প্রথমে অভ্যাসটা গড়ে তুলতে হবে নিজের মধ্যে। শুধু নিজের মধ্যে নয় পরিবারের সবার মধ্যেও এ অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। অপ্রয়োজনীয় খরচগুলো বাদ দিন। প্রয়াজন আর অপ্রয়োজনের পার্থক্যটা পরিবারের সবাইকে বোঝান। যেমন- বন্ধুদের সাথে আড্ডা একদিন দেওয়া যায়, প্রতিদিন নয়। আর আড্ডা মানে নিশ্চয় শুধু মুখে বসে থাকা না! বাজারে যাওয়ার সময় তালিকা তৈরি করে নিয়ে যান। তাহলে দেখবেন উল্টোপাল্টা কেনাকাটা কম হবে। যতটুকু দরকার ঠিক ততটুকু কিনবেন। প্রয়োজনে সামনের মাসে আবার কিনবেন। আর যদি বেশি কিনলে সস্তা পান তাহলে সামনের মাসের জন্য সেটা আলাদা করে তুলে রাখুন। মনে রাখবেন বেশি থাকলেই বেশি খরচ হবে। খুব ভালো হয় যদি ব্যাংকে একটা ডিপএস একাউন্ট করতে পারেন। বড় অঙ্কের করতে হবে এমন কোনো মানে নেই। যতটা আপনি ম্যানেজ করতে পারবেন। ঠিক ততটাই করবেন। তাহলে হবে কী আপনাকে অনেকটা বাধ্য হয়েই টাকাটা প্রতিমাসে জমা দিতে হবে। দেখবেন মেয়াদ শেষে এই অল্প অল্প করে জমানো টাকা কতটা বড় হয়ে যায়। বিপদের সময় হোক কিংবা কোনো একটা শখ পূরণ করতে পারবেন সেই টাকাটা দিয়ে সঞ্চয় করা মানে কিন্তু কৃপণতা করা নয়। তাই এমনভাবে সঞ্চয় করবেন না যাতে আপনার প্রতি আবার অন্যদের বিরূপ ভাবনার সৃষ্টি হয়। তাই করতে হবে অল্প অল্প করে। সব প্রয়োজন মেটানোর পরে।
আমাদের প্রয়োজনীয় সবকিছুর খরচ দেয়ার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে টাকা না থাকলে সঞ্চয় করা কঠিন৷ তবে, আপনি প্রতিবার আয় করার পরে, নিয়মিতভাবে অল্প পরিমাণে সঞ্চয় করার সিদ্ধান্ত নিলে সঞ্চয় করাটা আরো সহজ হতে পারে৷ এমনকি যদি আপনি শুধুমাত্র অল্প পরিমাণে সঞ্চয় করতে পারেন, এটাকে একটা অভ্যাসে পরিণত করতে পারলে ধীরে ধীরে ভালো একটা পরিমাণ টাকা জমবে এবং আপনাকে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম করবে৷