ক্লাইনফেল্টার সিন্ড্রোমের ক্ষেত্রে মানুষের যে অবয়বগত লক্ষণ বা অস্বাভাবিকতা দেখা যায় সেগুলি হলো —
১। শীর্ণ লম্বা গড়নবিশিষ্ট পুরুষ।
২। দেহের নিম্ন ভাগ তুলনামূলক ভাবে অনেক দীর্ঘ হয়।
৩। গোঁফ দাড়ি অল্প।
৪। মহিলাদের মতো স্তনের বৃদ্ধি দেখা যায় বা গাইন্যকোম্যাস্টিয়া দেখা যায়।
৫। গলার স্বর তীক্ষ্ণ এবং উচ্চ কম্পাঙ্কের হয়।
৬। শুক্রাশয় ক্ষুদ্রাকৃতির হয় এবং স্বভাবতই জনন ক্ষমতা কম হয়।
৭। দেহকোশে বারবডি (Barr Body) বা সেক্স ক্রোমাটিন দেখা যায়।
৮। টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ হ্রাস পায়, ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। (টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রভাবে পুরুষালী বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটে, এটি পুরুষ দেহে ক্ষরিত হয় এবং ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবে নারীসুলভ বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটে, এটি নারীদেহে ক্ষরিত হয়)
৯। হাত পা লম্বা হয়।
১০। কখনো কখনো দৃষ্টি শক্তির অস্বাভাবিকতা দেখা যায়।
১১। বিভিন্ন ধরনের মানসিক বিকাশ ঘটে না। যেমন, I.Q. কম, দেরিতে কথা বলা, মানসিক দৌর্বল্য, চেষ্টীয় সমন্বয় দুর্বল প্রকৃতির হয়।