শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মিসওয়াকের পরিচয় এবং শরীয়াতে এর বিধান:

আরবি السواك শব্দটি ساك শব্দ থেকে গৃহীত। এর আভিধানিক অর্থ:دلك বা ঘষা, মাজা, মর্দন করা ইত্যাদি।

পরিভাষায়ঃ দাঁত থেকে হলুদ বর্ণ বা এ জাতীয় ময়লা দূর করার জন্য কাঠ বা গাছের ডাল ব্যবহার করাকে মিসওয়াক বলে।

সবসময় মেসওয়াক করা মুস্তাহাব। যেমন আয়িশা বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে: আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) থেকে বর্ননা করেন: তিনি বলেছেন যে, মিসওয়াক মুখের পবিত্রতা অর্জনের উপকরণ ও আল্লাহ্‌র সমেত্মাষ লাভের উপায়।

এছাড়াও নিম্নোক্ত সময়গুলোতে মিসওয়াক করা উত্তম বলে তাকিদ দেয়া হয়েছে:

১। ওযূর সময়: আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেন: যদি অমার উম্মতের জন্য কষ্ট মনে না করতাম তাহলে আমি ওযূর সময় তাদের মিসওয়াক করতে নির্দেশ দিতাম।

২। সালাতের সময়: আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেন: যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্ট মনে না করতাম তাহলে আমি প্রত্যেক সালাতের সময় তাদের মিসওয়াক করতে নির্দেশ দিতাম।

৩। কুরআন পাঠের সময়: আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমাদের মিসওয়াক করার জন্য আদেশ দেয়া হয়েছে। কেননা যখন কোন বান্দা সালাতে দাঁড়ায় তখন তার কাছে ফেরেশতা এসে তার পিছনে দাঁড়ায় ও কুরআন পড়া শুনতে থাকে এবং তার নিকটবর্তী হতে থাকে, এমন কি ফেরেশতা তার মুখকে তেলাওয়াত কারীর মুখের সাথে লাগিয়ে দেয়। ফলে প্রত্যেক আয়াত ফেরেশতার পেটের ভিতর প্রবেশ করে।

৪। গৃহে প্রবেশের সময়: আল মিকদাদ ইবন শুরাইহ থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমি আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহহ (সাঃ) ঘরে প্রবেশ করে সর্বপ্রথম কোন কাজ করতেন? তিনি বলেন, মিসওয়াক দিয়ে দাঁত মাজা।

৫। রাতের সালাত আদায়ের সময়: হুযাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যখন তাহাজ্জুদ সালাতের জন্য উঠতেন তখন মিসওয়াক দ্বারা ঘষে মুখ পরিষ্কার করতেন। তথা তার দাঁতগুলোকে মিসওয়াক দ্বারা ঘষতেন।

মিসওয়াক করার জন্য ‘আরাক’ নামক গাছের ডাল ব্যবহার করা মুস্তাহাব। যদি তা না পাওয়া যায়, তাহলে দাঁত ও মুখ পরিষ্কার হয়ে যায় এমন কোন বস্তু ব্যবহার করা যথেষ্ট হবে।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ