কিভাবে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কটাকে আজীবন ভালো রাখা যেতে পারে?

কি কি কাজ করলে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতি সবসময় খুশি থাকে?

শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আসলে স্বামী - স্ত্রীর মধ্যে ঝগরা সবসময় থাকবেই। তবে চেষ্টা করুন যাতে ঝগড়া না লাগে। ★ স্বামীর উচিৎ স্ত্রীর দিকে ভালো করে খেয়াল রাখা তার চাওয়া পূরণ করা।★★আর স্ত্রীর উচিৎ স্বমীর চাওয়া পাওয়া পূরণ করা। (★★★★এগুলো ফলো করলে সম্পর্ক ভালো থাকবে।★★★)

Porimolray

Call

*কোন এক বিখ্যাত লোক যখন নাস্তা করবেন তখন তার স্ত্রী তাকে দুটি পোড়া রুটি খেতে দিলেন এবং পাশ থেকে তার ছেলে বিষয়টি লক্ষ্য করলেন। ছেলেটি দেখল তার বাবা রুটি দুটি স্বাভাবিক ভাবেই খেয়ে ফেললেন এবং তার মায়ের প্রতি কোন রিঅ্যাকশন দেখান নি। তখন সে তার বাবাকে প্রশ্ন করল আপনি পোড়া রুটি দুটি খেলেন কেন আর কেনই বা মাকে বকলেন না- -উত্তরে বলছে তোমার মাকে অনেক কাজ করতে হয় হয়তো এটা কাজের ফাকে ভুল হয়েই গেছে এটা আমাকে বুঝতে হবে-তাকে যদি বকতাম সে মন খারাপ করত..... **যাহোক সুখী হতে পরস্পরকে যেকোন ক্ষেত্রে ছাড় ,গুরুত্ব,মতের মিল,সম্মান ও আদর/ভালোবাসতে হবে

Call

আর্দশ পরিবার হাদিস বই টি পড়তে পারেন

এখানে গিয়ে দেখে নিন।সেরা ১০ টি উপায়!

Call

পৃথিবীতে ভাল কাজ সব সময়ই কঠিন। তার মধ্যে একটি কঠিন কাজ হল সম্পর্ক। সেটা যে রকমই ভাল সম্পর্ক হোক প্রেমিক- প্রেমিকা, স্বামী-স্ত্রী, বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজন অথবা পারিবারিক। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই একজন আরেকজনকে ছাড় দিতে হবে। তাই তো বলে কোন জিনিস তৈরি করা যত কঠিন, সেটা ভেঙ্গে ফেলা ঠিক ততটাই সহজ। এক্ষেত্রে সব চেয়ে বড় উদাহরন হল প্রেমের সম্পর্ক। তবে মনে রাখতে হবে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখেতে হলে উভয়কেই মনোযোগী হতে হবে। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য স্বামী-স্ত্রীর কি করা উচিত আর কি করা উচিত নয়, চলুন সে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক। ১. স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক পবিত্র একটি সম্পর্ক। সম্পর্ক শুরু করার সময় কোন তথ্য গোপন করা বা মিথ্যা বলা উচিত নয়। পরবর্তীতে মিথ্যা বা গোপনীয় ব্যাপার গুলো প্রকাশ পেলে নষ্ট হতে পারে মধুর সম্পর্কটি। নেমে আসতে পারে অসহনীয় অশান্তি। ২. স্বামী-স্ত্রী একে অপরের পরিপূরক। তাই দুজন-দুজনকে জানা খুব জরুরী। কেও কার কাছে কোন বিষয়ে গোপন করবে না। যদি কারো অতীতে কোন কিছু থেকে থাকে তাহলে একজন আরেকজনকে জানিয়ে রাখুন। তাতে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। ৩. সংসারে টুকটাক কথা কাটাকাটি হতে পারে। কিন্তু সম্পর্ক ভেঙ্গে দেওয়ার কথা কখনই বলবেন না। এতে সম্পর্ক স্থায়িত্ব হারায়। ৪. সব সময় নিজের অহং বা ইগো নিয়ে বসে থাকবেন না। তাতে সম্পর্ক বেশি দূর এগোয় না। মাঝে মাঝে হেরে যাওয়ার মাঝেও আনন্দ আছে। ৫. স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ছোট ছোট বিষয় গুলো নিয়ে যত্নবান হন। ৬. কোন বিষয়ে কষ্ট পেলে ক্ষমা করতে শিখুন। সেটা নিয়ে বেশি দিন পড়ে থাকবেন না। এতে আপনার স্বভাবের পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। ৭. স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কোন বিষয়ে একজন আরেকজনকে অতিরিক্ত চাপচাপি করে বোঝানর চেষ্টা করবেন না। সে কি বলতে চাই বা কি বঝাতে চাই সেটাও বুঝতে চেষ্টা করুণ। ৮. অনুভূতি গুলো বুঝতে চেষ্টা করুণ। ছোট ব্যাপারে কষ্ট পায় আবার অনেকে পায় না। তাই তার চিন্তা ভাবনা গুলো বুঝতে চেষ্টা করুণ। ৯. স্বামী বা স্ত্রীকে একটু বেশি গুরুত্ব দিন। দেখবেন সে আপনার প্রতি বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে এবং আপনার প্রতি দুর্বল হয়ে গেছে। ১০. ভুল মানুষেরই হয়। সংসারের কোন কাজে ভুল করলে খোটা দিবেন না। শোধরানোর সুযোগ দিন। পারলে শিখিয়ে দিন। ১১. ছোটখাটো কাজে একজন আরেকজনকে সাহায্য করুণ। সহযোগিতা করার মন- মানসিকতা তৈরি করুণ। তাতে সম্পর্ক মধুর হবে। ১২. মানুষ সুন্দরের পূজারী। তাই নিজেরাই নিজেদের কাজ, সৌন্দর্য ও গুণাবলীর প্রশংসা করুণ। ১৩. নিজেদের মাঝে কোন ব্যাপারে ঝগড়া বা মন-মালিন্য হলে নিজেরাই মীমাংসা করে ফেলুন। তৃতীয় কোন মীমাংসাকারী ডাকবেন না। কেননা সবাই আপনাদের সুখ- শান্তি দেখে সহ্য নাও করতে পারে। ১৪. লোক সমাজে বা বন্ধু-বান্ধবের সামনে একজন আরেকজনকে ছোট করা হয় এমন কোন কথা বলা থেকে বিরত থাকবেন। মনে রাখবেন দিন শেষে সংসারটা আপনাদেরই। ১৫. স্বামী-স্ত্রী একজন আরেকজনের সামনে অন্য কোন নারী বা পুরুষের প্রশংসা করা থেকে বিরত থাকুন। নিজেরাই নিজেদের প্রশংসা করুণ। তাতে পবিত্র সম্পর্কটা আরও মধুর হবে।

aktohin

Call

দুজনের কম্প্রোমাইজ থাকলেই কেবল সম্ভব। ভুল মানুষের থাকবেই, তার জন্য কম্প্রোমাইজ দুজনকেই করতে হবে।