হ্যা!আপনার বর্ণনামতে একথা স্পষ্ট যে,তার আপনাকে ভালোলাগে৷আপনার সাথে গভীর বন্ধুত্বে জড়াতে চাই৷এটা নিতান্তই তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার!কারো ভাল স্বভাব, চাল-চলন,অভ্যাস দেখে যে কারো ভালো লাগতে পারে৷ কিন্তু তার ডাকে ছাড়া দেওয়া এটাও আমার/আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার৷
ইসলামে বিবাহ বহির্ভূত প্রেম /ছেলে-মেয়ের বন্ধুত্ব নিষিদ্ধ ও হারাম!আপনার বর্ণনামতেও একথা স্পষ্ট যে,আপনি এমন কোন সম্পর্কে আগ্রহী নন৷ সুতরাং -সর্বপ্রথম আপনি একথাটাকে মনেপ্রাণে দৃঢ়ভাবে স্থির করে নিন যে,আপনি এমন কোন সম্পর্কে জড়াবেন না!তারপর......
আপনি যখন বুঝতে পারছেন যে আপনাকে তার ভালোলাগে/আপনার সাথে সম্পর্কে এগোতে চাই,তখন আপনি সরাসরি ‘না’ করে দিন। সরাসরি না করতে না পারলেও ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিন যে আপনি আগ্রহী নন।
মনে রাখবেন এসব ক্ষেত্রে দিধায় না ভোগাই ভালো। যত শক্তভাবে না বলতে পারবেন, ওনি আপনার সাথে সম্পর্কে জড়াতে ততটা কম উৎসাহ পাবে। এভাবে দুয়েকবার ‘না’ বলে দিলে ওনি এমনিতেই আপনার থেকে দূরে থাকবে।
কারো হায়/হ্যালোতে একথা বলা অসম্ভব যে,সে আপনাকে ভালোবাসে!বা বুঝলেও এর সরাসরি প্রতিবাদ করা যৌক্তিক নয়৷ তাই আপনি একথা বলবেন না যে,আমি তোমাকে ভালোবাসতে পারবোনা বা আমি ভালোবাসায় বিশ্বাসী না!একথা বললে তার মনে ভালোবাসার অনুভূতি না থাকলেও জেগে যাবে,পরে আপনার পিছু ছাড়বেনা৷ সুতরাং -আপনি সরাসরি বলুন যে,আপনি কোন রকম অতিরিক্ততা পছন্দ করেন না!
সবছেয়ে বড় কথা হলো-আপনার চলাফেরা /আচার-আচরণে এবিষয়টা ফুটে ওটা যে,আপনি তাকে এবং এবিষয়গুলোকে এড়িয়ে চলতে চান।
এবং কোন রকম তর্কে জড়াবেন না,তর্ক/সাধারণ মধুর জগড়া থেকে সম্পর্ক গভীরতায় রূপ নেই !
ঐ যে প্রথমে বললাম,মনকে স্থির করুন,কোন বাহাবায় আপনি এ সম্পর্কে বিশ্বাসী না একথার৷
ইনশাআল্লাহ এভাবে চললে সে আপনা-আপনি আপনার থেকে দূরে যেতে বাদ্ধ হবে৷
আরো একটি কথা না বললে নয়,মাদ্রাসা বা কলেজ টাইমে অবসর সময় কাটানোর জন্য সবসময় একই জায়গা নির্বাচন করা থেকে বিরত থাকুন৷আপনি যদি তার এমন আচরণের পরও প্রতিদিন একই জায়গায় সময় কাটান সে মনে করবে আপনিও মনে মনে চান সে আপনাকে ডিস্টার্ব করুক৷অতএব-তার আপনার আচরণ যেন তার মনে আশা না জাগায়৷
আর হ্যা!এর থেকে পরিত্রাণের জন্য তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন নেই৷ তাড়াহুড়ায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে৷
ভালো থাকবেন,নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন৷