"যাতে তুমি এমন এক কওমকে সতর্ক কর, যাদের পিতৃপুরুষদেরকে সতর্ক করা হয়নি, কাজেই তারা উদাসীন।" (৩৬ঃঃ৬)। এই আয়াতে একটি জাতিকে সতর্ক না করার কথা বলা হয়েছে। তাহলেতো ঐ জাতি ইসলামের দাওয়াত পায়নি। কিন্তু তারা যদি কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে নালিশ করে যে তাদের কাছে কোন সতর্ক বার্তা আসেনি। আসলে তারা হয়তো ঈমান আনতো। যদিও তারা আনতোনা কিন্তু কিয়ামতের দিন শাস্তি থেকে বাচার জন্য এমনটা বললে আল্লাহ তায়ালা কিভাবে বিচার করবেন?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ তায়ালা কুরআন অবতীর্ণ করেছেন যাতে সে সকল লোকদেরকে আল্লাহ তাআলার শাস্তি ও জাহান্নামের ভয় দেখাতে পারেন যাদের পূর্বপুরুষদেরকে ভীতি-প্রদর্শন করা হয়নি, তারা এ সম্পর্কে গাফেল ছিল। আল্লাহ কোন জাতির কাছে রাসূল প্রেরণ না করে শাস্তি দেন না। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ যে সৎপথ অবলম্বন করবে সে তো নিজেরই মঙ্গলের জন্য সৎপথ অবলম্বন করে এবং যে পথভ্রষ্ট হবে সে তো পথভ্রষ্ট হবে নিজেরই ধ্বংসের জন্য। আর কোন বহনকারী অন্য কারো ভার বহন করবে না। আর আমরা রাসুল না পাঠানো পর্যন্ত শাস্তি প্রদানকারী নই। (সূরা বানী ইসরাইলঃ ১৫) তবে এ ধরনের আয়াত পড়ে যাদের কাছে কোন নবীর পয়গাম পৌঁছেনি। তাদের অবস্থান কোথায় হবে, এ প্রশ্ন নিয়ে মাথা ঘামানোর চেয়ে একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তির চিন্তা করা উচিত, তার নিজের কাছে তো পয়গাম পৌঁছে গেছে, এখন তার অবস্থা কি হবে? আর অন্যের ব্যাপারে বলা যায়, কার কাছে, কবে, কিভাবে এবং কি পরিমাণ আল্লাহর পয়গাম পৌছেছে এসে তার সাথে কি আচরণ করেছে এবং কেন করেছে তা আল্লাহই ভালো জানেন। আলেমুল গায়েব ছাড়া কেউ বলতে পারেন না। কার উপর আল্লাহর প্রমাণ পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং কার উপর হয়নি। যারা দ্বীনের দাওয়াত পায়নি তাদেরকে হাশরের মাঠে পরীক্ষা করা হবে। সে পরীক্ষায় যারা পাশ করবে তারা হবে জান্নাতি। আর পাশ না করলে হবে জাহান্নামি। এমতটি সবচেয়ে বেশী গ্রহণযোগ্য মত। এ ব্যাপারে মুসনাদে আহমাদের [৪/২৪] এক হাদীস থেকে প্রমাণ পাই। সত্যাম্বেষী আলেমগণ এমতকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। ইবন কাসীর এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। (ইবনে কাসীর) কি রকম পরিক্ষা হবে উদাহরণ দিয়ে বলিঃ যারা দুনিয়াতে ইসলামের দাওয়াত পায়নি তাদেরকে কিয়ামতের দিন বলা হবে যে তারা যদি ইসলামের দাওয়াত পেত তাহলে তা মানত কি না? যদি তারা বলে যে ইসলামের দাওয়াত পেলে তারা তা মানত। আল্লাহর হুকুম পালন করত। এজন্য আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য জাহান্নামের কাছে নিয়ে বলবেন যে আল্লাহর আদেশ হলো তোমরা এই জাহান্নামে ঝাঁপিয়ে পড়। তখন তাদের মধ্য থেকে কিছু লোক ঝাঁপ দিবে। এরকম তিনবার করবে। তারপর যারা অবশিষ্ট থাকবে অর্থাৎ ঝাঁপ দিবে না তাদেরকে বলা হবে যে তারা তো আল্লাহর হুকুম অমান্য করেছে তাই তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। আর যারা আল্লাহর হুকুম মেনে জাহান্নামে ঝাঁপ দিয়েছিল তাদেরকে জাহান্নাম থেকে তুলে আনা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। আর তারা যে জাহান্নামের আগুনে ঝাঁপ দিয়েছিল তা মূলত ছিল ইবরাহীম আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালামের আগুনের মত হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ