একজন ১৫ বছর বয়সী মেয়ে গেঞ্জি পরে রাস্তায় চলাচল করা পর্দার খেলাপ। এমন মেয়েদের জন্য পর্দা করা ফরয। কেননা, পর্দাহীনতা ফেতনার সদর দরজা। পর্দাহীনতা কেবল বেপর্দা মেয়ের জন্য অনিষ্টকর নয়, তাকে যারা দেখবে তাদের জন্যেও অনিষ্টের কারণ। হতে পারে পর্দাহীনতা ও সৌন্দর্যপ্রদর্শনের ফলে কোনো দূরাচারী লোক কথা বা কাজের মাধ্যমে বেপর্দা নারীকে আক্রমন করে বসবে। পর্দাহীন নারী নিজেকে যতই ভালো দাবি করেন না কেন তাকে কেন্দ্র করে সমাজে গুনাহ ছড়ানো স্বাভাবিক। কারণ, তিনি নিজে নিজেকে নিয়ন্ত্রণের দাবি করলেও অন্যকে নিয়ন্ত্রণের দাবি করতে পারেন না। তাই পর্দাহীনতার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারিত হয়েছে। যেসব মেয়ে বেপর্দা অবস্থায় রাস্তাঘাটে বের হয় তাদের সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভবিষ্যৎ বানীঃ আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুই ধরনের লোক দুনিয়ায় আসবে যাদেরকে আমি এখনো দেখতে পাইনি এদের একদল লোক যাদের সাথে গরুর লেজের ন্যায় চাবুক থাকবে, তা দিয়ে তারা লোকজনকে প্রহার করতে থাকবে। আর একদল লোক হবে এমন মেয়েলোক যারা পোশাক পরিধান করেও উলঙ্গ মানুষের মত থাকবে, অন্য পুরুষকে নিজের দিকে আকর্ষণ করবে, অন্যরা তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়েও যাবে, তাদের মাথার চুলের অবস্থা হবে উটের হেলে পড়া কুঁজের মত। ঐসব মেয়েরা জান্নাতেতো প্রবেশ করবেই না, এমনকি জান্নাতের সুগন্ধিও তারা পাবে না যদিও জান্নাতের সুগন্ধী বহুদূর থেকে পাওয়া যায়। (মুসলিমঃ ২১২৮)