দাউদ দেহের যেকোন স্থানে দেখা দিতে পারে। যে স্থানে দেখা দেয় সেই স্থানটিতে গোলাকার চাকার মতো দাগ দেখা যায়। যার মধ্যখানের চামড়া প্রায় স্বাভাবিক আকারে দেখতে হলেও দাগের পরিধিতে ছোট ছোট গোটা দেখা যায় এবং দাগের পরিধি উঁচু বিভক্তি লাইন আকারে লক্ষ্য করা যায়। চুলকালে সেখান থেকে কষ ঝরতে থাকে। শরীরের যেকোন স্থানে এর আক্রমণ ঘটতে পারে। তবে দেখা গেছে যে সাধারণত তলপেট, পেট, কোমড়, পাছা, পিঠ, মাথা, কুচকি ইত্যাদি স্থানে এর আক্রমণ বেশি ঘটতে দেখা যায়।
সাধারণত যারা স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে থাকেন যেমন- জেলে, গার্মেন্টস কর্মী, মাদ্রাসা ছাত্র, যারা নিয়মিত তাব্লিক করেন, যারা অতিমাত্রায় ঘামেন, যারা একটু অপরিষ্কার থাকেন , যারা একটু স্থুল (obesity) সাধারণত তাদেরই এই রোগ বেশি হয়। দাদ/দাউদ শরীরের যেকোনো স্থানেই হতে পারে।
তবে মাথা, মুখ (face), কান, হাত, হাতের আঙ্গুলের চিপা, বগল, কুচকি, পা, পায়ের আঙ্গুলের চিপা এমনকি কখনো কখনো পেশাব পায়খানা করার রাস্তা (genitalia, Rectum)এবং মুখের ভেতর (oral cavity) হতে পারে। দাদকে এত ছোট করে দেখার কিছু নেই।
সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় না করে উল্টা-পাল্টা steroid cream ব্যবহার না করে একজন চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। ছোট রোগ দাদ থেকেই জন্ম নিতে পারে অন্যান্য জটিল দুরারোগ্য ব্যাধি।
তাই আপনি যেসব ওষুধ বা মলম লাগিয়েছেন সেগুলো বাদ দিয়ে একজন ভালো চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। যথাযথ চিকিৎসায় মাত্র ২০ থেকে ২৫ দিনেই এই রোগ থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাওয়া সম্ভব।