শ্বাসকষ্ট এর সাথে অ্যাজমা বা নিউমোনিয়া সাথেও সম্পর্কৃত যার লক্ষন গুলো বলাযায় একই তাছাড়া নিউমোনিয়া বা অ্যাজমা সাথে করোনা ভাইরাস এর লক্ষন গুলোও একই তবে নিম্নে দেখুন লক্ষন গুলো।
শ্বাসকষ্ট লক্ষন
- ১। শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
- ২। বুকে ভারী কোনো চাপ অনুভব করা বা বুকব্যথা করা
- ৩। দমবন্ধ হয়ে যাওয়ার অনুভূতি হওয়া।
অ্যাজমা রোগের লক্ষণ চেনার উপায় ।
- শ্বাসকষ্ট, সাথে শুকনো কাশি ।
- শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বাঁশির মতো সাঁ সাঁ শব্দ ।
- হঠাৎ দমবন্ধ ভাব অনুভব করা ।
- ধুলোবালি বিশেষভাবে ঘরের ধুলো, ঠাণ্ডা কিংবা গরমের কারণে শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট ।
- ঋতু পরিবর্তনের সময় শ্বাসকষ্ট ।
- বিটাব্লকার বা অ্যাসরিন জাতীয় ওষুধ খেলে শ্বাসকষ্ট ।
নিউমোনিয়া লক্ষন:-
- কাশি
- জ্বর
- শ্বাসকষ্ট
- কাপুনি
- ঘাম হওয়া
- বুকে ব্যাথা যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে উঠা নামা করে
- মাথা ব্যথা
- মাংসপেশীতে ব্যাথা
- ক্লান্তি অনুভব করা
করোনা ভাইরাস (কোভিড ১৯) এর লক্ষন গুলো :-
- ক) সর্দি
- খ) গলা ব্যথা
- গ) কাশি
- ঘ) মাথা ব্যাথা
- ঙ) জ্বর
- চ) হাঁচি
- ছ) অবসাদ
- জ) শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।
এক্ষেত্রে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায় এবং যারা বয়স্ক তাদের এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে এবং নিউমোনিয়া বা শ্বাস নালীর ব্যাধির মতো মারাত্মক অসুস্থতায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি থাকে করোনা ভাইরাসে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ
- ক) হাঁচি বা কাশির পরে হাত ধুয়ে নিন।
- খ) কাশি বা হাঁচির আগে মুখ ঢেকে নিন।
- গ) আপনার যদি মনে হয় যে আপনি সংক্রামিত, তাহলে কোনো ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এড়িয়ে চলুন।
- ঘ) রান্না না করা গোশত ও ডিম খাওয়া এড়ান। ]
- ঙ) নিজেকে সারাক্ষণ হাইড্রেট রাখুন।
- চ) লক্ষণগুলো দেখা দেয়া মাত্রই ওষুধ খান এবং পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠতে দেবেন না।
- ছ) ধোঁয়াটে এলাকা বা ধূমপান করা এড়িয়ে চলুন।
- জ) যথাযথ বিশ্রাম নিন।
- ঝ) ভিড় থেকে দূরে থাকুন।
উক্ত লক্ষন দেখা দিলে চিকিৎসা নিবেন।
ধন্যবাদ