টেক্সট বইয়ের পাশাপাশি আর কি কি বই পড়লে ভালো হবে ?
অভিজ্ঞদের মতামত আশা করছি

শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

এইচ এস সি পরীক্ষার পর সারা দেশে ভর্তি পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। আমাদের দেশে সারা দেশে একই সঙ্গে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। একজন পরিক্ষার্থী যেখানেই পরীক্ষা দিক না কেন, মেধাস্কোরের ওপর ভিত্তি করে সে যেকোনো মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেতে পারে। মেধাভিত্তিক মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দিয়েই শুরু হয় চিকিৎসক হবার স্বপ্নপূরণের উদ্দেশে পথচলা।


মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন

মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় সর্বমোট ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্ন থাকে জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে। ১০০ টি প্রশ্নের জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১০০ নম্বরে। এর মধ্যে জীববিজ্ঞান বিষয়ে প্রাণীবিজ্ঞান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান মিলিয়ে ৩০ নম্বর, রসায়নবিজ্ঞান প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র মিলিয়ে ২৫ নম্বর, পদার্থবিজ্ঞান প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র মিলিয়ে ২০, ইংরেজিতে ১৫ নম্বর ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে থাকে ১০ নম্বর। নম্বর বণ্টন থেকেই এ বিষয় স্পষ্ট যে, ভর্তি পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান এবং রসায়নবিজ্ঞান বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়।

জীববিজ্ঞান 

• মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান বিভাগের বেশিরভাগ প্রশ্ন প্রাণিবিজ্ঞান বই থেকেই আসে। মানবদেহ অধ্যায়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দাও কারণ এখান থেকেই সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন আসে।

• উদ্ভিদবিজ্ঞান অংশ থেকে জৈবনিক প্রক্রিয়া, উদ্ভিদের ভিন্নতা ইত্যাদি অংশ থেকে থেকে বেশি প্রশ্ন আসে।

• বিভিন্ন বিজ্ঞানী ও তাদের মতবাদ সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতে হবে। বিভিন্ন আবিষ্কৃত ও মতবাদের সাল অবশ্যই মনে রাখতে হবে। এগুলো থেকেও প্রশ্ন আসে।


পদার্থবিজ্ঞান

• পদার্থবিজ্ঞানের পরিচিত সূত্র থেকেই প্রশ্ন বেশি আসে। আর অঙ্কের ক্ষেত্রে যেসব সূত্রের সাহায্যে সহজে ও ছোট অঙ্ক করা যায়, সেসকল প্রশ্নই আসার সম্ভবনা বেশি। পরীক্ষার হলে ক্যালকুলেটরের ব্যাবহার নিষিদ্ধ তাই কিছু কিছু জিনিস অবশ্যই মুখস্ত রাখতে হবে।

• একক মান, পার্থক্য ও আরও যত ছক আছে এগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে।


রসায়ন

• রসায়ন এ ভালো করতে হলে দ্বিতীয় পত্রে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

• কিছু বিক্রিয়া আছে যেগুলো বিজ্ঞানের নামে নামাঙ্কিত, সেসকল বিক্রিয়া ও আবিষ্কারের সাল ভালভাবে মনে রাখবে।

• ভালভাবে পড়বে রাসায়নিক বন্ধন, মৌলের পর্যাবৃত্ত ধর্ম, ডি-ব্লক মৌল, জৈব অ্যাসিড, তড়িৎ রাসায়নিক কোষ, অ্যালডিহাই, হাইড্রোকার্বন ইত্যাদি বিষয়।


ইংরেজি

• ইংরেজিতে ভালো করতে হলে অবশ্যই Vocabulary তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। সাথে Synonym, Antonym ও ভালভাবে পড়তে হবে।

• গ্রামার এ Tense, Parts of speech, Right Form of Verb, Article, Narration, Voice, Preposition, Phrase and Idioms ইত্যাদি ভালভাবে দেখতে হবে।

সাধারণ জ্ঞান

• আলোচিত যেকোনো ঘটনা সেটা বাংলাদেশ সম্পর্কিত হোক অথবা আন্তর্জাতিক, সে বিষয়ে ভালো ধারনা থাকতে হবে। সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া আলোচিত বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

• ক্ষুদ্রতম, বৃহত্তম, প্রথম ও একমাত্র, বিভিন্ন দেশী ও আন্তর্জাতিক সংগঠন, বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে ভালো ধারনা রাখতে হবে।

• বিসিএস পরীক্ষার ১০ বছরের প্রশ্নগুলো থেকে ভালভাবে প্রস্তুতি নাও।

• পূর্বের ভর্তি পরীক্ষায় যে প্রশ্নগুলো এসেছে সেগুলো ভালভাবে পড়তে হবে। আর অবশ্যই যেগুলো বারবার এসেছে, সেগুলো খুব ভালভাবে পড়তে হবে।

• শেষ সময়ে নতুন করে কোন কিছু না পড়াই ভালো কারন, তাতে প্রস্তুতি ভালো না হয়ে উল্টো পূর্বের প্রস্তুতির ক্ষতি হতে পারে।

• পড়া বিষয়গুলো ভালভাবে বারবার করে দেখতে হবে। পরিষ্কার ধারণা না থাকলে পরীক্ষার হলে ভুল হবার সম্ভাবনা থাকে।

• প্রতিটি প্রশ্ন ভুলের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে তাই পরীক্ষার হলে একটু কৌশলী না হলে ভালো নম্বর পাওয়া খুব কঠিন হতে পারে। প্রথম ২০-২৫ মিনিটে যেগুলো সম্বন্ধে তুমি পুরোপুরি নিশ্চত, সেগুলো দাগাও। পরের ২০-২৫ মিনিটে মোটামুটি সহজ প্রশ্নগুলো দাগাও। এখন বাকি প্রশ্নগুলো নিয়ে চিন্তা করার জন্য কিছুটা সময় পাবে। কোনো প্রশ্নের পেছনে অযথা বাড়তি সময় নষ্ট না করে দ্রুত পরের প্রশ্নে চলে যাও। সময়ের সঠিক ব্যাবহার করতে হবে পরীক্ষার হলে, তা নাহলে এত অল্প সময়ে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দেয়া সম্ভব হবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ