আমার ল্যাপটপ এ টাস্ক ম্যানেজার এ গেলে একটা মালাওয়ার ভাইরাস দেখা যায়। ভাইরাসটা প্রায় ১৫০ মেগাবাইট র‍্যাম দখল করে আছে। যার ফলে ল্যাপটপ মাঝে মাঝে স্লো / হ্যাং করছে। এখন আমি ভাইরাস টা রিমুভ করব কিভাবে? image


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ছবি সংগৃহীত ভাইরাস, স্পাইওয়্যার, ম্যালওয়্যার, ... ইত্যাদি খুব বিরক্তিকর! এগুলো কম্পিউটার স্লো করা, অবৈধভাবে তথ্য চুরি করা সহ নানা ঝামেলায় ফেলে আমাদের। আপনি সম্ভবত অনেক বাণিজ্যিক ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখেছেন যেখানে বিনামূল্যে স্ক্যান করতে এবং আপনার কম্পিউটার দ্রুত পরিষ্কার করে স্পীড বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয়। যদিও এসব ওয়েবসাইট আপনার কম্পিউটার স্ক্যান করবে সত্য তবে, তাদের মধ্যে অধিকাংশই ভাইরাস স্ক্যান করতে ফি চার্জ করা হবে এবং তাদের কেউই দ্রুত আপনার কম্পিউটার ২০এক্স ফাস্টার করতে পারেনা। মূলত, এসব বাণিজ্যিক সাইট একটি সহজ অ্যান্টিভাইরাস স্ক্যানার / রিমুভার ব্যবহার করে। এর চেয়ে অনেক ভালো সফটওয়্যার বিনামূল্যে অনলাইনে রয়েছে। এই লেখাটি অনুসরণ করে, আপনি কোন সন্দেহ ছাড়া, আপনার কম্পিউটার থেকে ভাইরাস, স্পাইওয়্যার, ম্যালওয়্যার বা যেকোনও ধরনের ভাইরাস অপসারণ করতে সক্ষম হবেন। কম্পিউটার থেকে বিরক্তিকর সব ভাইরাস অপসারণ করার ৩ টি পদ্ধতি নিচে দেওয়া হল: পদ্ধতি ১ - সিস্টেম রিষ্টোর সিস্টেম পুনরুদ্ধার বা রিষ্টোর হালকা ম্যালওয়্যার এবং স্পাইওয়্যার প্রোগাম থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার একটি ভাল উপায়। এর জন্য কোন সফটওয়্যার ডাউনলোডের প্রয়োজন পড়েনা এবং উইন্ডোজ দ্বারা সরাসরি সম্পাদনা করা যেতে পারে। সিস্টেমের রিষ্টোর ভালভাবে কাজ করবে যদি সঠিকভাবে অনুপ্রবেশ করতে পারেন। উইন্ডোজে একটি সিস্টেম রিষ্টোরের জন্য আপনাকে Start থেকে Control Panel এ যেতে হবে। কন্ট্রোল প্যানেল মধ্যে অবস্থিত Recovery তে এবং পরবর্তী পর্দায় Open System Restore বাটনে ক্লিক করুন। বাকি প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ এবং উইন্ডোজ উইজার্ড আপনাকে যেভাবে গাইড করবে সেভাবে অনুসরণ করলেই চলবে। পদ্ধতি ২ - স্ক্যান অনলাইনে অনেক স্পাইওয়্যার / ভাইরাস অপসারণের হাজার হাজার বিভিন্ন প্রোগ্রাম আছে যার মধ্যে অনেকগুলো বিনামূল্যেই পাবেন। একটি জিনিস মনে রাখবেন বিভিন্ন ভাইরাস অপসারণ প্রোগ্রাম বিভিন্ন ফলাফল দিতে পারে তবে এগুলো ১০০% সম্পূর্ণ সঠিক ফলাফল দিবেনা। উদাহরণস্বরূপ, আপনি আপনার কম্পিউটার একটি ভাইরাস অপসারণ প্রোগ্রাম দ্বারা স্ক্যান করতে পারেন যা ভাইরাস অপসারণ করবে, তারপর পুনরায় একটি ভিন্ন ভাইরাস অপসারণ প্রোগ্রাম দ্বারা কম্পিউটার স্ক্যান করতে পারেন যেসব ভাইরাস প্রথম প্রোগ্রামটি অপসারণ করতে পারেনি তা দ্বিতীয় প্রোগ্রামটি অপসারণ করতে পারবে। যাইহোক, তাই বলে আপনাকে শত শত অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম নিয়ে বসে থাকতে হবেনা কেননা কার্যকারিতা অনুসারে একটি ভাল অ্যান্টিভাইরাস স্ক্যানারই ভাইরাস অপসারণে যথেষ্ট। অ্যান্টিভাইরাস ও স্ক্যানারের  জন্য https://www.online-tech-tips.com/computer-tips/how-to-protect-your-computer-from-hackers-spyware-and-viruses/এই সাইটিতে যেতে পারেন। এছাড়া https://www.adaware.com/ ও   https://download.cnet.com/Spybot-Search-Destroy-for-Windows-XP/3000-8022_4-10122137.htmlদুটি ভালো স্পাইওয়্যার। পদ্ধতি ৩ - ক্লিন ইনস্টল ক্লিন ইনস্টল কোন মজার জিনিস না তবে, ক্লিন ইনস্টল ভাইরাস, স্পাইওয়্যার, ম্যালওয়্যার থেকে পরিত্রাণ পেতে এক নিশ্চিত উপায়। এটি অত্যন্ত সহজ যখন আপনি ক্লিন ইনস্টল করবেন তখন আপনার হার্ড ড্রাইভের সবকিছু মুছে ফেলা হয় সুতরাং আর কোনও ভাইরাসের অস্তিত্ব থাকার প্রশ্নই ওঠেনা। বেশিরভাগ সময়, ভাইরাস ছবি, টেক্সট ডকুমেন্ট, ভিডিও, অথবা এম্পিথ্রি ফাইলের মত আইটেমে সংক্রমিত হবে না। যদি ধাপ ২ (স্ক্যান), আপনার জন্য কাজ না করে এবং সম্ভবত ভাইরাস আপনার কম্পিউটারের রেজিস্ট্রিতে থাকে তবে আপনার জন্য তা ভালো কেননা ক্লিন ইনস্টলের পূর্বে আপনি আপনার ছবি, ডকুমেন্ট এবং সব গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ব্যাকআপ হিসেবে রাখতে পারবেন। ব্যাকআপ ফাইলের সবচেয়ে সহজ উপায় হল এক্সটারনাল হার্ড ড্রাইভ ব্যবহার করা বা ফ্ল্যাশ ড্রাইভ বা ডিভিডি বার্ন করা ইত্যাদি। ক্লিন ইনস্টল করা খুব একটা কঠিন কাজ নয় শুধু আপনার হার্ড ড্রাইভে এটি কপি করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে মাত্র।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ