পৃথিবীর ওজন পরিমাপে প্রাচীনকাল থেকে বেশকিছু পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে সর্বাধিক স্বীকৃত পদ্ধতি হলো মহাকর্ষ বলের ব্যবহার।
নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র হতে আমরা পাই,
g = GM/R2
[[ এই সমীকরণ কিভাবে আসলো তা
জানতে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর
পদার্থবিজ্ঞান বই দেখুন, কিংবা
আলাদাভাবে প্রশ্ন করুন ]]
সুতরাং, M = gR2/G
এখানে g অভিকর্ষজ ত্বরণ, G মহাকর্ষ ধ্রুবক, R পৃথিবীর ব্যাসার্ধ, M পৃথিবীর ভর।
g নির্ণয় করা হয়েছে দোলকের সাহায্যে, উপর থেকে কোনো বস্তু ছেড়ে দিলে তা কত সময় পর মাটিতে পড়ে সে হিসেবে করেও এর মান নির্ণয় করা যায়।
পৃথিবীর ব্যাসার্ধ (R) আমাদের জানা (নির্ণয়ের পদ্ধতিটা একটু জটিল তাই বিস্তারিত বললামনা)।
বাকি রইলো G এবং M.
নিউটন G এর মান নির্ণয় করতে সক্ষম হননি, তার মৃত্যুর বহুবছর পর জন মিশেলের তৈরি ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করে G এর মান নির্ণয় করেন ক্যাভেন্ডিস। দুটি বস্তুর মাঝে পারস্পরিক আকর্ষণের তুলনা করে এর মান নির্ণীত হয়।
এবার g, G ও R এর মান নিম্নোক্ত ইকুয়েশনে বসালেই আমরা পৃথিবীর ভর পেয়ে যাই-
M = gR2/G
পৃথিবীর ভরের বর্তমান প্রচলিত মান এই পদ্ধতিতেই নির্ণয় করা হয়েছে। প্রাচীন গ্রীকদের পরিমাপ বর্তমান মানের চেয়ে ২০% কম ছিলো।