রুহি তার বাবার সাথে শেরপুর বেড়াতে গেলাে। যাওয়ার পথে স্থানীয় একটি বাজারে নাস্তা খেতে নামলাে। সে দেখলাে রাস্তার পাশে বার্শ ও বেতের তৈরি সুন্দর সুন্দর ঝুড়ি, কুলা, চেয়ার, দোলনা, ফুলদানি বিক্রি করছে।

রুহি বাবাকে বলে দুটো ফুলদানি কিনলাে। রুহির বাবা বললাে এভাবেই স্থানীয়ভাবে তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করে হাজার হাজার লােকের কর্মসংস্থান হচ্ছে এবং পর্যটকদের নিকট এগুলাের চাহিদাও ব্যাপক।

বর্তমানে সরকার এ খাতের নারী উদ্যোক্তাদের দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ প্রদান করছে।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

উত্তরঃ বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশের উন্নয়ন দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের মতাে উন্নয়নশীল দেশের অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাঁশ ও বেত শিল্প ও মাঝারি শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  দারিদ্র বিমােচন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এর অবদান উল্লেখযােগ্য। দেশের একটা বড় অংশ এই শিল্পের আওতাভুক্ত। কর্মসংস্থানের বড় ক্ষেত্র হচ্ছে এ সকল শিল্প। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ এ শিল্পের সাথে জড়িত। স্বল্প মূলধন, স্থানীয় কাঁচামাল, ব্যক্তিগত নৈপুণ্য, সৃজনশীলতা, পরিবারের সদস্যদের বিশেষ করে মহিলাদের কর্মশক্তি ব্যবহার করে এ জাতীয় শিল্পগুলাে গড়ে উঠে। ফলে লাখাে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে দেশের গ্রামীণ মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব দূরীকরণেবাঁশ ও বেত শিল্পের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য লালন ও বিকাশে এবং সারা বিশ্বে তা ছড়িয়ে দিতেও বাঁশ ও বেত শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

উদ্দীপকে প্রদত্ত তথ্য মতে এ খাতের বিকাশ সম্ভব বলে মনে করি। মতামত দেওয়া হলো নিচে :



বাংলাদেশ কুটির শিল্পের বিকাশে করণীয় কার্যক্রম হলাে

কাঁচামালের সহজলভ্যতা ও নিশ্চিতকরণ, শ্রমিকের পর্যাপ্ত যােগান ও বৈদেশিক চাহিদা বৃদ্ধি ইত্যাদি। 


কাঁচামালের সহজলভ্যতা কোনাে শিল্প গঠনের সিদ্ধান্তে বড় ভূমিকা পালন করে। শ্রমিকের যােগান পর্যাপ্ত হলে শিল্পের উৎপাদন ও পরিচালনা সহজ হয়৷ এছাড়াও উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা কোনাে শিল্পের উন্নতিতে সহায়তা করে। এ দেশের ৯৬ ভাগ শিল্পই কুটির শিল্পের আওতাভুক্ত বলে এ সব শিল্পে বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থান সুযােগ তৈরি করে।


কোনাে শিল্প প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা থেকে তা পরিচালনা ও বিকাশে কিছু

উপাদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কঁচামালের সহজলভ্যতা, শ্রমিকের

পর্যাপ্ত যােগান ও উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা প্রভৃতি ঐসব উপাদানের

অন্তর্ভুক্ত। কঁাচামাল সহজলভ্য হলে কোনাে শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন

কাজ সহজ হয়ে যায়। আর শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন, ও পরিচালনা অব্যাহত রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ দক্ষ শ্রমিক প্রয়ােজন হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম সহজে সম্পন্ন হয় ও ব্যয় কমে যায়। আবার পণ্য শুধু উৎপাদন করলেই হয় না, এর বিপণনও জরুরি। এজন্য স্থানীয় বৈদেশিক চাহিদা বাড়ানাের দিকে নজর দিতে হয়। এছাড়াও শিল্পের বিকাশে পুঁজির সহজ যােগান,পরিবহন সুবিধা, বাজারের নৈকট্য সহায়ক ভূমিকা রাখে। উপরিউক্ত কথাগুলাে থেকে আমরা বাংলাদেশের কুটির শিল্পের বিকাশে করণীয় কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারি।




উপরিউক্ত কাজগুলাে সঠিকরূপে সম্পন্ন করলে কুটির শিল্পের খাতের

বিকাশ ঘটানাে সম্ভব বলে আমার মনে হয়।



ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ