কালোজিরা তেল এর উপকারিতা
“বুখারী শরিফ” এ বলা হয়েছে, ‘তোমরা কালোজিরা ব্যবহার কর, নিশ্চয়ই সকল রোগের নিরাময় ইহার মধ্যে নিহিত রয়েছে- মৃত্যু ছাড়া’।
কালোজিরার তেলে ১০০টিরও বেশি উপযোগী উপাদান আছে। এর মধ্যে প্রায় ২১ শতাংশ আমিষ, ৩৮ শতাংশ শর্করা এবং ৩৫ শতাংশ ভেষজ তেল ও চর্বি। এটি নিয়মিত সেবনে নানা ধরণের উপকারিতা পাওয়া যায়।নিম্নে কালো জিরার তেল ব্যবহারের বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলো উল্লেখ করা হল-
১। এক চা-চামচ পুদিনা পাতার রস বা কমলার রস অথবা এক কাপ রঙ চায়ের সাথে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার করে পান করলে দুশ্চিন্তা দূর হয় এবং মেধাবিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে।
২। এক চা-চামচ কালোজিরার তেলের সঙ্গে তিন চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে তিন চারদিন খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি দূর হয়।
৩। বাতের ব্যাথায় আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত কালো জিরার তেল মালিশ করলে বাতের ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৪। যারা হাঁপানী বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য কালোজিরার তেল অনেক বেশি উপকারী। দৈনন্দিন খাবারের অংশ হিসেবে কালোজিরার তেল দ্বারা তৈরি ভর্তা রাখুন। এছাড়াও, কালোজিরা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার অবসান ঘটায়।
উল্লেখিত এ সকল উপকারিতা ছাড়াও কালোজিরার তেলে আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিয়মিত কালোজিরা খেলে প্রায় সকল প্রকার শারীরিক অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কালজিরার তেলে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান বিদ্যমান আছে লিনোলিক, অলিক, স্টিয়ারিক, লিনোলিনিক,এসিড, প্রোটিন, নিজেলোন, গ্লুটামিক এসিড। এছাড়াও রয়েছে নিজেলিন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, কেলসিয়াম, সোডিয়াম, মেগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, আয়রন,জিংক। কালোজিরার তেলের ব্যবহার বিধি নানাবিধ ক্ষেত্রে কালোজিরা বা কালোজিরা তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ সকল ক্ষেত্রসমূহের কিছু উল্লেখ করা হলো। স্মরণ শক্তি বৃদ্ধিতে এক চা চামচ পুদিনাপাতার রস বা কমলার রস বা এক কাপ রঙ চায়ের সাথে এক চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার করে নিয়মিত খেতে হবে তাহলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে। এভাবে খেলে দুশ্চিন্ত দূর হবে। এছাড়া কালোজিরা মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে। কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক। মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। মাথা ব্যাথা নিরাময়ে হঠাৎ মাথা ব্যথা হলে ১/২ চা চামচ কালোজিরার তেল মাথায় ভালোভাবে মালিশ করতে হবে এবং এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দিনে তিনবার করে খেতে হবে। এটা ২/৩ সপ্তাহ খেলে ভাল হবে। এছাড়া মাথা ব্যথায় কপালের উভয় চিবুকে ও কানের চারিপাশে প্রতিদিন ৩/৪ বার কালোজিরা তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যাবে। সর্দি সারাতে এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ৩বার খেতে হবে এবং রোগ সেরে না যাওয়া পর্যন্ত মাথায় ও ঘাড়ে মালিশ করতে হবে। এছাড়া এক চা-চামচ কালোজিরার সাথে তিন চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি দূর হবে। সর্দি বসে গেলে কালিজিরা বেটে কপালে প্রলেপ দিন। একই সাথে পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে কালিজিরা বেঁধে শুকতে হবে, শ্লেষ্মা তরল হয়ে ঝরে পড়বে। আরো দ্রুত ফল পেতে বুকে ও পিঠে কালিজিরার তেল মালিশ করতে হবে। বাতের ব্যাথা দূরীকরণে বাতের ব্যথা হলে সেখানে ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে কালোজিরার তেল মালিশ করতে হবে। এক চা- চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল সমপরিমান মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার খেতে হবে এটা ২/৩সপ্তাহ খেতে হবে। তাহলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে। বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ সারাতে যেখানে চর্ম রোগ সেই আক্রান্ত স্থানে ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে কালোজিরার তেল মালিশ করতে হবে। এক চা চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল, সমপরিমান মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার খেতেও হবে এটা ২/৩ সপ্তাহ খেতে হবে।
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত,তিনি বলেন, নবী (সঃ) বলেছেনঃ তোমরা এই কালো বীজ (কালোজিরা) নিজেদের জন্য ব্যবহারকে বাধ্যতামূলক করে নাও। কেননা, মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের নিরাময় এর মধ্যে রয়েছে। ‘আস-সাম’ অর্থ ‘মৃত্যু’। "সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩৪৪৭), বুখারী, মুসলিম। জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং (২০৪১)"। এটি প্রতিদিন সকালে ব্যবহার করতে হয়।
কালিজিরার তেলে ১০০টিরও বেশি উপযোগীউপাদান আছে। এতে আছে প্রায় ২১ শতাংশ আমিষ, ৩৮ শতাংশ শর্করা এবং ৩৫ শতাংশ ভেষজ তেল ও চর্বি। কালিজিরার অন্যতম উপাদানের মধ্যে আছে নাইজেলোন, থাইমোকিনোন ও স্থায়ী তেল।এতে আরও আছে আমিষ, শর্করাও প্রয়োজনীয়ফ্যাটি এসিডসহ নানা উপাদান। পাশাপাশি কালিজিরার তেলে আছে লিনোলিক এসিড, অলিক এসিড,ক্যালসিয়াম, টাশিয়াম, আয়রন, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম,ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-বি২, নিয়াসিন ও ভিটামিন-সি। এর মধ্যে রয়েছে ফসফেট, লৌহ, ফসফরাস,কার্বোহাইড্রেট ছাড়াও জীবাণু নাশকবিভিন্ন উপাদানসমূহ। এতে রয়েছে ক্যন্সার প্রতিরোধক কেরোটিন ও শক্তিশালী হর্মোন, প্রস্রাব সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগপ্রতিরোধকারী উপাদান, পাচক এনজাইম ও অম্লনাশক উপাদান এবংঅম্লরোগের প্রতিষেধক। কালোজিরায় যে রাসায়নিক উপাদানগুলো আছে কালজিরার তেলে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান বিদ্যমান আছে লিনোলিক, অলিক, স্টিয়ারিক, লিনোলিনিক,এসিড, প্রোটিন, নিজেলোন, গ্লুটামিক এসিড। এছাড়াও রয়েছে নিজেলিন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, কেলসিয়াম,সোডিয়াম, মেগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ,কপার, আয়রন,জিংক।