শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আইফোন দামী হওয়ার কিছু কারন:

১। ব্রান্ড: আইফোন প্রথম যখন আছে তখন নতুন প্রযুক্তি নিয়া আসে, আইফোন প্রথম টার্চ প্রযুক্তি নিয়া আসে। ফলে এটির প্রতি মানুষ বেশি আকৃষ্ট হয়ে ওঠে। সে সময় অন্য কোম্পানি এত চমক দেখাতে না পারাই এইফোন একটি ব্রান্ড হয়ে গেছে। আর নামী ব্রান্ড জিনিসের দাম পন্যের উতপাদন খরচের ও ফিচারের  উপর নির্ভর করেনা। তাই আইফোন এখন দাম বেশি। 

২। ডিজাইন: আইফোন প্রথম এমন ডিজাইন নিয়া আসে যে, অফিসিয়াল ব্যবহারের জন্য রুচিশীল ও VIP পরিচয় বহন করে। ফলে এটির মূল্য বেশি হয়েছে। উল্লেখ্য যে অনেক ডিজাইন আছে যা কম বয়সীরা পছন্দ করে কিন্তু VIP মূল্যবোধের নয়। যেমন ৭-৮ বছরের একটি বাচ্ছার কাছে রঙ বেরঙ্গের ছাপ যুক্ত শার্ট বেশী পছন্ড কিন্তু একজন ৩০ বছর বয়সী কর্মজীবী যুবকের কাছে এটি মজার বা জোক্স এর মত। তাসের কাছে এক রঙ বা চেক বা স্টাইপ জাতীয় এবং অফিসিয়াল ভাবে সাদা শার্ট ই পছন্দের ঠিক এমন।

৩। আইফোন হচ্ছে সিকিউর: আইফোনের সিকিউরিটি ছোট খাট এক্সপার্টরাও ভাঙতে পারেনা। তাই এটির দাম বেশী।

৪। আইফোন কিছু না কিছু নতুন প্রযুক্তি থাকে। এবং একমাত্র এপল ছাড়া আর কেউই আইফোন বা তাদের অপারেটিং সিস্টেম বাজারজাত করেনা বলে প্রতিযোগীতা নাই। কিন্তু এন্ড্রয়েড কোন ফোন নয়। এটি অপারেটিং সিস্টেম । যেকোন কোম্পানি এটি দিয়া ফোন তৈরি করে বিক্রি করতে পারে। তাই মার্কেটে বহু কোম্পানি গড়ে উঠেছে। যারা ব্যবসার স্বার্থে কম দামে বিক্রি করে থাকে। এসব কারনে ব্রান্ড ফোনগুলোও আইফোনের মত দামি করতে পারেনা।

ধরুন আমি ৫০ হাজার টাকার স্যামসাং ব্যবহার করি আর আপনি ৫ হাজার টাকার কোন একটা এন্ড্রয়েড। তাহলে আমি যে এপস ফিচার ব্যবহার করি আপনিও তাই করছেন। শুধু পার্থক্য থাকে হার্ডওয়ারে যেমন ক্যামেরাটা হয়ত বেশি ভাল না। কাজেই আপনি বেশী দাম দিয়া ফোন কিনতে চাইবেন না। কিন্তু আইফোনে সে সুযোগ নাই। আইফোনের এপস সিস্টেম কেউই ব্যবহার করতে পারবেনা। তাই কোম্পানি দাম বেশি ধরে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ