চাইলেই গনিতে ভাল করা যায় গনিত একটি গুরুত্বপূর্ন আর আবশ্যিক বিষয়। এসএসসি পর্যন্ত এই বিষয়ে পড়াশোনা করা বাধ্যতামূলক। এজন্য গনিত অনেকের জন্য একটা ভীতিও বটে। ছাত্রছাত্রীরা গনিতের খুঁটিনাটি না দেখে ভয় পান বেশি। পড়ালেখায় মনোযোগী হতে গিয়েও ভয় পেয়ে ফিরে আসেন। অনেক ক্ষেত্রেই গনিত ভয় এর জন্য দ্বায়ী। কিভাবে গনিতে ভাল করা যায় তা নিয়ে যতটা সম্ভব বিস্তারিত লিখার চেষ্টা করছি। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই গনিত ভীতি কাজ করে অনেকের মনে। এজন্যই ছাত্রছাত্রীরা প্রাইভেট টিউশনি নিয়ে থাকে ব্যস্ত। শিক্ষকদের বেলায় দেখা যায়, গনিত ভীতি বাড়াতে পারলেই ভালো। কেউ একে সহজ করে তুলে ধরার চেষ্টাও করেন না। গনিত আসলেই ভয় ভীতি পাবার মত কিছু নয়। বাংলা বই পড়ার মত অত সহজ না হলেও একে খুব দ্রুত আয়ত্বে আনা সম্ভব। বানিজ্যিক গনিত শিক্ষক, যারা একে আয় রোজগারের উপাদান বানিয়েছেন। তাদের কথা বাদ দিয়ে গনিতকে কিভাবে সহজে ছাত্রছাত্রীদের কাছে আনা যায় সে দিকে নজর দেয়া যাক। গনিত সমাধান বই কিনে পড়তে বসে গেছেন? আসলে সেরকম কিছু করাটা উচিৎ নয়। আগে দেখুন তো গনিত বইয়ের মধ্যে কী কী দেখানো আছে। গনিতের একেকটি টার্মস একেকটি অধ্যায় মিলে ছাত্রছাত্রীদের অনেক ধারনা দেয়ার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। যেমন ক্ষেত্রফল। এই ক্ষেত্রফল বা এরিয়া যখন বোঝানো হয় তখন অনেক সহজ করে না হলেও মোটামুটি কিভাবে একটি ক্ষেত্রফল হয় তার ধারনা দেয়া থাকে। ছাত্রছাত্রীরা সেগুলো খুব বেশি পড়েন বলে মনে হয় না। শুরু হয় হচ্ছে অনুশীলনী দিয়ে। অনুশীলনী মানে হচ্ছে গনিত প্রশ্ন। বর্ননা না পড়ে প্রশ্নে চলে গেলে কিভাবে গনিত শেখা যেতে পারে? এমনিতেই গনিতের আলোচনার চেয়ে বেশি থাকে অনুশীলনী মানে গনিত প্রশ্ন। তারপরেও যদি সেই আলোচনা কেউ শুনত! গনিতে ভাল করা যায়। তার জন্য আপনাকে অবশ্যই গনিতের মূল অধ্যায় পড়তে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক গণিত বই এখন সৃজনশীল পদ্ধতিতে গানিতিক হিসাব শেখায়।