শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ভোরবেলা আমাদের মস্তিষ্ক সব চাইতে দ্রুত ও সঠিক কাজ করতে পারে

ভোরবেলা পরিবেশ অনেক বেশি শান্তিময় থাকে। আশেপাশের শব্দ কম থাকে। সব চাইতে বড় কথা হচ্ছে এইসময়ে আমাদের মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেয়ার মতো জিনিস কম ঘটে থাকে। এবং হাতে সময় থাকে বলে তাড়াহুড়ো করে কিছু করতে হয় না। এর ফলে আপনি খুব শান্তিপূর্ণ ভাবে নিজের কাজ সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করতে পারেন। মাথায় নানা ধরণের আইডিয়া আসবে। কিন্তু যখন আপনি দেরি করে ঘুম থেকে উঠবেন তখন আপনার কাছে সব কিছুর জন্য কম সময় হাতে থাকবে। যার ফলে তাড়াহুড়োর সৃষ্টি হবে, যা আপনার মস্তিষ্ককে সঠিকভাবে চিন্তা করতে দেবে না একেবারেই।

ভোরবেলা দেহের এনার্জি সব চাইতে বেশি থাকে সুতরাং কাজ বেশি হয়

পুরো রাত ভালো করে ঘুমানোর পর ভোরে আমাদের এনার্জি পুরো দিনের ও রাতের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ থাকে। যদি দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন তবে লক্ষ্য করে দেখবেন আপনি ভেতরে ভেতরে অনেক দুর্বলতা অনুভব করবেন। এই দুর্বলতা আপনার কাজের গতি অনেকাংশে কমিয়ে দেবে। যার প্রভাব অবশ্যই আপনার জীবনের ওপর পড়বে।

নিজের ব্যক্তিগত কাজগুলো করার জন্য সকাল সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ সময়

ঘরে নানা কাজ জমিয়ে রেখেছেন? সপ্তাহের বন্ধের দিনটিতে কাজগুলো করেন? কিন্তু একবার ভেবে দেখেছেন কি ৬ দিনের জমিয়ে রাখা কাজ একসাথে ১ টি দিনে করা কতোটা কঠিন এবং সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এর চাইতে দিনের কাজ দিনে করে ফেললে ঝামেলা এতো বাড়ে না। এবং উল্টো বন্ধের দিনেও খানিকটা সময় পাওয়া যায় যা অন্য কাজের খাটাতে পারেন। সফল মানুষেরা কিন্তু এই কাজটিই করেন। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে নিজের কাজগুলো সেরে ফেলেন এবং এতে করে ছুটির দিনে অন্য কাজে মন দিতে পারেন।

image

ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠলে পুরোদিনের কাজের একটি সময়সূচী তৈরি করে ফেলা যায়

আপনি যখন সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন তখন আপনার হাতে সময় কম থাকে। তখন নানা কাজের তাড়াহুড়োয় গুছিয়ে কাজ করা হয়ে উঠে না একেবারেই। ফলে পুরো দিনটিই কেমন যেনো এলোমেলো হয়ে যায়। কিন্তু ভোরে ঘুম থেকে উঠে যখন আপনার হাতে সময় থাকে তখন ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে পুরোদিনের সময়সূচী তৈরি করে ফেলতে পারেন। দিনের প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগাতে পারেন। এতে করে কাজে সফলতা আসার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়।

শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করে ভোরে ঘুম থেকে ওঠা

আপনি লক্ষ্য করেছেন কি, ভোরে ঘুম থেকে ওঠা রাতে ঘুমাতে যাওয়া সবই একটি সার্কেলে বাঁধা? আপনি সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে রাতে ঘুমুতে যাবেন তাড়াতাড়ি এবং যেহেতু সারাদিন অনেক ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে যাবেন সুতরাং ঘুমটাও বেশ ভালো হবে। আর রাতে ভালো ঘুম হওয়া আমাদের দেহের জন্য সব চাইতে ভালো একটি কাজ। দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত রাখতে বিশেষ ভাবে কাজ করে রাতের ভালো ঘুম। এছাড়াও যখন ভোরে ঘুম থেকে উঠবেন তখন আহতে সময় থাকবে এবং খানিকটা ব্যায়াম করতে পারবেন। এতেও শারীরিক সুস্ততা বাড়বে। এবং দেহ সুস্থ থাকলে তার প্রভাব আপনার কাজেকর্মে এবং জীবনে পড়বে। আপনি অনেক বেশি অ্যাক্টিভ হবেন এবং অনেক এনার্জি থাকবে আপনার মাঝে।

সুত্র- ‘এলিট ডেইলি’র পোস্ট অবলম্বনে’

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। এমন অনেকেই আছেন যারা অধিক রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন আর অনেক বেলা করে ঘুম থেকে ওঠেন। দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা নানাভাবে আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন : - আমাদের অলস করে তুলতে পারে। - মস্তিষ্কের সঠিক ও দ্রুত কাজে বাধা প্রদান করতে পারে। কেননা দেখা গেছে যে ভোরবেলাতেই মুস্তষ্ক সঠিকভাবে আর দ্রুত কাজ করে। দেরিতে ওঠার ফলে মস্তিষ্ক এই কাজে বাধাপ্রাপ্ত হয়। - দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে কেননা দেহ ভোরবেলার সঠিক অ্যানার্জি গ্রহণে ব্যর্থ হয়। - দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার ফলে সময়ের অভাবে সারাদিনের কাজ এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। - দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস কাজের গতি কমিয়ে আনতে পারে। - এছাড়া এর ফলে শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। আপনি খেয়াল করে দেখবেন বেশি ঘুমোলে সারা শরীর ব্যথা ও দুর্বল অনুভূতি হয়ে থাকে। ফলে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার ফলে একজন শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। ধন্যবাদ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ