আম চারাটির বয়স যখন ৯-১২ মাসের হবে তখন সেটিতে কলম করার উপযুক্ত সময় বলে ধরা হয়। সাধারণত বলা হয় জুন- আগষ্ট মাসে মধ্যে কলম করা হলে সফলতার হার বেশি।অবশ্যই স্টক চারাটি সরাসরি মাটি বা পলিব্যাগে তৈরী করবেন।একটি সুস্থ সায়ন নির্বাচন করুন। সায়নটি লম্বায় ১৫-১৮ সেমিঃ হবে। সায়ন মানে অন্য একটি গাছের কলমের জন্যে কাটা ডাল। সায়নটি সংগ্রহের পর পরই সমস্ত পাতা অপসারন করে ভিজা ন্যাকড়া ও পলিথিন দিয়ে পেচিয়ে রাখলে সায়নটির সতেজতা অক্ষুন্ন থাকে।আমের সায়ন মাতৃগাছে সংযুক্ত থাকা অবস্থায় পাতা কেটে ফেলাকে ডিফলিয়েশন বলে। ১০ দিন পূর্বের ডিফলিয়েশন করা সায়ন দিয়ে কলম করুন। এক্ষেত্রে রুটস্টক অবশ্যই পলিব্যাগ অথবা মাটির পাত্রে হতে হবে এবং ১ বৎসর বয়সের চারা দিয়ে রুটস্টক করবেন।কলমটি কিছুদিন ছায়াতে রেখে দিতে হবে।
প্রথম কাজ : মাঝারি সাইজের টব নিবেন।টবে প্রথমে ইটের টুকরো,অল্প পরিমাণ সিমেন্ট ও বালি ঢালবেন। তারপর ৫০ ভাগ দোআশ মাটি ও ৫০ ভাগ গোবর/জৈবসার দিয়ে গাছের জন্য মাটি প্রস্তুত করবেন। টবের নিচে হালকা ছিদ্র করে দিবেন পানি নিস্কাষনের জন্য। দ্বিতীয় কাজ :আম গাছের বাকলসহ ডালের কিছু অংশ ধারালো চাকু দিয়ে চারকোণা কেটে নিবেন। যে গাছে কলম করবেন ওই গাছটির বাকলসহ চারকোণা কেটে ফেলে দিবেন এবং আম গাছের বাকলসহ ডালের অংশটি লাগিয়ে শক্ত শুতো বা চিকন দড়ি দিয়ে বেধে দিবেন। তারপর পলিথিন দিয়ে পেচিয়ে দিবেন। তৃতীয় কাজ:দুইসপ্তাহের মধ্যে ছোট পাতা জন্মাবে তখন সুতো আর পলিথিন খুলে ফেলবেন।পরের দুই সপ্তাহ পর ডালটির উপরের কিছু অংশ কেটে ফেলে দিবেন এতে ডালটি দ্রুত বড় হবে এবং এই কাজটি প্রতি সপ্তাহে করবেন। প্রতিবছর গাছের প্রয়োজন অনুযায়ী সার দিবেন এবং ১/২ বছর পর টব পরিবর্তন করে দিবেন। এই পদ্ধতিতে ১০/১২ বছর পর্যান্ত ফল দিবে