মানে যে কোন ভালো ভবিষ্যৎ বাণীর পৃর্বে ইনশাআল্লাহ বলা যাবে কি?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

 

ইনশাআল্লাহ শব্দের অর্থ, মহান আল্লাহ যদি চান তাহলে। ভবিষ্যতে হবে, করবো বা ঘটবে এমন কোন বিষয়ে ইনশাআল্লাহ বলা সুন্নাত।

তাই ইনশাআল্লাহ! আগামী মে মাসের ১২ তারিখ বিশ্ব করোনা হতে মুক্তি পাবে এ বাক্যটি ইসলামিক দৃষ্টিতে বলা যাবে। কেননা, বাক্যটির পুর্বে মহান আল্লাহ যদি চান তাহলে আগামী মে মাসের ১২ তারিখ বিশ্ব করোনা হতে মুক্তি পাবে এমন কথা যুক্ত হয়েছে।

যদি ইনশাআল্লাহ ছাড়া বলা হতো যে, আগামী মে মাসের ১২ তারিখ বিশ্ব করোনা হতে মুক্তি পাবে এমন কথা বলা ঠিক নয়। যদি ইনশাআল্লাহ ছাড়া বলেন সেক্ষেত্রে বলতে হবে হতে পারে।

কেননা, অদৃশ্যের চাবিকাঠি কেবল আল্লাহর নিকট রয়েছে, তিনি ছাড়া অন্য কেউ জানেনা। (সুরা আন‘আম, আয়াতঃ- ৫৯)।

জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মুমিন আল্লাহকে স্মরণ করে। প্রতিনিয়ত একমাত্র আল্লাহর ওপর নির্ভর ও ভরসা করে। নিজের শক্তি-সামর্থ্য ও অন্যান্য উপায়-উপকরণের ওপর ভরসা করে না। তাই ভবিষ্যতে ঘটতে যাওয়া কোনো কাজ ও ব্যাপারে মুমিন ‘ইনশাআল্লাহ’ বলে।

কথা ও কাজে ‘ইনশাআল্লাহ’ ব্যবহার ইসলাম ও মুসলমানদের সংস্কৃতি, যা আল্লাহ কোরআনে শিখিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, তুমি কখনো কোনো বিষয়ে এ কথা বলো না যে, আমি এটি আগামীকাল করব—‘ইনশাআল্লাহ’ কথাটি না বলে। যদি (কথাটি বলতে) ভুলে যাও, তাহলে (যখনই তোমার স্মরণে আসবে) তোমার রবকে স্মরণ কোরো এবং বলো, সম্ভবত আমার রব আমাকে এর (গুহাবাসীর বিবরণ) চেয়ে সত্যের নিকটতর পথনির্দেশ করবেন। (সুরা কাহফ, আয়াত : ২৩-২৪)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Waruf

Call

আমি ধর্মীয় রেফারেন্স উল্লেখ করতে পারবোনা। কিন্তু ধর্মীয় লজিকাল জ্ঞানের আলোকে বলতে পারি যে, এই কথা যদি বলেন তবে সরাসরি হয়ত হারাম বা হালালের হিসাবে পাপ পুন্য হবেনা। কিন্তু পরোক্ষভাবে এটি মুসলিম বা ইসলামকে অপমান করার সুযোগ এনে দেবে। এ ধরনের কথা মোটেই বলা যাবেনা। কারন হচ্ছে দুটি, একটি ইসলামিক নিষিদ্ধতা। আর তা হচ্ছে ইসলামে ভবিষ্যতবাণী করা নিষিদ্ধ। যতই ইনসাল্লাহ বলুন না কেন। *লাস্টে একটি উদাহরন দিতে চেষ্টা করব।

আরেকটি হচ্ছে এ ধরনের কথা ইহুদিবাদী,  ইসলাম বিদেশীদের কাজ। আমার কথাগুলো ভাল করে বুঝে পড়ুন, বোঝানোটা একটু কঠিন হতে পারে। কেন ইহুদি বাদী? ধরুন এখানে আমি একজন ইহুদিবাদী ব্যক্তি।  আমি জানি যে, এই সংকট ১২ তারিক কাটবেনা ইসলাম অনুযায়ী(এ ব্যাখা আলাদা, লাস্টে এক কথায় বলব)। তাই আমি ইসলামকে ভুয়া প্রমান করতে একটি ফালতু কথা বলতেই পারি। আমি বললাম যে, আগামী ১২ তারিখ সব ঠিক হয়ে যাবে ইনসাল্লাহ। এখানে আমি ইনসাল্লাহ বলাই  আমাকে ইসলামি মানুষ ভেবে সবাই বিশ্বাস করবে, এটি মানবে, অন্তরে ধারন করবে।  এখন ১২ তারিখ দেখা গেল কিছুই হল না। যেমন চলছে তেমনি ঐদিন বা পরের দিন গুলিতে একইভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। তখন এই কথার বিশ্বাসীদের কি অবস্থা হবে? তাদের বিশ্বাসে ফাটল ধরবে। কেউ কেউ যদি বলে ফেলেন যে এসব বিশ্বাস করে কি হবে? তাহলে এটি হবে আল্লাহুর উপর থেকে বিশ্বাস হারানোর সামিল যা অত্যান্ত গুনাহ। কারন ব্যক্তি তার নিজ অজান্ততেই একটি অদৃশ্য চ্যালেঞ্জে উত্তির্ন হয়েছিল। বিষয়টা এই রকম যে, ১২ তারিখ সারলেই আল্লাহ সেরে দিয়েছেন, না সারলে আল্লাহ নাই(দুঃখিত কথাটি বোঝানোর জন্য বললাম, বাস্তব অবিশ্বাস নয়)

এখন আপনারাই বলেন এমন আল্লাহকে সন্দেহকারী ব্যক্তি কি কি আল্লাহুর প্রিয় হবেন?  অর্থাৎ এভাবে মুসলিম দের মনে সন্দেহ প্রবেশ করানোর ইহুদিবাদীদের প্রচার হচ্ছে এই ধরনের কথা বার্তা। 

এবার ইনসাল্লাহ বলার বিষয়টা বলি। কোন অনার্য্য বিষয়ে ইনসাল্লাহ বলাটাই ঠিক নয়। একজন চোর যদি চুরির পরিকল্পনা করে বলেন যে, ইনসাল্লাহ কাজটি রাতেই করব। তাহলে কি তা উচিত? তাই প্রথমেই কথা বলতে হবে সম্ভাব্যতা বিচার করে, নিজ সামর্থ বিচার করে, আল্লাহুর শিক্ষা অনুসরন করে তারপর ইনশাল্লাহ বলে আল্লহুর উপর নির্ভর আর্পন করা। যেমন আপনি বললেন এক ঘুষিতে ১০ পাথর ভেঙ্গে ফেলব, ইনশাল্লাহ। এটা আপনার সামর্থের বাইরে, এখানে ইনশাল্লাহ নিয়া আসাটা এমনকি কথাটা বলাই উচিত নয়, 

এবার বলি, কেন ১২ তারিখ সংকট কাটবেনা এমন বিষয় না ঘটার ব্যাখ্যাঃ অনেক আল্লাহ ভীরু ব্যক্তি বিশ্বাসের শক্ত ভিক্তির দাপটে সাহস করে অনেক কিছু বলে ফেলেন। তবুও আল্লাহ তা ঘটাবেন না। অবশ্যই আল্লাহ ঘটাতে সাক্ষম। ইচ্ছা করলেই পারেন।

কিন্তু বিশ্বের দিকে খেয়াল করুন সব কিছু নিয়ম শৃঙ্খলভাবেই ঘটছে। আল্লাহ এসব নিদর্শন দেখিয়ে বলেন এগুলোর পরিচালক আমি, তোমরা কি তা দেখতে পাচ্ছনা?

কাজেই আল্লাহ কোন কিছু হটাৎ অলৌকিক করে দেন না। আল্লাহ বলেন আমি তোমাদের মধ্যে কাউকে অলৌকিকতা দেইনি। পৃথিবীতে যা তোমরা দেখবে তা তোমাদের জ্ঞানের মধ্যেই পাবে যদি জ্ঞানী হও। কাজেই হঠাৎ করে ১২ তারিখ করোনা সংকোট কেটে যাবেনা। আল্লাহ এটিকে অবশ্যই দুর করবেন কিন্তু তা পরিবেশের উপযুক্ততা আনায়ন করে যাতে মানুষের মাঝে জ্ঞানের ব্যাখ্যায় থাকে। অলৌকিক ভাবে নয়। 

অনেকেই নবীদের মুজিজার কথা বলেন। তাদের বলছি যে, ঐগুলো নবীদের সময়ে ছিল। আর তা আল্লাহু করতেন ইসলামের প্রয়োজনে, নবীদের বিশেষত্য প্রকাশে। কিন্তু সেখানেও হঠাৎ নয়, নিদর্শন দিয়াই। যেমন নূহ (আঃ) সময় হঠাৎ প্লাবন আসেনি। বহু সময় দিয়াছিলেন। নৌকা বানানোর সময় ছিল, ধীরে ধীরে মেঘ জমেছিল প্রাকৃতিক নিয়মে। আল্লাহ এভাবেই সুশৃঙ্খলভাবে দেন। আর একটি কথা এটা নবীদের আমল নয়। আমরাও নবী বা ফেরেস্তা নই তাই মুজিজা আমাদের উপর প্রজোয্য নয়। 

যাই হোক আমি মোবাইলের স্ক্রিনে ভাল লিখতে পারলাম না। জ্ঞানীরা বুঝে নিবেন।  

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ