শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
RushaIslam

Call

কালোজিরা চাষের উপযুক্ত জমি তৈরি ও চারা রোপন ১। কালোজিরা চাষ করার জন্য প্রথমে জমিতে ভালভাবে চাষ দিয়ে নিতে হবে। জমিতে বেড তৈরি করে নিতে হবে।  ২। জমি তৈরি করার সময় জমিতে প্রয়োজনীয় সার মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। ভাল করে কুপিয়ে বা লাঙ্গল দিয়ে মাটি মিহি করতে হবে। ৩। অগ্রহায়নের শেষ থেকেই লাগানো যায়। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে পৌষের প্রথমে লাগানো ভাল। বীজ ছিটিয়ে অথবা সারি করে বপন করা যায়। ৪। এক্ষেত্রে প্রতি হেক্টরে গোবর সার ১০ থেকে ১৫ টন, ইউরিয়া সার ১৩০ কেজি, ৫০ কেজি টিএসপি সার ও ২৫ কেজি এমওপি সার মিশিয়ে দিতে হবে। সার মেশানোর ১ সপ্তাহ পরে প্রয়োজন হলে একবার নিড়ানি দিয়ে বেড তৈরী শেষ করতে হবে।   ৫। কালোজিরা বীজ বপনে প্রতি হেক্টরে ৫ থেকে ৬ কেজি বীজ লাগে।  ৬। বোনার আগে কালোজিরার বীজ ভাল করে ধুয়ে ধুলাবালি ও চিটা বীজ সরিয়ে নেওয়া ভাল। ভেজা বীজ বপন করা উচিৎ। ৭। কালোজিরার ক্ষেতে সঠিক নিয়মে পানি সেচ দিতে হবে। ক্ষেতে যদি আগাছা জন্মায় তাহলে তা পরিষ্কার করে দিতে হবে। মাটির ধরন ও বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে জমিতে মোট ২-৩টি সেচ দেয়া যেতে পারে। বীজ লাগানোর পরই হালকা করে মাটি দিয়ে গর্ত ঢেকে দিতে হবে। পাখিতে বীজ খেতে না পারে, সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। কালোজিরা সহজে পোকা মাকড়ে আক্রান্ত করে না। বরং এর স্বাভাবিক পোকা মাকড় ধ্বংসের ক্ষমতা আছে। সেরকম রোগ বালাই হয় না। তবে কিছু ছত্রাকের আক্রমণ লক্ষ্য করা যায়। ছত্রাকের আক্রমণ দেখা দিলে রিডোমিল গোল্ড বা ডাইথেন এম-৪৫ নামক ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১০ দিন পরপর ২-৩ বারে স্প্রে করা যেতে পারে।পৌষের প্রথমে চাষ করলে ফাল্গুন-চৈত্রে ফসল তোলা যাবে। এ সময় গাছ উত্তোলনের পর শুকোনোর জন্য রোদে ছড়িয়ে দিতে হয়। মাড়াই, ঝাড়াই ও সংরক্ষণ হাত দ্বারা ঘসে কিংবা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বীজ বের করা হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

কালোজিরা একটি গুরুত্বপূর্ণ মসলা। বর্তমানে আমাদের দেশে ব্যাপকহারে কালোজিরার চাষ করা হচ্ছে।  ইউনানী, কবিরাজী ও লোকজ চিকিৎসায় বহু রকমের ব্যবহার আছে। প্রসাধনীতেও ব্যবহার হয়। আসুন জেনে নেই কালো জিরা চাষ করার পদ্ধতি। 

কালোজিরা চাষে প্রয়োজনীয় জলবায়ু ও মাটি

যে কোন  মাটিতেই কালোজিরা জন্মায়। বেলে-দোঁআশ মাটিতে ফলন ভাল হয়। দো-আঁশ থেকে বেলে দো- আঁশ মাটি এটি চাষের জন্য উত্তম। মাটি ও আবহাওয়া জলাবদ্ধতামুক্ত উঁচু ও মাঝারি উঁচু এমন জমিতে কালোজিরা চাষ করা হয়ে থাকে। 

কালোজিরা চাষের উপযুক্ত জমি তৈরি ও চারা রোপন

১। কালোজিরা চাষ করার জন্য প্রথমে জমিতে ভালভাবে চাষ দিয়ে নিতে হবে। জমিতে বেড তৈরি করে নিতে হবে। 

২। জমি তৈরি করার সময় জমিতে প্রয়োজনীয় সার মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। ভাল করে কুপিয়ে বা লাঙ্গল দিয়ে মাটি মিহি করতে হবে।

৩। অগ্রহায়নের শেষ থেকেই লাগানো যায়। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে পৌষের প্রথমে লাগানো ভাল। বীজ ছিটিয়ে অথবা সারি করে বপন করা যায়।

৪। এক্ষেত্রে প্রতি হেক্টরে গোবর সার ১০ থেকে ১৫ টন, ইউরিয়া সার ১৩০ কেজি, ৫০ কেজি টিএসপি সার ও ২৫ কেজি এমওপি সার মিশিয়ে দিতে হবে। সার মেশানোর ১ সপ্তাহ পরে প্রয়োজন হলে একবার নিড়ানি দিয়ে বেড তৈরী শেষ করতে হবে।  

৫। কালোজিরা বীজ বপনে প্রতি হেক্টরে ৫ থেকে ৬ কেজি বীজ লাগে। 

৬। বোনার আগে কালোজিরার বীজ ভাল করে ধুয়ে ধুলাবালি ও চিটা বীজ সরিয়ে নেওয়া ভাল। ভেজা বীজ বপন করা উচিৎ।

৭। কালোজিরার ক্ষেতে সঠিক নিয়মে পানি সেচ দিতে হবে। ক্ষেতে যদি আগাছা জন্মায় তাহলে তা পরিষ্কার করে দিতে হবে। মাটির ধরন ও বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে জমিতে মোট ২-৩টি সেচ দেয়া যেতে পারে।

কালোজিরা চাষে  আগাছা ও নিড়ানি

বীজ লাগানোর পরই হালকা করে মাটি দিয়ে গর্ত ঢেকে দিতে হবে। পাখিতে বীজ খেতে না পারে, সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।

কালোজিরা চাষে  পোকামাকড় ও রোগদমন

কালোজিরা সহজে পোকা মাকড়ে আক্রান্ত করে না। বরং এর স্বাভাবিক পোকা মাকড় ধ্বংসের ক্ষমতা আছে। সেরকম রোগ বালাই হয় না। তবে কিছু ছত্রাকের আক্রমণ লক্ষ্য করা যায়। ছত্রাকের আক্রমণ দেখা দিলে রিডোমিল গোল্ড বা ডাইথেন এম-৪৫ নামক ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১০ দিন পরপর ২-৩ বারে স্প্রে করা যেতে পারে।

পৌষের প্রথমে চাষ করলে ফাল্গুন-চৈত্রে ফসল তোলা যাবে। এ সময় গাছ উত্তোলনের পর শুকোনোর জন্য রোদে ছড়িয়ে দিতে হয়। মাড়াই, ঝাড়াই ও সংরক্ষণ হাত দ্বারা ঘসে কিংবা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বীজ বের করা হয়। সূত্র

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ