। তাই মুখ পর্যবেক্ষণ করলেই এধরণের ত্বক চেনা যায়। গ্রীষ্ম, বর্ষা এমনকি শীতেও ত্বকে এই তেলতেলে ভাব থাকে অনেকের। তৈলাক্ত ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থাকলেও এর একটি ভালো দিক হচ্ছে এধরণের ত্বকে তুলনামুলভাবে বয়সের ছাড়া কম থাকে। তেল, মশলা, চিনি, লবণ এবং চর্বিযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। ত্বককে তেল মুক্ত রাখার জন্য দিনে ২/৩ বার সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। যে প্রসাধনীই ব্যবহার করুন না কেন, তা হতে হবে ওয়াটার-বেসড বা পানিনির্ভর। তেল মুক্ত রাখার জন্য ফেস পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে। 
  • মিশ্র ত্বক: যে ত্বকে তেল তেলে বা খসখসেভাব কোনটিই থাকে না তাকে বলা হয় মিশ্র ত্বক। এধরণের ত্বক আপনার শারীরিক সুস্থ্যতার প্রমান দেয়। এই ত্বক হয় মসৃণ ও সুন্দর। এই ত্বকে রক্ত চালাচল ভালো থাকায় তেমন কোনো সমস্যা দেখা দেয় না। ব্ল্যাক হেডস ও অসৃশ্যপ্রায় কিছু ছোট ছোট গর্ত থাকতে পারে এধরণের ত্বকে। সামান্য যত্নে তা আর সেড়েও যায়। তবুও এধরণের সমস্যা এড়াতে সপ্তাহে ২/৩ বার ফেসওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করতে হয়। তবে অবহেলা করে ত্বক পরিষ্কার না করা, ক্ষারযুক্ত বা নিম্নমানের সাবান ব্যবহার করা উচিত না।
  •  সেনসেটিভ ত্বক: সেনসেটিভ ত্বক হচ্ছে তাই যা খুব সহজে ইরেটেট বা উত্তেজিত হয় । যা ত্বকে হালকা থেকে খুব গভীর আকার ধারণ করে এবং ত্বকে বিভিন্ন এলার্জী বা র্যাশের জন্ম দেয় । এধরণের ত্বকের বৈশিষ্ট্য ব্যক্তিভেদে পৃথক হয়। সাধারণত ত্বক চুলকানো, লাল হওয়া, তাপমাত্রার সামান্য হ্রাসবৃদ্ধিতে র‌্যাশ বা গোটা হওয়া, জালাপোড়া করা, সুগন্ধি সাবানে এ্যালার্জি থাকা, মুখের পোরগুলো পাতলা হওয়া ইত্যাদি সমস্যা বিদ্যমান থাকে। সেনসেটিভ ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন: যেকোনো নতুন প্রসাধনি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ত্বকের সহশীলতা অনুমান করা। বার বার প্রসাধনি পরিবর্তন না করা, সবসময় রোদ এড়িয়ে চলা। যেহেতু এধরণে ত্বকের সমস্যাগুলো ব্যক্তিভেদে ভিন্ন তাই সবচেয়ে ভালো হয় রূপ বিশেষজ্ঞগণের পরামর্শ গ্রহণ করা। 
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ