Plz দলিল সহ ব্যাখ্যা দিবেন। 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Yakub Ali

Call

এটাকে ইসলামের দৃষ্টিতে গীবত বলে।

…وَلَا يَغْتَبْ بَعْضُكُمْ بَعْضًا أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَنْ يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ

হে মু’মিনগন! তোমরা অধিকাংশ অনুমান হতে দূরে থাক, কারণ অনুমান কোন কোন ক্ষেত্রে পাপ এবং তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় সন্ধান করোনা এবং একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা করোনা। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে চাইবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণ্যই মনে কর। তোমরা আল্লাহ তা’য়ালাকে ভয় কর, আল্লাহ তা’য়ালা তওবা কবূলকারী, পরম দয়ালু। (সূরা হুজুরাত:১২)

সুস্থ, স্বাধীন কোনো বিবেকবান মানুষই জ্ঞান অবশিষ্ট থাকা পর্যন্ত মৃত মানুষ তো দূরের কথা, যে পশু জীবিত থাকলে হালাল সেই পশু মৃত হলে তার গোশতও ভক্ষণ করবে না। অথচ মানুষ সুস্থ মস্তিষ্কে, স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে গীবতের মতো জঘন্য ফেতনায় নিমজ্জিত হয়।

গীবত কী:

গীবত শব্দটির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে দোষারোপ করা, অনুপস্থিত থাকা, পরচর্চা করা, পরনিন্দা করা, কুৎসা রটনা করা, পিছে সমালোচনা করা ইত্যাদি।

গীবতের পারিভাষিক অর্থে বলা হয় ‘তোমার কোনো ভাইয়ের পেছনে তার এমন দোষের কথা উল্লেখ করা যা সে গোপন রেখেছে অথবা যার উল্লেখ সে অপছন্দ করে।’ (মু’জামুল ওয়াসিত) গীবতের সবচেয়ে উত্তম ও বাস্তবসম্মত সংজ্ঞা দিয়েছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিম্মোক্ত হাদিস থেকে পেতে পারি।

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত একটি হাদীসে দেখা যায় তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করে, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গীবত কী? তিনি বলেন, তোমার ভাই সম্মর্কে তার অনুপস্থিতিতে এমন কিছু বলা যা শুনলে সে ব্যথিত হয়। তখন বলা হলো, আমি যে কথা বলি, তা যদি তার মধ্যে থাকে তাহলেও কি গীবত হবে? নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন : তুমি যা বলেছ তা যদি তার মধ্যে থাকে, তুমি তার গীবত করলে; আর সে দোষ যদি তার মধ্যে না থাকে তবে তো তুমি তার ওপর বুহতান বা মিথ্যা দোষারোপ করলে, যা গীবত থেকে অধিক দোষনীয়।

[মুসলিম/৬৩৫৭-আবূ হুরাইরা (রাঃ), বুখারী/৫৬১৩, আবূ দাঊদ/১৭৯৯]

গীবত ব্যভিচারের চেয়েও মারাত্মক:

হাদীস শরীফে গীবতকে ব্যভিচারের চেয়েও মারাত্মক গুনাহ বলা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন: গীবত ব্যভিচারের চেয়েও মারাত্মক গুনাহ। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, এটা কিরূপে? তিনি বললেন, এক ব্যক্তি ব্যভিচার করার পর খাঁটি তওবা করলে তার গুনাহ মাফ হয়ে যায়, কিন্তু যে গীবত করে তার গুনাহ গীবতকৃত ব্যক্তি মাফ না করা পর্যন্ত মাফ হয় না। হাদীসটি হযরত আবু সায়ীদ (রাঃ) ও জাবের (রাঃ) বর্ণনা করেছেন। এই হাদীস থেকে প্রমাণিত হল, গীবতের মাধ্যমে আল্লাহর হক ও বান্দার হক উভয়ই নষ্ট করা হয়। (তাফসীরে মা’আরেফুল কুরআন)

গীবতকারী ও গীবত শ্রবণকারী উভয়ই সমান অপরাধে অপরাধী:

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ