শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

মানব দেহে একটি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেম আছে। কোনো কারণে এই ইমিউন সিস্টেমে গণ্ডগোল দেখা দিলে এলার্জির বহির্প্রকাশ ঘটে। কখনো কখনো আমাদের শরীর ক্ষতিকর নয় এমন অনেক ধরনের বস্তুকেও ক্ষতিকর ভেবে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। সাধারণত ক্ষতিকর নয় এমন বস্তুর প্রতি শরীরের এ অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াই এলার্জি।



এলার্জিতে হাঁচি থেকে শুরু করে খাদ্য ও ওষুধের ভীষণ প্রতিক্রিয়া ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে এলার্জি সামান্যতম অসুবিধা করে, আবার কারো ক্ষেত্রে জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। আপনি যাই করুন না কেন, এলার্জি যেন কোনোভাবেই দূর হতে চায় না। তবে একটি উপায় মেনে চললে সহজেই আপনি এলার্জিকে দূর করতে পারবেন সারা জীবনের জন্য। জেনে নেওয়া যাক কীভাবে দূর করবেন এলার্জি।


১ কেজি নিম পাতা ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন। শুকনো নিম পাতা পাটায় পিষে গুঁড়ো করুন এবং তা ভালো করে পরিষ্কার একটি কৌটায় ভরে রাখুন। এক চা চামচের ৩ ভাগের ১ ভাগ নিমপাতার গুঁড়া এবং ১ চা চামচ ইসবগুলের ভুষি ১ গ্লাস পানিতে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়ুন।


প্রতিদিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে এবং রাতে শোয়ার আগে খেয়ে ফেলুন। ২১ দিন একটানা খেতে হবে। কার্যকারিতা শুরু হতে ১ মাস লেগে যেতে পারে। এরপর থেকে এলার্জির জন্য যা যা খেতে পারতেন না, যেমন- হাঁসের ডিম, বেগুন, গরুর গোশত, চিংড়ি, কচু, কচুশাক, গরুর দুধ, পুঁইশাক, মিষ্টি কুমড়াসহ অন্যান্য খাবার খান। আর সমস্যা হবে না।.



এছাড়া এলার্জি থাকলে মেনে চলুন এই বিষয়গুলো:


. প্রতিদিন ঘর পরিষ্কার করার সময় সেলফে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করুন।


. বিছানার ডাস্ট মাইট থেকে পরিত্রাণ পেতে বিছানার চাদর, বালিশের কভার, মশারি ইত্যাদি ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।


. এক সপ্তাহ পর পর ভেজা কাপড় দিয়ে দরজা এবং জানালা পরিষ্কার করা উচিত।


. গোসলখানার জানালা খোলা রাখতে হবে যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে।


. গোসলখানা যাতে ভেজা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিয়মিত গোসলখানার মেঝে, বাথটাব ও প্যান ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।


. রান্না ঘরের ময়লা-আবর্জনা থেকে মুক্ত হতে প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। ফ্লোর ক্লিনার ও গরম পানি দিয়ে রান্না ঘর নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।


. শিশুদের খেলনা, বিভিন্ন শোপিস, জুতা, ফ্যান, এসি, ঝাড়বাতি ইত্যাদিতে ধুলোবালি জমে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই নিয়মিত এসব পরিষ্কার করতে হবে।


. বাসায় পশুপাখি থাকলে প্রতিদিন গোসল করাতে হবে। পশুপাখি যে জায়গায় থাকে সেই জায়গাটা প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। অবশ্যই খাওয়ার পর উচ্ছিষ্ট খাবার ফেলে দিতে হবে।

 সুত্রঃ ইন্টারনেট 


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
RushaIslam

Call

প্রথমেই বলবো এলার্জিযুক্ত খাবার খাবেন না। আপনার যেসব খাবারে এলার্জি হয় তা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এই সিরাপটি প্রতিদিন যেকোনো একবেলা ভাত খাবার পর সেবন করুনঃনিম পাতা প্রথমে ধুয়ে নিবেন,তারপর রোদে শুকিয়ে নিয়ে গুড়ো করে নিবেন। গুড়ো হয়ে গেলে তা কৌটায় রেখে দিন। প্রতিদিন একবেলা জলের সাথে মিশিয়ে এবং কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে এটি সেবন করবেন। গরম জল হলে ভাল হয়।  নিজেকে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন।ভাতের সাথে প্রতিদিন দুই কোয়া করে কাচা রসুন খাবেন।প্রচুর জল পান করবেন।সম্ভব হলে প্রতিদিন তুলসীর রস খাবেন।বাড়ির পরিবেশ পরিষ্কার রাখবেন,অবশ্যই ব্যবহার্য জিনিস গুলিও।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ